এমআরপি পাসপোর্ট
ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
দেশে ও দেশের বাইরে প্রতিটি নাগরিক ও অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিটির নাম পাসপোর্ট। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম পুরোদমে চালু হওয়ার কারণে নতুন পাসপোর্টের আবেদনকারী এবং এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) নবায়নকারী সকলকেই ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি এই কার্যক্রমের তিন বছর হতে যাচ্ছে। হাতে পাওয়া ইলেক্ট্রনিক চিপযুক্ত নতুন পাসপোর্টটিতে তথ্যের নানা ভুল-ভ্রান্তি ধরা পড়তে পারে, যা আবেদনকারী এবং পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উভয়ের মাধ্যমেই সংঘটিত হতে পারে। তাই যারা ই-পাসপোর্ট হাতে পেয়ে গেছেন তাদের পাশাপাশি নতুন আবেদনকারীদেরও ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি জেনে রাখা আবশ্যক। এই নিবন্ধে সেই ভুল সংশোধনের নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পাসপোর্ট সংশোধনের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ই-পাসপোর্ট সংশোধন
২০২১-এ দুইবার ও ২০২২-এ একবার প্রজ্ঞাপনের পর সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে পাসপোর্ট সংশোধনের নতুন প্রজ্ঞাপন দিয়েছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের পরিপত্রগুলো বাতিল হয়ে এখন এই প্রজ্ঞাপনটিই কার্যকর আছে এবং সেঅনুসারেই সকলকে ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করতে হবে।
এখানে পাসপোর্টের ওপর জাতীয় পরিচয়পত্রকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে তথ্যের কোন গরমিল থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যানুসারে পাসপোর্ট নতুন করে প্রস্তুত করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক তথা অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের বেলায় জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এখানে প্রয়োজন সাপেক্ষে জেএসসি/জেডিসি/এসএসসি/দাখিল/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়/কারিগরি ও সমমানের যে কোনে একটি সনদপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই নথিপত্র ছাড়াও তথ্য সংশোধনের জন্য দরকার হবে লিখিত আবেদন ও অঙ্গিকারনামার, যেগুলোর ফর্ম পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। এছাড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও পাওয়া যাবে এই ফর্মগুলো। তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনকারীকে এগুলো স্বহস্তে পূরণ ও স্বাক্ষর করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
-জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ)
-জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি জমাদানকারীদের ক্ষেত্রে পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
-জেএসসি, জেডিসি, এসএসসি, দাখিল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি ও সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদগুলো থেকে যে কোন একটি সনদপত্র
-অভিবাসীদের ক্ষেত্রে পিআর(পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট)/জব আইডি/স্টুডেন্ট আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স
-পুরাতন ই-পাসপোর্টের মূল কপি এবং যে পৃষ্ঠাগুলোতে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত ও ইমিগ্রেশনের তথ্য দেয়া আছে সেগুলোর ফটোকপি
-ই-পাসপোর্ট নবায়নের জন্য অনলাইন আবেদনের রঙিন মুদ্রিত কপি
-অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ ই-পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদনের সারাংশের মুদ্রিত কপি
-অফলাইনে ই-পাসপোর্টে নবায়নের ফি পরিশোধ করলে ব্যাংক থেকে প্রদানকৃত ফি জমা রশিদ
-ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট অথবা পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা ফর্মে লিখিত আবেদন ও অঙ্গীকারনামা
-সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সরকারি অনাপত্তি/অধ্যাদেশ সনদপত্র
-বৈবাহিক অবস্থা সংযোজন, পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে কাবিননামা
-স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিলের কপি
যাদের কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নেই, তাদের নাম, বয়স, পিতামাতার নাম আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে হলে আদালতের হলফনামার প্রয়োজন হবে।
পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা বিভাগ থেকে প্রদত্ত তথ্য যাচাই হতে পারে।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
ই-পাসপোর্টে নতুন কোন তথ্য সংযোজন, পুরনো তথ্যের নির্দিষ্ট কোন অংশ বিয়োজন, তথ্যের পরিবর্তন বা ভুল তথ্যের সংশোধন সবগুলোরই প্রক্রিয়া একই।
ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনের সার্বিক প্রক্রিয়াকে দুইভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে।
- ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ও অঙ্গীকারনামা পূরণ।
- ই-পাসপোর্ট নবায়নের জন্য অনলাইন আবেদন।
- ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ।
এই প্রথম ধাপে সরাসরি চলে যেতে হবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে। সেখানে ফরম ও ফি মেনু থেকে রি-ইস্যু/তথ্য পরিবর্তন/সংশোধনের আবেদন ফরম-এ ক্লিক করার পর প্রাপ্ত ওয়েব পেজ থেকে পাওয়া যাবে ভুল তথ্য সংশোধনের আবেদন ফর্ম।
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
শুধুমাত্র বাংলায় আবেদনকারীর নাম ব্যতীত এই সম্পূর্ণ ফর্মটি পূরণ করতে হবে ইংরেজি ক্যাপিটাল অক্ষরে। নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে যে কোনো আবেদনকারীই কোনো ঝামেলা ছাড়াই তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন। প্রথমেই দুই কলামের বাম পাশের প্রথম অংশে যে পাসপোর্ট অফিস থেকে আবেদনকারী ভুলকৃত পাসপোর্টটি সংগ্রহ করেছিলেন তার নাম দিতে হবে। তারপর পর পর বাংলা ও ইংরেজিতে আবেদনকারীর নাম দিতে হবে।
এরপরের সেকশনটিতে ভুলকৃত পাসপোর্টের তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এখানকার পাসপোর্ট নাম্বার, ইস্যুর স্থান ও তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সবকিছুই পাওয়া যাবে পাসপোর্টে ইলেক্ট্রনিক চিপযুক্ত পৃষ্ঠাটিতে। পাসপোর্টে আবেদনকারীর ছবির বরাবর ওপর-নীচ করে ধরে ওপরের পৃষ্ঠায় ডানদিকে উল্লম্বভাবে পাওয়া যাবে পাসপোর্ট নাম্বারটি। আর ছবির পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে পাসপোর্ট ইস্যুর স্থান ও অন্যান্য তারিখগুলো।
এবার ডানদিকের ওপরের বক্স থেকে টিক চিহ্ন দেয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের প্রকৃতি নির্ধারণ করতে হবে। অতঃপর সেই প্রকৃতি অনুসারে পরের বক্সে উল্লেখ করতে হবে ফি-এর পরিমাণ, যে ব্যাংকের যে শাখায় প্রদত্ত ফি জমা দেয়া হয়েছে সেগুলোর নাম, রশিদ নাম্বার এবং জমাদানের তারিখ।
এরপর চূড়ান্তভাবে সংশোধীত তথ্য সরবরাহের পালা। বামের খালি অংশগুলোতে লিখতে হবে বর্তমানে ই-পাসপোর্টের ভুলকৃত তথ্যগুলো আর ডানের অংশগুলোতে উল্লেখ করতে হবে কি কি সংশোধন চাওয়া হচ্ছে সেগুলো। এখানে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, ডানের অংশগুলোর তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুরূপ হতে হবে। আর অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রকে অনুসরণ করতে হবে।
অতঃপর যে দিনে ফর্মটি পূরণ করা হচ্ছে সে দিনের তারিখ দিয়ে নিচে আবেদনকারীকে স্বাক্ষর করতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের বেলায় এ অংশে স্বাক্ষর করবেন তাদের পিতা অথবা মাতা কিংবা অন্য অভিভাবক।
সবশেষে যে তথ্যগুলোর সংশোধন চাওয়া হচ্ছে সেগুলোর সাপেক্ষে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রগুলোর নাম একে একে উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ই-গেট ম্যাজিকে ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন পার
ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য অঙ্গীকারনামা পূরণ
এই ফর্মের জন্যও একইভাবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফরম ও ফি মেনুতে যেতে হবে। সেখান থেকে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনী অঙ্গীকারনামা ফরম-এ ক্লিক করার পর যে পেজ আসবে, সেখানেই পাওয়া যাবে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনী অঙ্গীকারনামা ফর্ম।
এখানে অঙ্গীকারনামার একটি সাধারণ নমুনা তৈরি করাই আছে। শুধু খালি অংশগুলোতে নিজের ব্যক্তিগত ও বর্তমান পাসপোর্টের তথ্যগুলো দিয়ে পূরণ করে দিতে হবে। যে তথ্যগুলো সংশোধন করতে হবে সেগুলোর ওপরে টিক চিহ্ন দিয়ে দিলেই হবে। দুই কলামের টেবিলটিতে বামের অংশগুলোতে বর্তমান পাসপোর্টের ভুলকৃত তথ্যগুলো এবং ডানের অংশগুলোতে সেই ভুলকৃত তথ্যগুলোর বিপরীতে জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখিত তথ্যগুলো লিখে দিতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্করা বা তাদের অভিভাবকগণ এ ক্ষেত্রে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদের অনুরূপ তথ্য সরবরাহ করবেন।
সবশেষে আবেদনকারী বা তার অভিভাবকের(১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে) স্বাক্ষরের মাধ্যমে শেষ হবে অঙ্গীকারনামা ফর্ম পূরণ।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট সংশোধন পদ্ধতি
ই-পাসপোর্ট নবায়ন বা সংশোধন উভয়ের যে কোনটি করার জন্য অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য আবেদন করতে হবে। দুই ক্ষেত্রেই একইভাবে অনলাইন ফর্মটি পূরণ করতে হবে। পার্থক্য হচ্ছে শুধু আইডি ডকুমেন্টস সেকশনে Yes, I have an Electronic Passport (ePP) অপশন সিলেক্ট করে দিতে হবে। অতঃপর সে অনুসারে পুরাতন ই-পাসপোর্টের তথ্য দিতে হবে। আবেদনের বাকি সব সেকশনে খেয়াল রাখতে হবে যে, প্রতিটি তথ্য যেন অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুরূপ হয়।
যেহেতু ইতোমধ্যে একবার ই-পাসপোর্ট নেয়া হয়েছে, সেহেতু ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে আবেদনকারীর অবশ্যই নিজস্ব একটি অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে সেই আগের ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে।
তারপর সেই নতুন ই-পাসপোর্ট করার মত একে একে পাসপোর্ট টাইপ থেকে শুরু করে অ্যাড্রেস পর্যন্ত সব সেকশনগুলো পূরণ করে আসতে হবে। আইডি ডকুমেন্টসে বর্তমান ই-পাসপোর্টের সব তথ্য দেয়ার পর প্যারেন্টাল ইনফরমেশন থেকে ডেলিভারি অপশন্স এ্যান্ড অ্যাপয়েন্টমেন্ট পর্যন্ত নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদনের মতো করে পূরণ করতে হবে।
অতঃপর সম্পূর্ণ আবেদনপত্র পূরণ শেষে সাবমিট করার পর ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন ফি জমা দেয়ার উপায়
নতুন ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য যে ফি দিতে হয়েছিলো, নবায়ন বা ভুল তথ্য সংশোধনের জন্যও সেই একই ফি। এর বাইরে নাম অথবা বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে কোট হলফনামা বাবদ দুই থেকে তিন হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। তথ্য সংশোধনের ফি অনলাইনে অথবা অফলাইনে অর্থাৎ সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে পরিশোধ করা যায়। চূড়ান্তভাবে আবেদন সাবমিট করার পরই অফলাইন পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করলে ব্যাংক এশিয়া, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবং সোনালী ব্যাংকের নাম দেখাবে। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রিন্ট করা ই-পাসপোর্টে তথ্য সংশোধনের আবেদনপত্রটি নিয়ে এই ব্যাংকগুলোর যে কোন শাখায় গিয়ে ফি জমা দেয়া যাবে। অবশ্যই জমা রশিদটি নিয়ে আসতে হবে।
এছাড়া অনলাইনে ফি পরিশোধের জন্য আছে বিকাশ, ভিসা কার্ড, মাস্টারকার্ড, কিউ-ক্যাশ, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং, এবং সোনালী ব্যাংক পেমেন্ট গেটওয়ের মতো ডিজিটাল ব্যবস্থা।
ই-পাসপোর্ট ভুল তথ্য সংশোধন ফি-এর তালিকা
৪৮ পাতার ৫ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ পড়বে চার হাজার ২৫ টাকা, ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে লাগবে ছয় হাজার ৩২৫ টাকা, এবং ২ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগবে আট হজার ৬২৫ টাকা।
৪৮ পাতার ১০ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ পড়বে পাঁচ হাজার ৭৫০ টাকা, সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে লাগবে আট হাজার ৫০ টাকা, এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগবে ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
৬৪ পাতার পাঁচ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ হবে ছয় হাজার ৩২৫ টাকা, সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেতে আট হাজার ৩২৫ টাকা, এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে পেতে ১২ হাজার ৭৫ টাকা।
৬৪ পাতার ১০ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ লাগবে আট হাজার ৫০ টাকা, সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগবে ১০ হাজার ৩৫০ টাকা, এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
ই-পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের আবেদন কিভাবে ও কোথায় জমা দিবেন
ই-পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের জন্য আবেদনের যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে যে পাসপোর্ট অফিস থেকে বর্তমান ই-পাসপোর্টটি সরবরাহ করা হয়েছিলো সেখানে অনলাইনে নির্ধারণ করা তারিখে উপস্থিত হতে হবে। অতঃপর নথিপত্র বিশেষত পুরাতন পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনকারীকে একটি ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করবেন। এখানে উল্লেখ থাকবে সংশোধিত ই-পাসপোর্ট সরবরাহের সম্ভাব্য তারিখ।
সংশোধিত ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ
সংশোধিত ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে পাসপোর্ট অফিসে আসতে হবে। এসময় সঙ্গে থাকতে হবে সেই ডেলিভারি স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পুরাতন ই-পাসপোর্ট। এ সময় সংশোধিত ই-পাসপোর্ট প্রদানের পূর্বে অফিস কর্মকর্তা আবেদনকারীর আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করে নিবেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
পরিশেষে
ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি করার পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করা যাবে। সংশোধিত হয়ে ই-পাসপোর্ট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এলে ওয়েবসাইট থেকেই তা জানা যাবে। উপরোক্ত সাইটে অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা অনলাইন নিবন্ধন আইডি নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা পূরণ করে চেক-এ ক্লিক করলেই ই-পাসপোর্ট স্ট্যাটাস দেখাবে। ই-পাসপোর্ট প্রস্তুত হলেই লেখা থাকবে Your passport ready for issuance। অতঃপর আবেদনকারী পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
১ বছর আগে
পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হয় ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি। সেই থেকে ধীরে ধীরে সারা দেশে পাসপোর্টের আঞ্চলিক অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক নিজের এমআরপি বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্টটি ই-পাসপোর্টে বদলে নিতে পারেন। ই-পাসপোর্টের সুবিধা হচ্ছে- এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের সময় স্বয়ংক্রিয় ই-গেইটের কারণে ইমিগ্রেন্টদের কোনো রকম চেকিংয়ের সম্মুখীন হতে হবে না। ফলে অন্য দেশে যাওয়ার সময় দীর্ঘ সময় ধরে চেকিংয়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার দরকার পড়বে না। চলুন, মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট বা এমআরপি থেকে নতুন ই-পাসপোর্ট বা পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক।
পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের পূর্বশর্ত
পাসপোর্টের এই ডিজিটালকরণ সবেমাত্র শুরু হয়েছে, বিধায় পাসপোর্টের রিনিউ বলতে বর্তমানে এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তরকেই বুঝায়। তাছাড়া এখন আর এমআরপি দেয়া হয় না। পাসপোর্ট রিনিউ বা নতুন হোক উভয় ক্ষেত্রেই ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়। আবেদনকারির বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করা যাবে। এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনটি অবশ্যই অনলাইনে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। নতুবা আগে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করে তারপর ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের উপরের আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি(এনআইডি) কার্ড দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনের সময় এনআইডি কার্ডের তথ্যের হুবহু তথ্য সরবরাহ করতে হবে। কোনো গরমিল হলেই পাসপোর্ট অথবা এনআইডির যে কোনো একটির সংশোধন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নবায়ন সমস্যা সমাধানে সৌদি-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ মূল আবেদনের রঙিন মুদ্রিত কপি
→ অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি
→ জাতীয় পরিচয় পত্র বা অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি জমাদানকারীদের ক্ষেত্রে পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
→ পূর্ববর্তী পাসপোর্টের যে পৃষ্ঠাগুলোতে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত ও ইমিগ্রেশনের তথ্য দেয়া আছে সেগুলোর ফটোকপি
→ ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করা হলে ফি জমা প্রদানের রশিদ
→ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীগণ সরকারি অধ্যাদেশ/অনাপত্তি সনদ সংযুক্ত করতে পারেন
→ যদি তথ্য সংশোধন করতে হয় তাহলে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউয়ের আবেদন
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে যেয়ে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে। এখান থেকে নতুন ও পাসপোর্ট রিনিউ দুইয়েরই জন্য আবেদন করা যায়।
প্রথমেই জেলা নির্বাচনের পর থানার নাম বাছাই করতে হবে। আর এর সাথে সাথে সেই থানার নিকটস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম দেখাবে। তারপর ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটটিতে নিবন্ধন করতে হবে। এবার ইমেইল যাচাইয়ের পালা। এখানে আবেদনকারী যে ইমেইল ঠিকানা দিয়েছিলেন সেখানে এই ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে একটি বার্তা পাবেন। সেই বার্তায় প্রবেশ করে নির্দিষ্ট লিঙ্কে ক্লিক করলে আবেদনকারীকে পুনরায় পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা হবে। আর এভাবেই সম্পন্ন হবে ইমেইল যাচাই প্রক্রিয়া। এখন আবেদনকারি নিজের ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
আবেদনের প্রথমেই ব্যক্তিগত তথ্যাবলি পূরণ করতে হবে। এরপরের স্ক্রিণে আসবে পাসপোর্ট নতুন না রিনিউ তার স্বীকারক্তির সেকশন প্রিভিয়াস পাসপোর্ট। এখানে Yes, I have a Machine Readable Passport (MRP) এই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপরে পাসপোর্ট আবেদনের কারণ হিসেবে Expired অপশনটি বাছাই করতে হবে। অতঃপর একে একে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের নাম্বার, ইস্যূ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। পাসপোর্ট ওপর-নীচ করে খুলে ওপরের পৃষ্ঠায় ডানদিকে উল্লম্ব ভাবে ইংরেজি অক্ষর ও সংখ্যা সম্বলিত নাম্বারটিই পাসপোর্ট নাম্বার।
আর পাসপোর্টের ছবির পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে তারিখগুলো। এরপর ঠিকানা, পিতা মাতার তথ্য, স্বামী/স্ত্রীর তথ্য, জরুরি যোগাযোগ, মোবাইল নাম্বার, পাসপোর্টের ধরণ ও সবশেষে প্রদানের ধরণ সেকশনগুলোতে সঠিকভাবে তথ্য সরবরাহ করে আবেদটি সম্পন্ন করতে হবে। প্রদানের ধরনে ক্যালেন্ডার থেকে সশরীরে আবেদন জমাপূর্বক ছবি তোলা ও ফিঙ্গাপ্রিন্ট দেয়ার তারিখ বাছাই করতে হবে। এখানে সাধারণত কমপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস দূরত্বে যে কোন তারিখ বাছাইয়ের সুযোগ থাকে।
অতঃপর পূরণকৃত আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ ফি প্রদান
ই-পাসপোর্ট রিনিউ ফি অনলাইনে এবং অফলাইন তথা সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে উভয়ভাবেই পরিশোধ করা যায়। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের নির্ধারিত করা ব্যাংকগুলো হলো- ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর যে কোনো শাখায় পাসপোর্ট রিনিউয়ের ফি জমা দেওয়া যাবে। এ সময় আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রিন্ট করা ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্রটি অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।
আর অনলাইনে ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড, কিউ-ক্যাশ, বিকাশ, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এবং সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
পাসপোর্ট রিনিউ ফি-এর তালিকা
ই-পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে নতুন ই-পাসপোর্ট করার মতো একই খরচ লাগবে।
→ পাঁচ বছরের মেয়াদের ৪৮ পাতার পাসপোর্ট চার হাজার ২৫ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, ছয় হাজার ৩২৫ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং আট হাজার ৬২৫ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
→ পাঁচ বছর মেয়াদের ৬৪ পাতার পাসপোর্ট ছয় হাজার ৩২৫ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, আট হাজার ৩২৫ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং ১২ হাজার ৭৫ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
→ ১০ বছরের মেয়াদের ৪৮ পাতার পাসপোর্ট পাঁচ হাজার ৭৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, আট ৫০ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং ১০ হাজার ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
→ ১০ বছরের মেয়াদের ৬৪ পাতার পাসপোর্ট আট হাজার ৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, ১০ হাজার ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং ১৩ হাজার ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউয়ের আবেদন কোথায় জমা দিবেন
পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একত্রিত করে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পুরাতন পাসপোর্টের মূল কপি সঙ্গে নিতে হবে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে আবেদনের সময় যে তারিখ ঠিক করা হয়েছিল সেই তারিখে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে কাগজপত্রসহ। ওয়েবসাইটে থানার নাম উল্লেখ করার পর যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম দেখিয়েছিল সেটিই হবে আবেদনকারীর নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিস।
অতঃপর নথিপত্র বিশেষত পুরাতন পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য নিবেন। এখানে খেয়াল রাখা উচিত যে, ছবি তোলার সময় সাদা শার্ট ও চশমা পড়া যাবে না। সব কাজ শেষে অফিস কর্মকর্তা একটি ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করবেন। এখানে উল্লেখ থাকবে নবায়নকৃত পাসপোর্ট সরবরাহের সম্ভাব্য তারিখ।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
নবায়নকৃত পাসপোর্ট কোথায় সংগ্রহ করবেন?
আবেদনকারীকে সশরীরে পাসপোর্ট অফিসে এসে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। এসময় সঙ্গে থাকতে হবে সেই ডেলিভারি স্লিপ, পুরাতন এমআরপি ও জাতীয় পরিচয়পত্র। এসময় ই-পাসপোর্ট দেয়ার আগে আবেদনকারীর আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে পাসপোর্ট বাতিল করা হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
শেষাংশ
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানার কোনো ব্যাপার নেই। তবু মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই পাসপোর্ট রিনিউ করে নেয়া উচিত। মেয়াদ শেষ হওয়ার ন্যূনতম ৬ থেকে ৭ মাস আগেই এই নবায়নের কাজটি করে ফেলা উত্তম। কারণ দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো উদ্দেশ্য থাকলে পাসপোর্টের মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস না থাকলে কোনো এম্বেসি থেকে ভিসা পাওয়া যায় না। পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে কোনো পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি ভবিষ্যতে মেয়াদোত্তীর্ণ ই-পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে নতুন করে ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিণ্টের দরকার হবে না।
১ বছর আগে