লি মিউং-বাক
দুর্নীতির অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট লিকে বিশেষ ক্ষমা ঘোষণা দ. কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়েলের সরকার দুর্নীতির অপরাধে ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত সাবেক প্রেসিডেন্ট লি মিউং-বাককে এক বিশেষ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার বিশেষ ক্ষমাপ্রাপ্ত এক হাজার ৩৭৩ সাজাপ্রাপ্তের মধ্যে লি অন্যতম।
তারা আরও জানায়, একটি জাতীয় ঐক্য প্রচারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লি’র মতো কিছু রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
৮১ বছর বয়সী লি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে জুন মাসে অস্থায়ীভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
সিইও থেকে পরবর্তীতে রক্ষণশীল রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া লি স্যামসাং সহ বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নেয়া, তার মালিকানাধীন একটি কোম্পানির তহবিল আত্মসাৎ এবং ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে এবং তার সময়কালে (প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনকালে) অন্যান্য দুর্নীতি-সম্পর্কিত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন।
তিনি ব্যবসায়িক থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ব্যক্তি এবং তার দেশের অর্থনৈতিক উত্থানের প্রতীক ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিউলে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ পিপিপি প্লাটফর্ম মিটিং অনুষ্ঠিত
১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি হুন্দাই গ্রুপের কনস্ট্রাকশন আর্মে এন্ট্রি-লেভেল চাকরির মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক কর্মজীবন শুরু করেন। আগে তিনি হুন্দাই গ্রুপের অধীনে ১০টি কোম্পানির সিইও পদে অধিষ্ঠিত হন। এবং ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে হুন্দাই গ্রুপের দ্রুত উত্থানের নেতৃত্ব দেন।
তার উত্তরসূরি ও সহকর্মী রক্ষণশীল পার্ক জিউন-হেকে ২০১৬-১৭ দুর্নীতি কেলেঙ্কারির জন্য ক্ষমতাচ্যুত এবং কারাগারে পাঠানোর পরে লি’র দুর্নীতির মামলাটি শুরু হয়েছিল। সাবেকদের কেলেঙ্কারিগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীলদের গভীরভাবে আঘাত করেছে এবং দেশটির জাতীয় বিভাজন আরও গভীর করেছে।
পার্ক দীর্ঘ কারাভোগ করেছেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ইউনের উদারপন্থী পূর্বসূরি মুন জে-ইন ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তাকে ক্ষমা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ নিয়ে যেতে আগ্রাহী কোরিয়া
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
১ বছর আগে