নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পাড়ছেন না।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে থাকে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের বানিয়া পাড়া এলাকার হাফিজুদ্দি বলেন, ‘ঠাণ্ডায় আমার অবস্থা শেষ। হাতে টাকা-পয়সা নাই, শীতের কাপড় কিনতে পারি নাই। মানুষ একটা জ্যাকেট দিছে সেটা দিয়ে একটু ঠাণ্ডা কমেছে।’
একই এলাকার মান্নান মিয়া বলেন, ‘আজ কুয়াশা কম কিন্তু সেই ঠাণ্ডা। হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। বাতাস কাবু করে ফেলছে।’
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘কিছুদিন আগে মাদরাসার ছাত্রদের জন্য ২০০ কম্বল পেয়েছি, তা বিতরণ করা হয়েছে। আর কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। তবে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এইরকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসের মধ্যে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।’
১০ মাস আগে
নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা কমাতে সংস্কার আবশ্যক: বক্তারা
নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর জন্য পরোক্ষ করের বোঝার কারণে বাংলাদেশে আয় বৈষম্য বাড়ছে, অন্যদিকে ধনী ব্যক্তিরা তাদের আয় ও সম্পদের তুলনায় কম পরিশোধ করছে।
বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক ইনে আয়োজিত ‘বৈষম্য মোকাবিলা এবং রাজস্ব বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ করের ব্যবহার’ শীর্ষক নীতিগত সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নতুন রাজনৈতিক জোটের ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ আত্মপ্রকাশ
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সংলাপে বক্তব্য দেন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ, বিসিএস (ট্যাক্স) একাডেমির মহাপরিচালক এম এম ফজলুল হক, ঢাবির অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ, অর্থ বিভাগের (বাজেট) যুগ্ম সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইআরডি যুগ্ম সচিব মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. রাজ্জাক মূল প্রবন্ধে ব্যাখ্যা করেন যে একটি অন্যায্য কর ব্যবস্থার কারণে উৎপাদন, কৃষি ও অন্যান্য খাতে প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও সমাজে আয় বৈষম্য বাড়ছে।
দেশের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে কর ব্যবস্থার সংস্কার না হলে এই আয় বৈষম্য আরও বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য অনেক অর্থনীতি ক্ষুদ্র জিডিপির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ তার রাজস্বের মাত্র ৩৫ শতাংশ আয় করে প্রত্যক্ষ কর থেকে। যার ৬৫ শতাংশ অপ্রত্যক্ষ কর। অন্যান্য দেশের মতো দেশের (বাংলাদেশ) অর্থনীতির আয়তন বিবেচনা করে এটি সরাসরি কর থেকে ৭০ শতাংশ রাজস্ব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
ড. রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি এনবিআর মোট রাজস্বের প্রত্যক্ষ করের অংশ ৩৫ থেকে ৭০ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে। যা একটি স্বাগত উদ্যোগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালিত করবে এবং জনসেবা প্রদানে সরকারের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা জোরদার করবে।
তবে লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আবদুল মজিদ বলেন, এনবিআরকে সরকারি সংস্থা নয়, রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই এনবিআরকে সরকারের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। বরং, এটি রাষ্ট্রের পক্ষে একটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত।’
তিনি কর ব্যবস্থা ও এনবিআর সংস্কার করে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি
১ বছর আগে