ভরা মৌসুম
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে বেশি দামে আলু বিক্রি হাওয়ায় এবং বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে আলু নিয়ে একটি ট্রাক প্রবেশের মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। এতে দাম অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, এখন আলুর ভরা মৌসুম। তারপরেও দাম বেড়ে খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এই অবস্থায় সরকার সামনে রোজায় বাজার স্বাভাবিক রাখতে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আলু আমদানি শুরু হওয়ায় আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে বুধবার আলু আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। ওই দিন থেকেই অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আইপি দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হিলির ৪৯ আমদানিকারক ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
তাই শনিবার ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আলুর কেজি ৮০ টাকা
৯ মাস আগে
লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছেন, এখন সেভাবেই কমাতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভরা মৌসুমে আমন চালের দাম বাড়বে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়িয়েছেন এখন সেভাবেই কমাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ধান চালের বাজার ঊর্ধ্বগতিরোধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলগেটে দুই টাকা দাম বাড়লে। পাইকারী বাজারে ছয় টাকা কেন বাড়বে?
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অবৈধ মজুতকারী কিংবা অহেতুক দাম বাড়িয়ে দেওয়া ব্যবসায়ী কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। বিনা লাইসেন্সে যারা ধানের স্টক করছেন তারা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, রেডি করা চাল বাজারে ছাড়তে হবে। সংকট তৈরি করা যাবে না। প্রচুর ধান আছে। বিবেক ও সততা না থাকলে মানুষ হওয়া যায় না।
সরবরাহের ঘাটতি নেই। এসময় আরসি ফুড ও ডিসি ফুডদের ফুড গ্রেইন লাইসেন্স বিহীন মজুতদারি বন্ধ করতে ও লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চতুর্থবারের মতো বিজয়ী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
১০ মাস আগে
ভরা মৌসুমেও লালমনিরহাটে সবজির দাম আকাশচুম্বী
লালমনিরহাটে অস্বাভাবিক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে এখন অধিকাংশ সবজির কেজি ৫০ টাকার উপরে। শীতের ভরা মৌসুমেও গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে।
তবে লালমনিরহাটের সবজি ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক দোহাই দিয়ে রীতিমতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন অধিকাংশ সবজির কেজি ৫০ টাকার উপরে।
জেলার স্থানীয় বাজারে একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এক কেজি বেগুনের দাম ৪০ টাকা, শিমের কেজি এখনও ৫০টাকা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে
এছাড়া একটি ফুলকপি ৪০ টাকা, আর৫৫ টাকার কমে মিলছে না বাঁধাকপিও ।
চরম ভোগান্তিতে পড়া ভোক্তারা বলছেন, বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, এবারের চিত্র ভিন্ন রকম।
গত রবিবার লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী চাপারহাট বাজার, কাকিনাহাটসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, করলা ধরন ভেদে ৬০-৭০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা ও পেঁয়াজ (দেশি) মান ভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে ফুলকপি পিসপ্রতি ৩৫-৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪২-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
চাপারহাট কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শাহিন আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
তিনি আরও বলেন, গত বছর এই সময়ে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
কাকিনা বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, সবজির মৌসুমেও সবজির দাম বেশি। তবে ক্রয় যেমন বিক্রি তেমন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকায় সবজি চাষ হওয়ার কারণে আমরা তাজা শাক-সবজি খেতে পারি। তবে এই সবজির মৌসুমে টমেটো, মুলা, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন রকম।
দুহুলী বাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ী বেলজিয়াম বলেন, গত বছর এই সময়ে ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি আলু, ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ও ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলাম। কিন্তু এই বছর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
আরও পড়ুন: শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের সহকারী উপ-পরিচালক সিফাত জাহান জানান, জেলায় শীত মৌসুমে, শাক সবজির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জিত হয়েছে, এ বছর যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়েছে, জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলাতেও যাচ্ছে।
১০ মাস আগে
ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরে অস্বাভাবিক সবজির দাম
শরীয়তপুরে সবজির বাজারে ব্যবসায়ীরা একেক দোহাই দিয়ে রীতিমতো লুটপাট করছে। কাটছে ভোক্তার পকেট। অস্বাভাবিক বেশি দামে বিক্রি করছে সবজি।
বাজারে এখন অধিকাংশ সবজির কেজি ১০০ টাকার উপরে। শীতের ভরা মৌসুমেও গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) শরীয়তপুরে সবজির বাজারে একটি লাউয়ের দাম উঠেছে ১২০ টাকা। যা তিন বা চার সদস্যের পরিবারে এক দিন হবে না।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে
এক কেজি বেগুনের দাম ১০০। শিমের কেজি এখনও ১২০ টাকা। এছাড়া একটি ফুলকপি ৬০ ও বাঁধাকপিও ৫০ টাকার কমে মিলছে না।
শীতের ভরা মৌসুমেও গত দুয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তারা। যদিও বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, তবে এবারের চিত্র ভিন্ন।
শনিবার শরীয়তপুরের ডোমসার বাজার, শৌলপাড়া, লাউখোলাসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৭০-১০০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, করলা ধরন ভেদে ৮০-১২০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা ও পেঁয়াজ (দেশি) মান ভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সবজিবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত
বাজারগুলোতে ফুলকপি পিসপ্রতি ৪০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা ও আকার ভেদে লাউ প্রতি পিস ৭০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ডোমসার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মাদবর বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
লাউখোলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাস বলেন, সবজির মৌসুমেও সবজির দাম বেশি। তবে ক্রয় যেমন বিক্রি তেমন।
তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সবজি চাষ হওয়ার কারণে আমরা তাজা শাক-সবজি খেতে পারি। তবে এই সবজির মৌসুমে টমেটো, মূলা, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন।
ডোমসার বাজারে কথা হয় এক মুদি দোকানির সঙ্গে।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি আলু, ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ও ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলাম। কিন্তু এই বছর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের বিরামপুরে সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
লাউখোলা বাজারে আকবর হোসেন বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি সবজি কেনা কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি জানান, আমাদের এলাকায় এত সবজির চাষ হয়, তবুও এত দাম কেন জানি না। ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে আসলে সবজি কিনলে মাছ-মাংস কেনার টাকা আর থাকে না।
১০ মাস আগে
সুন্দরবনে পর্যটকের খরা, হতাশায় ট্যুর অপারেটররা
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ভ্রমণের ভরা মৌসুম চলছে এখন। কিন্তু কাঙ্খিত পর্যটকের দেখা মিলছে না। করোনা মহামারি শুরুর আগের বছর গুলোতে এই সময় প্রতিদিন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখোরিত ছিল সুন্দরবন।
পর্যটনের ভরা মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবনে এবার পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। পর্যটকদের জন্য বন বিভাগের অতিরিক্ত হারে ভ্রমণকর নির্ধারণ ও জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটকরা সুন্দরবনে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়েছে। কাঙ্ক্ষিত পর্যটক না পাওয়ায় পর্যটনের সঙ্গে জড়িত বিপুল সংখ্যক মানুষ বেকার সময় পার করছেন বলে ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন।
সেই হিসেবে এবছর সুন্দরবনে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এমনকি বহুল পরিচিত স্পটগুলোতেও পর্যটকদের তেমন দেখা মিলছে না। পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিবর্তে কমে যাওয়ায় সুন্দরবন ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে জড়িতরা হতাশায় ভুগছে। পর্যটকের সংখ্যা কেন হৃাস পেয়েছে তার সঠিক কারণ কেউ বলতে পারছে না।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষনীয় স্থান। সুন্দরবনে ভ্রমণে আসা অধিকাংশ পর্যটক করমজলে আসেন। করোনার আগের বছর গুলোতে এই সময়ে প্রতিদিন করমজলে কয়েকশত পর্যটকের দেখা মিলেছে। সেই করমজলে মাত্র ২০ জন পর্যটককে ঘুরতে দেখা গেছে। অনেকটাই ফাঁকা ছিল করমজল।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আরও ৪ ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হচ্ছে
১ বছর আগে