সরকারের পতন
চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন, পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার (১৬ অক্টোবর) বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে শিগগিরই চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি।
তরুণদের সমাবেশে তিনি রাজপথে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলন সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করা এবং অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য মুক্ত করা।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বিএনপির যুব শাখার বিশাল সমাবেশ দুর্গাপূজার কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হওয়া বিরোধী দলের চূড়ান্ত আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করছি, কারণ আমাদের অনেক ভাই তাদের জীবন ও রক্ত উৎসর্গ করেছে, আমাদের অনেক মা-বোন নির্যাতিত হয়েছে, আমাদের অনেক শিশু তাদের বাবাকে হারিয়েছে এবং আমাদের অনেক মা তাদের সন্তানদের হারিয়েছে। সুতরাং, আমাদের পিছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এবং সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ বিএনপির এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
বিজয়নগর থেকে ফকিরাপুল ক্রসিং পর্যন্ত চলা এই র্যালিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাল-সবুজ টুপি পরিহিত হাজার হাজার যুবক-যুবতী অংশ নেন। তাদের অনেককে মাথায় সাদা কাফন পড়ে সমাবেশে বসে থাকতে দেখা গেছে।
তরুণদের বিশাল সমাবেশকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যায়িত করে ফখরুল বলেন, এই সমাবেশ অবশ্যই দেশের জনগণকে নতুন উদ্যম ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এই ভয়ানক ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব, যারা আমাদের বুকের ওপর বড় পাথরের মতো বসে আছে।’
শর্ত প্রত্যাহার করলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সাংবিধানিকভাবে বৈধ কিনা, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) এটা প্রমাণ করতে হবে। আমি বলছি আপনারা সাংবিধানিকভাবে বৈধ নন।’
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অসাংবিধানিকভাবে এনে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক প্রথমে দেশ ও জনগণের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দুটি জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে একটি সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন।
এই আওয়ামী লীগ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই জনগণকে সম্পূর্ণ প্রতারিত করে সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেছে। আপনারা যেমন বলছেন, নির্বাচন সংবিধানের ভিত্তিতে হওয়া উচিত; তাই আপনাদেরকে (সরকারকে) প্রথমে পদত্যাগ করতে হবে, কারণ আপনারা অবৈধ।
সংবিধান লঙ্ঘন এবং জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণ বর্তমান সরকারকে ক্ষমা করবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে ক্ষমতা ছাড়তে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: সঠিক পথে আন্দোলন, এবার ভোটার ছাড়া নির্বাচন হবে না: ফখরুল
পর্দার আড়ালে আসলে কিছুই হয়নি: ফখরুল
১ বছর আগে
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রোডমার্চ চলবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রংপুর থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ কর্মসূচি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
তিনি বলেন, ‘রংপুরের কৃষক নেতা নূরলদীন বাংলাদেশের মানুষকে ব্রিটিশ শাসনামলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজ তরুণ সমাজ সেই রংপুর থেকে লুটেরা-ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়ার ডাক দিচ্ছে।’
শনিবার রংপুরে তারণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি পরিষ্কার- পদত্যাগ করুন, আপনাকে (শেখ হাসিনা) দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। আপনি সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। জনগণ অংশগ্রহণ করবে, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করবে।’
ফখরুল বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে আজ লাখ লাখ মানুষ অংশ নিচ্ছে। এই জনগণের উত্তাল তরঙ্গে এই সরকার ভেসে যাবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, লবণ, তেল, বিদ্যুতের দামসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিদ্যুৎও পায় না। দুর্নীতি করে সব কিছু বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। দেখবেন, রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ তো তারা চুরি করছে।’
ফখরুল বলেন, এই তরুণরা বাংলাদেশের সবচেয়ে সূর্য সন্তান, তাদের চাকরি নেই। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তরুণরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গেলে বিএনপির নাম-গন্ধ থাকলেও সেটা করতে পারে না।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
১ বছর আগে
বিএনপির ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তাদের দলের ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন ঘটানো।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশকে যে পরিস্থিতি নিয়েছে সেখান থেকে দেশকে বাঁচাতে আমরা ১০ দফা ঘোষণা করেছি..আসলে ১০ দফার মূল পয়েন্ট হলো সরকারের পতন। এই সরকারের পতন করতে পারলে ১০ দফার সবগুলো পূরণ হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ ইতোমধ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমেছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমি এখানে (মিটিংয়ে) শুনেছি যে ১১-দলীয় জাতীয়তাবাদী জোট যাত্রা শুরু করেছে। এর আগে ১২টি দল জোট গঠন করে ঘোষণা দেয় এই সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে বাঁচাবে। এভাবেই গণতন্ত্র মঞ্চ গঠিত হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কারাবন্দি বিরোধী নেতাদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ১০ দফা কোনো দলের দাবি নয়, জনগণের দাবি। ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই মানুষের।’
তিনি বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের সমস্যা সমাধানে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ ও সব গণতান্ত্রিক দলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিশেষ অভিযানের নামে গত ১৫ দিনে সারাদেশে প্রায় ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা।
মির্জা ফখরুলসহ গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
১ বছর আগে