১২ দলীয় জোট
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন শেষে দ্রুত আগামী নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে চাপ দিতে পরবর্তী রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করতে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করছে বিএনপি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে বৈঠক করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একটি প্রতিনিধি দল।
এর আগে, ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।
যোগাযোগ করা হলে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম ইউএনবিকে বলেন, দ্রুত নির্বাচন আয়োজনে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ, রমজানে দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বছরই নির্বাচন চাচ্ছে বিএনপি-খেলাফত মজলিস
তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য দেশের অন্যান্য গণতান্ত্রিক, বামপন্থী ও ইসলামী দলগুলোকে সম্পৃক্ত করে জোটের সম্প্রসারণ করা। এ বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচকভাবে নিয়েছি এবং এ ব্যাপারে কিছু পরামর্শও দিয়েছি।
এক প্রশ্নের ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বলেন, দ্রুত নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাপ দিতে রাজপথে নামা হবে কি না, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। আমরা ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছি, তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপি এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যান্য গণতান্ত্রিক দল এবং জোটে যোগ দিতে ইচ্ছুক দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক করবে। তারা বিএনপির সঙ্গে একযোগে অথবা পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে পারে।
৩০৮ দিন আগে
বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করতে ১২ দলীয় জোট গঠন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিএনপির পরিকল্পিত যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিতে ১২টি দলের একটি নতুন রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে জোটটি আত্মপ্রকাশ করে।
এর আগে এই ১২টি দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অংশ ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার নতুন এই জোট গঠনের ঘোষণা দেন।
নতুন জোটের শরিকরা হলো- জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, জাগপা, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং সাম্যবাদী দল।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া ও ঐক্য আগের মতোই থাকবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে, তাদের অংশগ্রহণে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে আমরা নতুন কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
মোস্তফা বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই এবং আমরা সবাই একযোগে আন্দোলনের পথে এগোচ্ছি।
নবগঠিত ১২ দলীয় জোটের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
মোস্তাফিজুর বলেন, আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা ১২ দলীয় জোট হিসেবে স্বীকৃতি পাব।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করতে বিএনপির সঙ্গে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় থাকবে ১২ দলীয় জোট। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ১২ দলীয় জোট বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা 'রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার' একটি 'জাতীয় মুক্তির সনদ' হিসাবে বিবেচনা করে এবং এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘বিলুপ্তির আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের শেষ বৈঠক হয়েছিল ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর। যেখানে জোটের নেতারা পূর্বের নাম ২০-দল ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেন। জোট ২০ দলীয় জোট গঠিত হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।
তিনি আরও বলেন, ১২-দলীয় জোটে দুটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে- একটি বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং অন্যটি বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
মেজর ইব্রাহিম বলেন, অন্যান্য দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে তাদের আবেদন করেছে এবং আশা করা হচ্ছে একটি ইতিবাচক ফলাফল আসবে।
জোটটি ৩০ ডিসেম্বরের পর বিভাগীয় শহরে সফর করার পরিকল্পনা করছে এবং তারা শিগগিরই এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান ইব্রাহিম।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপির সকল কর্মসূচিতে যোগ দেব এবং যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর আমরা গণ মিছিল বের করব। আমরা দুপুর ২টার দিকে বিজয় নগর এলাকায় সমবেত হব।’
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ
১০৮০ দিন আগে