দ্বিতীয়বার
টানা দ্বিতীয়বার রসিক মেয়র নির্বাচিত জাপার মোস্তাফিজুর রহমান
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে মোস্তফা এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮টি ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আমিরুজ্জামান ৪৯ হাজার ৮৯২টি ভোট পেয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া থেকে মোস্তফা এগিয়ে ছিল এক লাখ ২৪ হাজার ৪৯২ ভোটের বিশাল ব্যবধানে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) লতিফুর রহমান দৌড়ে ৩৩ হাজার ৮৮৩টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ, গণনা শুরু
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে ভোট গণনা শেষ হলে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন।
মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে মোস্তফা ‘লাঙল’ প্রতীক নিয়ে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান ‘হাত পাখা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রংপুর জাতীয় পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, কারণ দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এইচএম এরশাদ জেলাবাসী ছিলেন।
রিটার্নিং অফিসার বলেন, রসিক নির্বাচনে চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জনের মধ্যে দুই লাখ ৭৯ হাজার জনের বেশি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, শতকরা হিসাবে যা ৬৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে সকাল ৮ টায় রংপুরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত চলে, তবে বিকাল ৪ টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অন্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শফির রহমান, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান।
জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোস্তাফিজুর বলেন, এটা তার জয় নয়, কৃতিত্ব নগরবাসীর।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ শুরু
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রথম রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান মেয়রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম ব্যবহারে ধীরগতিতে ভোট চলছে।
ভোট কেন্দ্রে দীর্ঘ সারি থাকায় সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত ভোট চলতে পারে বলেও জানান তিনি। ভোট বিলম্বের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে ধীরগতির ভোট গ্রহণের কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে কেন্দ্রের সকল ভোটার রাত পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।’
নির্বাচন কমিশন কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ
১ বছর আগে