সংসদীয় আসন
বাগেরহাটে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে কমিটির নেতাকর্মীরা বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন এবং অফিসের প্রধান ফটক ঘিরে রাখেন।
এ সময় নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। এই ঘেরাও কর্মসূচি দুপুর একটা পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্দলোনকারীরা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিক্ষোভ-অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি হরতাল কর্মসূচি স্থগিত করেছে। তবে কমিটির নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথের আন্দোলনও চলবে।
কমিটির সদস্যসচিব ও জামায়েতে ইসলামী বাংলাদশের জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, ‘আমরা হরতাল বাতিল করেছি, যাতে দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি না হয়। উচ্চ আদালত ১০ দিনের রুল জারি করেছেন, আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশাবাদী। চারটি আসন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনকে কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী।
তা সত্ত্বেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যা জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন।
নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, নতুন আসনবিন্যাস হলো— বাগেরহাট-১: (বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২: (ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা), বাগেরহাট-৩: (কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে আসনবিন্যাস ছিল— বাগেরহাট-১: (চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট), বাগেরহাট-২: (বাগেরহাট সদর, কচুয়া), বাগেরহাট-৩: (রামপাল, মোংলা), বাগেরহাট-৪: (মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)।
৭৯ দিন আগে
সীমানা নির্ধারণ আলোচনা: ইসিকে গাজীপুরের সমর্থন, আরও আসনের দাবি মানিকগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জের
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত সংক্ষুব্ধদের আপত্তি নিয়ে শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার(২৬ আগস্ট) বেশ কয়েকটি আসনের উপর আপত্তি নিয়ে শুনানি করে কমিশন। এদিন গাজীপুরের প্রতিনিধিরা জেলায় সংসদীয় আসনের সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয়টি করার উদ্যোগের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রশংসা করেছেন।
অন্যদিকে শুনানিতে অংশ নেওয়া মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের প্রতিনিধিরা তাদের জেলায় সংসদীয় আসনের সংখ্যা বিদ্যমান তিনটি থেকে বাড়িয়ে চারটি করার দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার বাগেরহাট জেলার প্রতিনিধিরা ৩০০টি আসনের সাম্প্রতিক খসড়া সীমানা নির্ধারণে জেলায় সংসদীয় আসনের সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে তিনটি করায় ইসির সমালোচনা করেন। আসন বিন্যাসের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ৩৯টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়।
আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে রবিবার (২৪ আগস্ট) থেকে নির্বাচন কমিশন সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণের শুনানি শুরু করেছে। আপত্তি এবং সুপারিশ নিষ্পত্তির জন্য ২৭ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি করবে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে মঙ্গলবারের শুনানিতে গাজীপুরের প্রতিনিধিরা তাদের জেলায় আসন সংখ্যা ছয়টিতে উন্নীত করার পদক্ষেপের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ইসির সিনিয়র সচিবের পরিচালনায় আরও চার নির্বাচন কমিশনার - আবদুর রহমানেল মাসুদ, তাহমিদা আহমেদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর-৩ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা একেএম ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা হলো গাজীপুরে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সিইসি ও অন্যান্য কমিশনাররা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সততা, আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন। ‘গাজীপুরের জনগণের প্রতি আপনাদের উদারতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আপনারা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
মিলন কমিশনকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা আপনার পাশে থাকব এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা দেবো। ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন হোক বা সংগ্রাম, আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসিকে সমর্থন ও সহযোগিতা করব।’
জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনার আগমনে আমরা ধন্য।’
শুনানি থেকে বেরিয়ে এসে গাজীপুর শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণকারী নির্দিষ্ট কিছু থানা এবং ওয়ার্ডকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ছোটখাটো দাবি উত্থাপন করেন। ‘বাকিরা ইসির পক্ষে ছিলেন। আসন বৃদ্ধির জন্য আমরা কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি,’ বলেন তারা।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম ফজলুল হক মিলন সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনী এলাকা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে। ‘আমরা ইসিকে অভিনন্দন জানাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আমাদের কিছু ছোটখাটো দাবি ছিল, যা অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আইন পরিবর্তন হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে: সিইসি
এদিকে, মানিকগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, তাদের জেলায় সংসদীয় আসনের সংখ্যা ২০০৮ সালের সীমানা নির্ধারণের আগে যেমন ছিল, অর্থাৎ বিদ্যমান তিনটি থেকে চারটি করা হোক।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, ২০০১ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জে চারটি আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে এই সংখ্যা কমিয়ে তিনটি করা হয়, যার ফলে সংসদে প্রতিনিধিত্ব কমে যায়।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু মাত্র তিনটি আসন রয়েছে, মানিকগঞ্জের জন্য বরাদ্দও কমেছে। আমরা চারটি আসন পুনর্বহালের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি।’
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা বলেন, তিনি মানিকগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে ইসিতে এসেছিলেন। ‘২০০১ সালের মতো চারটি আসনের দাবি মানিকগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে রয়েছে।’
মুন্সীগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে একজন প্রতিনিধি বলেন, মুন্সীগঞ্জে এখন তিনটি আসন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২০০১ সালের মতো আসন সংখ্যা বাড়িয়ে চারটি করার দাবি জানিয়েছি। আমরা প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়টিও তুলে ধরেছি।’
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি খসড়া সীমানা প্রকাশ করে। এর ফলে ১৪টি জেলার ৩৯টি নির্বাচনী এলাকার সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়।
খসড়া অনুসারে, গাজীপুরের নির্বাচনী এলাকায় আসন পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয়টি এবং বাগেরহাটের নির্বাচনী এলাকায় আসন চার থেকে কমিয় তিনটি করা হয়।
নতুন সীমান নির্ধারণের ফলে পরিবর্তন আসান ৩৯টি নির্বাচনী এলাকা হলো: পঞ্চগড়-১ ও ২; রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; শরীয়তপুর-২ ও ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬ নম্বর আসন, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫; সিলেট-৩ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১, নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫, চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩।
খসড়াটি সীমানা প্রকাশের পর কমিশন ৩টি নির্বাচনী এলাকার প্রায় ১ হাজার ৭৬০টি আবেদন পেয়েছে।
রবিবার(২৪ আগস্ট) কুমিল্লা অঞ্চলের ছয়টি জেলার ১৮টি আসনের উপর ৮১১টি আবেদনের শুনানি করেছে ইসি। এর মধ্যে ৪২৯টি বিপক্ষে এবং ৩৮২টি সমর্থন করেছে। সোমবার(২৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলের নয়টি জেলার ২০টি আসনের ৫১৩টি আবেদনের শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে কমিশনের বিপক্ষে ছিল ২৩৮টি ও পক্ষে ছিল ২৭৫টি।
মঙ্গলবার ঢাকা অঞ্চলের ছয়টি জেলার ২৭টি আসনের আবেদনের শুনানি হয়েছে, আর রংপুর, রাজশাহী, সিলেট এবং ঢাকা অঞ্চলের ১২টি জেলার ১৮টি আসনের আবেদনের শুনানি হবে বুধবার।
২৭ আগস্ট শুনানি শেষ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকার চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১০১ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা বদলে বড় উদ্যোগ ইসির
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ প্রক্রিয়ায় ২০০১ সালের সীমানা ফিরিয়ে আনার দাবিকে ঘিরে আসা ৪০০টির বেশি আবেদন যাচাই করছে কমিশন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৬টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের দাবিতে ৪১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ আবেদনেই ২০০১ সালের সীমানা পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে।
পিরোজপুর-২ (কাউখালী, ভাণ্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনের জন্য জমা পড়েছে সর্বোচ্চ ১০৩টি আবেদন। এরপর রয়েছে কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসন, যার জন্য জমা পড়েছে ৯২টি আবেদন।
এ ছাড়া মানিকগঞ্জে একটি নতুন আসনের দাবিতে ৩৮টি এবং চাঁদপুরে অতিরিক্ত একটি আসনের দাবিতে ৯টি আবেদন জমা পড়েছে।
সম্প্রতি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারির পর ইসি সীমানা পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়। এ প্রক্রিয়ায় জনগণের আবেদন, সর্বশেষ আদমশুমারি এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক ঐক্যতানকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার শনিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আবেদনগুলো খতিয়ে দেখছি। যেটির যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে সব আসনের সীমানা বদলাবে এমন নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যৌক্তিক আবেদন ছাড়াও আদমশুমারির তথ্য ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলের আসন কমে গ্রামীণ এলাকায় বাড়তে পারে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হতে পারে।
খসড়া সীমানা গেজেট আকারে প্রকাশ করে আপত্তির সুযোগ দেওয়া হবে। আপত্তির নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করবে কমিশন। ২০০৮ সালের পর এবারই সবচেয়ে বড় পরিসরে সীমানা পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
ওই বছর ১০০টির বেশি আসনের সীমানা বদলানো হয়েছিল। তবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে খুব সামান্য পরিবর্তনই হয়।
সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেছেন, ‘আলোচনার ভিত্তিতে কাজটি না হলে আদালতে রিট হতে পারে, যা নির্বাচনে বিলম্ব ঘটাতে পারে।’
উল্লেখযোগ্য ৬৬টি আসনের মধ্যে রয়েছে— সাতক্ষীরা-৩ ও ৪, রংপুর-১, বরগুনা-১ ও ২, পিরোজপুর-১ ও ২, কিশোরগঞ্জ-২, মানিকগঞ্জ-১, ২ ও ৩, মুন্সিগঞ্জ-১, ২ ও ৩, ঢাকা-১, ২, ৩, ৭ ও ১২, গাজীপুর-৩ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ-১ থেকে ৫, রাজবাড়ী-১ ও ২, ফরিদপুর-৪, শরিয়তপুর-২, সিলেট-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০, চাঁদপুর-১ থেকে ৫, ফেনী-২ ও ৩, নোয়াখালী-১ থেকে ৪, চট্টগ্রাম-৪, ৫, ৭ ও ৮, গাইবান্ধা-৩, সিরাজগঞ্জ-২, ৫ ও ৬, যশোর-২, ঝালকাঠি-২ এবং বরিশাল-৩।
১৯২ দিন আগে
চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের ৭২% কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মোট ভোটকেন্দ্র আছে ২ হাজার ২৩টি। এরমধ্যে ১ হাজার ৪৫৯টি ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। অর্থাৎ ৭২ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, নগরীর ছয়টি আসনের ৬৬০টি ভোটকেন্দ্রে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলার ১০টি আসনের ১ হাজার ৩৬৩টি ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। এরমধ্যে সিএমপি এলাকায় ৪৪৬টি ভোটকেন্দ্র এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০টি আসনে ১ হাজার ১৩টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতি ১০টি কেন্দ্রের জন্য সিএমপির একটি মোবাইল টহল টিম মোতায়েন থাকবে। নগরীর সব ভোট কেন্দ্রের জন্য থাকবে ৪২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স। ৬ ও ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত ১৫টি মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। নগরীর ছয় আসনে ৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সাত প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবে। উপজেলার আওতাধীন আসনগুলোতে ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৩টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘নগরীর ছয়টি আসনে ৪৪৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং ১৫ জন আনসার সদস্য থাকবে। পাশাপাশি মোবাইল টিম, থানা এবং কন্ট্রোল রুমে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের কে-নাইন ইউনিটকেও স্ট্রাইকিং হিসেবে রাখা হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এর একটি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত, একটি নির্বাচনের দিন এবং অপরটি নির্বাচন পরবর্তী সময়ের জন্য।’
জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানান, জেলা এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে দুজন অস্ত্রধারী পুলিশ, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রগুলোতে তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য, এক অথবা দুজন গ্রাম পুলিশ সদস্য। এছাড়াও সেনা ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি
৭০০ দিন আগে
দুই মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বৈধ: আপিল বিভাগ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ এবং সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান, আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারি
শুনানিতে আপিল বিভাগ অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদে সীমানা পুর্নির্ধারণের আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই ক্ষমতাবলেই সংসদ বা সরকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী পিরোজপুর ১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছে ইসি।
তিনি বলেন, আর এই সীমানা পুনর্নির্ধারণ কোনো আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না বলেও সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রাথমিক প্রস্তাবনায় কোনো পরিবর্তন না থাকায় আপত্তি দেওয়ার সুযোগ হয়নি। তাই এখানে সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনের পুরো প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছেন। আইনের কোন ব্যত্যয় হয়নি। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিটকারীরা।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে মেয়র জাহাঙ্গীরের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
গত ৩০ জুলাই মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ২ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী।
এর আগে পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।
গত ৩ জুন প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানি উপজেলা। আর পিরোজপুর-১ আসন থেকে কেটে নেছারাবাদ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে। ফলে এখন পিরোজপুর-১ আসনের সীমানায় থাকছে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলা।
অন্যদিকে পিরোজপুর-২ আসনে থাকছে কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ উপজেলা। ইন্দুরকানি উপজেলা বাদ দিয়ে এখানে নেছারাবাদকে যুক্ত করায় নাখোশ এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য হলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য, মেয়রকে আপিল বিভাগে তলব
৭৮১ দিন আগে
গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষে ও শান্তিপুর্ণ।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
তিনি আরও জানান, যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকবেন তারা নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলে অন্যকেও আচরণ বিধি মানতে সহযোগিতা করবেন।
নির্বাচনে কোনো প্রকার ত্রুটি হলে আবারও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাপা প্রার্থী গোলাম শহীদ রন্জু, বিকল্প ধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুব রহমান।
পরে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা গাইবান্ধা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হয় আসনটি।
১২ অক্টোবর এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে নির্বাচন কমিশন সবগুলো কেন্দ্রের ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন।
পরে আবারও তদন্তের পর ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
১০৭২ দিন আগে