জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও তার স্ত্রী রিমান্ডে
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা শামিন মাহফুজের চার দিন এবং তার স্ত্রী নাজনীন সুলতানার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ডেমরা থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে শামিন ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটা মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়া’-এর ২৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
ঢাকায় জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্য বলে জানায় র্যাব। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে পটিয়া বাইপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চার জঙ্গি হলেন- হোসাইন আহমদ (২২), নিহাল আব্দুল্লাহ (১৯), আল আমিন (২২) এবং আল আমিন ওরফে পার্থ কুমার দাস (২১)। এদের মধ্যে হোসাইন আহমদের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনায়, নিহাল ও আল আমিনের কুমিল্লার সদরে এবং আল আমিন ওরফে পার্থের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়।
তারা জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কথিত হিজরতের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীনে সশস্ত্র প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া নিয়েছিল বলে র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বুধবার (১ মার্চ) সকালে নগরের চান্দগাঁও র্যাব-৭ মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত বছরের ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে ৮ জন তরুণ নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ তরুণদের উদ্ধারে অভিযান চালাতে গিয়ে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় থাকার তথ্য পায়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে জঙ্গি দমন অভিযান: ৪৪ ‘জঙ্গি’ কারাগারে, ৫ কেএনএফ সদস্য রিমান্ডে
একইসঙ্গে, ওই সংগঠনের সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সহায়তায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার কথাও জানতে পারে র্যাব।
পরে পার্বত্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত বছরের ২০ অক্টোবর রাঙামাটির বিলাইছড়ি ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থেকে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের ৭ জন ও পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব বিভিন্ন সময়ে রাঙামাটি ও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি থেকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত ৫ সদস্যকে, ২৩ জানুয়ারি কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই সংগঠনের শূরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে, ৭ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের থানচির রেমাক্রী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, গোলাবারুদ ও নগদ ৭ লাখ টাকাসহ জঙ্গি সংগঠনের ১৭ জন, পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে র্যাবের পরিচালিত অভিযানে ইতোমধ্যে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ সর্বমোট ৫৫ জন এবং পাহাড়ে অবস্থান, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমে জঙ্গিদের সহায়তার জন্য পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’র ১৭ জন নেতা ও সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসারের নায়েবে আমির গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
বান্দরবানে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, ৫ জঙ্গি আটক
১ বছর আগে
জামায়াতের আমির জানতেন তার ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য: সিটিটিসি প্রধান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান নতুন গঠিত জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে তার ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান এ দাবি করেছেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, জামায়াতের আমির জানতেন যে তার ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িত। ‘কিন্তু তিনি নীরব ছিলেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ তথ্য জানাননি।’
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ জঙ্গিবাদে জড়ানোর পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়, পরিবার আবেদন করে, তাহলে বিবেচনা করা যেতো। কিন্তু তিনি (শফিকুর রহমান) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে না জানিয়ে পুরো বিষয়টি গোপন করেছিলেন।’
গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাতসহ তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হাজিগঞ্জে ১১ নারী ‘জামায়াত কর্মী’ আটক
রাফাত আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিলেন এবং তাদের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যোগ দেয়ার জন্য কিছু সমর্থক সংগ্রহ করেছিলেন।
সিটিটিসি প্রধান দাবি করেছেন, সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে আসা একদল যুবক রাফাতের নেতৃত্বে বান্দরবানে যায়, সেখান থেকে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সঙ্গে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটে যায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, জামায়াত প্রধানের দ্বারা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে সমর্থন ও অর্থায়ন করার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
এদিকে ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান আজ (বৃহস্পতিবার) বলেন, ‘এখনও বলার সময় আসেনি। তারা এখনও দেশ থেকে পালাতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: নতুন জঙ্গি সংগঠনকে মদদ দিচ্ছেন জামায়াতের আমীর: ডিএমপি কমিশনার
রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
১ বছর আগে