ড্র
আট গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আতলেতিকো মাদ্রিদের
দারুণ সব ফুটবলারে ভরা অসাধারণ ভারসাম্যের আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে কেমন খেলবে বার্সেলোনা—তা নিয়ে দলটির সমর্থকদের অনেকেই ছিলেন সংশয়ে। তবে চলতি মৌসুমের প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দলটির বিপক্ষে হতাশা সঙ্গী হয়েছে কাতালান জায়ান্টদের।
মঙ্গলবার রাতে বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-৪ গোলে ড্র করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ম্যাচের প্রথম ৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও একপর্যায়ে ৪-২ গোলে পিছেয়ে পড়েছিল দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। কিন্তু শেষের দিকে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের সমন্বয়হীনতা আর রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমতায় ফেরার স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মাদ্রিদের দলটি।
অপরদিকে, ৪-২ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে সেই ব্যবধান খোয়ানোয় বার্সেলোনার সঙ্গী হয়েছে হতাশা।
পরের লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আতলেতিকোর মাঠে। ফলে এই ড্রয়ের পরে ঘরের মাঠে নিজ সমর্থকদের সামনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ থাকবে তাদের।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
ম্যাচ শুরু হতেই এদিন স্বাগতিকদের চেপে ধরে গোল আদায়ের চেষ্টা করে আতলেতিকো মাদ্রিদ, তাতে দারুণ সাফল্য পায় দলটি। প্রথম মিনিটেই আন্তোয়ান গ্রিজমানের ক্রসে বার্সার ডি-বক্সের ভেতর থেকে হেডারে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন হুলিয়ান আলভারেস, কিন্তু বল ক্রসবার ঘেঁষে জালের ঢোকার আগমুহূর্তে তা ক্লিয়ার করেন ভয়চিয়েখ স্টান্সনি।
তবে পরের মুহূর্তে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি বার্সার এই পোলিশ গোলরক্ষক। কর্নার থেকে ছোট পাসে বল পেয়েই গোলমুখে উড়িয়ে দেন গ্রিজমান, এরপর দূরের পোস্টের কাছ থেকে হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন আলভারেস।
প্রথম মিনিটেই গোল হজম করার পর সমতায় ফেরায় মনোযোগ দেয় বার্সেলোনা। তবে তাদের হাই ডিফেন্স লাইন ভেঙে ষষ্ঠ মিনিট পড়তেই আরও এক গোল করে এগিয়ে যায় আতলেতিকো মাদ্রিদ।
এবারও সেই আলভারেস-গ্রিজমান যুগলবন্দি, তবে এবারের গোলটি করেন গ্রিজমান। আলভারেসের ডিফেন্সচেরা পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে খানিকটা এগিয়ে আসা স্টান্সনিকে বোকা বানান ফরাসি তারকরা।
৩৮ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউট ড্র: মুখোমুখি দুই মাদ্রিদ, বার্সেলোনার স্বস্তি
প্লে-অফ থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত হওয়ার পর এবার হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ড্র। নতুন নিয়মের এই ড্রয়ে বেশ কয়েকটি বড় দল তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষ পেলেও সেয়ানে সেয়ানে লড়াইও দেখা যাবে কয়েকটি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় সুইজারল্যান্ডের নিয়নে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শুধু শেষ ষোলো নয়, ফাইনাল পর্যন্ত যেতে কোন দলের কী সমীকরণ, সে পথও স্পষ্ট করা হয়েছে।
নতুন ফরমেটে অনুষ্ঠিত এবারের টুর্নামেন্টে নতুন নিয়মেই হয়েছে ড্র। এতে দুটি ‘লিগ ক্লাসিক’ লড়াই দেখার সুযোগ মিলবে দর্শকদের। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও বায়ের লেভারেকুজেন। শাবি আলোনসোর হাতের ছোঁয়ায় গত মৌসুম থেকে জ্বলে ওঠা লেভারকুজেনই বর্তমানে বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ড্র হয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। ফলে লা লিগা, কোপা দেল রের পর এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।
তবে বার্সেলোনার সামনে পিএসজির মতো সম্প্রতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা দল পড়ার সম্ভাবনা থাকলে এ যাত্রায় সেই বিপদ কেটেছে দলটি। অপর সম্ভাব্য দল বেনফিকাই পড়েছে তাদের সামনে। ফলে ফাইনালের আগে আর বার্সেলোনার সঙ্গে তাদের দেখা হওয়ার সুযোগ নেই।
আর এতে করে চলতি মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য লিভারপুলের সঙ্গী হয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তাই চরম হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের দিকে বিশেষ নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।
এ ছাড়াও অনেক বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়া অ্যাস্টন ভিলার প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে ক্লাব ব্রুজের নাম। আর আর্সেনাল, ইন্টার মিলান ও ডর্টমুন্ড পেয়েছে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ।
এক নজরে শেষ ষোলোর ড্র
• ক্লাব ব্রুজ-অ্যাস্টন ভিলা • লিল-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড • রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকো মাদ্রিদ • বায়ার্ন মিউনিখ-বায়ের লেভারকুজেন • পিএসভি আইন্ডহোভেন-আর্সেনাল • ফেয়েনুর্ড-ইন্টার মিলান • পিএসজি-লিভারপুল • বেনফিকা-বার্সেলোনা
(পরের দলটি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার সুবিধা পাবে।)
৪২ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: নকআউটে গেল কারা, কে হচ্ছে কার প্রতিপক্ষ, ড্র কবে
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আট দল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। গত দুদিন প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে বাকি আট দলও।
দুটি অঘটনের জন্ম দিয়ে শেষ হয়েছে প্লে-অফ পর্ব। ওই দুই ম্যাচে দুই ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ড ও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ইতালির দুই ক্লাব এসি মিলান ও ইউভেন্তুস।
এছাড়া, ক্লাব ব্রুজের কাছে হেরে আতালান্তা, বেনফিকার কাছে হেরে মোনাকো, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে স্পোর্তিং এবং রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির মতো বড় বড় ক্লাবগুলোর।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
যাইহোক, যোগ্যতার লড়াইয়ে নকআউট পর্বের শেষ আট দল চূড়ান্ত হয়েছে। সেগুলো হলো— ফেয়েনুর্ড, ক্লাব ব্রুজ, বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা, ডর্টমুন্ড, আইন্ডহোভেন, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
আগামীকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের নিয়নে শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই জানা যাবে শীর্ষ আট দলের কার প্রতিপক্ষ হচ্ছে কোন দল।
তবে উয়েফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি দলেরই সম্ভাব্য দুই প্রতিপক্ষের নাম আগেই নিশ্চিত হয়েছে। এই দুই দলের ভেতর থেকেই এক দল নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে খেলবে।
শেষ ষোলোতে কে কার প্রতিপক্ষ
লিভারপুল: পিএসজি/বেনফিকা
বার্সেলোনা: বেনফিকা/পিএসজি
আর্সেনাল: পিএসভি/ফেয়েনুর্ড
ইন্টার মিলান: ফেয়েনুর্ড/পিএসভি
আতলেতিকো মাদ্রিদ: বায়ার্ন মিউনিখ/রিয়াল মাদ্রিদ
বায়ের লেভারকুজেন: রিয়াল মাদ্রিদ/বায়ার্ন মিউনিখ
লিল: ক্লাব ব্রুজ/ডর্টমুন্ড
অ্যাস্টন ভিলা: ডর্টমুন্ড/ক্লাব ব্রুজ
রিয়াল মাদ্রিদ: লেভারকুজেন/আতলেতিকো মাদ্রিদ
পিএসজি: বার্সেলোনা/লিভারপুল
বায়ার্ন মিউনিখ: আতলেতিকো মাদ্রিদ/লেভারকুজেন
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড: অ্যাস্টন ভিলা/লিল
বেনফিকা: বার্সেলোনা/লিভারপুল
পিএসভি: আর্সেনাল/ইন্টার মিলান
ক্লাব ব্রুজ: লিল/অ্যাস্টন ভিলা
ফেয়েনুর্ড: ইন্টার মিলান/আর্সেনাল
উল্লেখ্য, শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৪ ও ৫ মার্চ এবং দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে এক সপ্তাহ পর ১১ ও ১২ মার্চ।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
শীর্ষ আট দল দ্বিতীয় লেগ ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে এবং প্লে-অফ থেকে নকআউট পর্বে ওঠা দলগুলোকে প্রথম লেগই ঘরের মাঠে খেলতে হবে।
এক নজরে শেষ ষোলোর শীর্ষ আট দল
লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, আতলেতিকো মাদ্রিদ, বায়ের লেভারকুজেন, লিল ও অ্যাস্টন ভিলা।
প্লে-অফ থেকে আসা বাকি আট দল
ফেয়েনুর্ড, ক্লাব ব্রুজ, বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা, ডর্টমুন্ড, আইন্ডহোভেন, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
বাদ পড়ল যারা
এসি মিলান, আতালান্তা, সেল্টিক, মোনাকো, স্পোর্তিং, ইউভেন্তুস, ব্রেস্ত ও ম্যানচেস্টার সিটি।
৪৪ দিন আগে
ওসাসুনায় ড্র, শীর্ষস্থান থেকে তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় রিয়াল মাদ্রিদ
নতুন বছরে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় হারে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা হাতছাড়া হলেও লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জানুয়ারি মাসজুড়ে অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ওই একটি ছাড়া বাকি সবগুলো ম্যাচ জিতলেও ফেব্রুয়ারি পড়তেই লা লিগায় ভুগছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই মাসে আগের দুই ম্যাচের একটিতে হার ও অন্যটি ড্র করার পর আজ তৃতীয় ম্যাচেও পয়েন্ট হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
লা লিগার ২৪ রাউন্ডের ম্যাচে শনিবার ওসাসুনার এল সাদার স্টেডিয়ামে দলটির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আরও দুই পয়েন্ট হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে করে লিগে সবশেষ তিন ম্যাচ মাত্র দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করল দলটি।
এর ফলে শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। শুধু তা-ই নয়, এই রাউন্ডে স্ব স্ব ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা জিতলে শীর্ষস্থান থেকে একেবারে তিন নম্বরে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: আবারও সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি, বার্সেলোনার হাসি
এদিন ফেদেরিকো ভালভের্দের অ্যাসিস্টে ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটেই ঠিকানা খুঁজে নিয়ে রিয়ালকে ভালো শুরু এনে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ৩৯তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় চ্যাম্পিয়নরা, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় দলটির অতি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় জুড বেলিংহ্যামকে।
এ সময় রিপ্লেতে কোনো ফাউল করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে রেফারির সঙ্গে কিছু একটা বলতে বলতে এগিয়ে আসছিলেন বেলিংহ্যাম। সম্ভবত আপত্তিকর কোনো মন্তব্যের জন্য লাল কার্ড দেখেন এই ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড ধরে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠলে ১৩ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে ওসাসুনা।
এ সময় বক্সের মধ্যে খুব কাছ থেকে জন মনকায়োলার নেওয়া শট কোর্তোয়া ফিরিয়ে দিলে দ্বিতীয় চেষ্টায় আন্তে বুদেমিরের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। শট নেওয়ার পরপরই তাকে ফাউল করে বসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, আর ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি হোসে মুনুয়েরা মন্তেরো। এরপর সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান বুদিমির।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলে ধরাশায়ী রিয়াল মাদ্রিদ
বাকি সময়ে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করে রিয়াল মাদ্রিদ, তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় এগিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি ভিনি-এমবাপ্পেদের। এরপর যোগ করা সময়ে এগিয়ে যেতে পারত দুই দলই, তবে সেই প্রচেষ্টাগুলোও ব্যর্থ হলে ১-১ সমতায়ই শেষ হয় ম্যাচ।
এই ড্রয়ের ফলে ২৪ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
দিনের অপর ম্যাচে ঘরের মাঠে সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদ। ম্যাচটি জিতে ২৪ ম্যাচে (১৫ জয় ও ৭ ড্র) ৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ থাকবে তাদের সামনে।
এছাড়া রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে সোমরবার রাতে ২৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি জিতলে রিয়ালের সমান ৫১ পয়েন্ট হবে বার্সেলোনার। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে রিয়ালকে পেছনে ফেলার সুযোগ থাকবে তাদের সামনেও।
৪৮ দিন আগে
কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
সেমিফাইনালের চার দল নিশ্চিত হওয়ার পর ছিল কে কার প্রতিপক্ষ হচ্ছে—ছিল তার অপেক্ষা। অবেশেষে সেই অপেক্ষারও অবসান হয়েছে। ড্রয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনালের প্রত্যেক দলের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হয়েছে।
স্প্যানিশ সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে আতলেতিকো মাদ্রিদকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বার্সেলোনা এবং রিয়াল সোসিয়েদাদকে পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
স্প্যানিশ সুপার কাপের মতো কোপা দেল রেতেও এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দুই লেগের সেমিফাইনালে বিপক্ষ দলকে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা যদি ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারে, তবেই সেই সম্ভবানা বাস্তবে রূপ নেবে।
টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচ নকআউট হলেও সেমিফাইনাল খেলা হবে দুই লেগে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, আর দ্বিতীয় লেগের খেলা হবে এপ্রিলের ২ তারিখে।
এবার প্রথম লেগের ম্যাচটি ঘরের মাঠে খেলবে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও বার্সেলোনা এবং দ্বিতীয় লেগ ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে মাদ্রিদের দুই দল।
আগামী ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে চলতি মৌসুমের কোপা দেল রে ফাইনাল।
আরও পড়ুন: বেতিসকেও ৫ গোল দিয়ে কোপা দেল রের কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
গত মৌসুমে মায়োর্কাকে হারিয়ে ৪০ বছর পর কোপা দেল রে জেতা আথলেতিক বিলবাও এবার বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকেই। ২৪ বার এই শিরোপা জিতে কোপা দেল রে জয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাস্কে অঞ্চলের এই ক্লাবটি।
তবে ৩১ বার কোপা দেল রে জয় করে তালিকায় সবার উপরে অবস্থান বার্সেলোনার। ২০ বার এই শিরোপা জিতে তৃতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া ১০ বার কোপা দেল রে জিতে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর তৃতীয় শিরোপা জয়ের অভিযানে এবার সেমিফাইনাল উৎরে যাওয়ার চেষ্টা করবে রিয়াল সোসিয়েদাদ।
৫১ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে-অফের ড্র: রিয়ালকেই পেল সিটি
বায়ার্ন মিউনিখ নাকি রিয়াল মাদ্রিদ—চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্লে-অফে কে হবে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ, গত দুদিন ধরেই চলছে এই আলোচনা। এবার সেই আলোচনার অবসান ঘটিয়ে লস ব্লাঙ্কোসদের সামনে পড়ল সম্প্রতি ভুগতে থাকা সিটি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নির্ধারণ হয়েছে সিটির নাম। এর ফলে শেষ ষোলোর আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রা থেমে যাবে গত দুই আসরের শিরোপাধারী দুই দলের একটির।
ড্রয়ে বায়ার্ন মিউনিখের প্রতিপক্ষে হিসেবে উঠে এসেছে সেল্টিকের নাম। এছাড়া মুখোমুখি হবে দুই ফরাসি ক্লাব ব্রেস্ত ও পিএসজি। তবে ইতালির দুই দল এসি মিলান ও ইয়ুভেন্তুসের অবশ্য প্লে-অফেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। তুরিনের বুড়িরা খেলবে পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে এবং ফেয়েনুর্ডের মোকাবিলা করবে মিলানের দলটি।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
প্লে-অফের প্রথম লেগ আগামী ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় লেগের খেলা। এরপর আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
এক নজরে প্লে-অফ ড্র:
• ক্লাব ব্রুজ-আতালান্তা• স্পোর্তিং লিসবন-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড• ম্যানচেস্টার সিটি- রিয়াল মাদ্রিদ• সেল্টিক-বায়ার্ন মিউনিখ• ইয়ুভেন্তুস-পিএসভি আইন্ডহোভেন• ফেয়েনুর্ড-এসি মিলান• ব্রেস্ত-পিএসজি• মোনাকো-বেনফিকা
লক্ষণীয়: পরের দলটি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার সুবিধা পাবে।
আরও পড়ুন: জেতাও পর্যাপ্ত হলো না রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের
৬৩ দিন আগে
নেশন্স লিগের শেষ আটের ড্র: কে কাকে পেল, কী সমীকরণ
গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে আগেই, এবার নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র এবং ফাইনালের পথ স্পষ্ট করে দিল উয়েফা।
শুক্রবার নেশন্স লিগের চলতি মৌসুমের ‘রোড টু ফাইনাল’ নির্ধারণ করে কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সম্প্রতি দারুণ ছন্দে থাকা নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। এছাড়া ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়ার, জার্মানি ইতালির এবং ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।
দুই লেগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২০ মার্চ। এর তিন দিন পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শেষে সেমি ফাইনালের চার দল নিশ্চিত হবে। এরপর আগামী ৪ ও ৫ জুন সেমি ফাইনাল এবং ৮ জুন ফাইনালের পর শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে বিজয়ী দল।
চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সামনে নেদারল্যান্ডস
শিরোপা ধরে রাখতে এবারও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে স্পেনের। কোয়ার্টারে এবার তাদের প্রতিপক্ষ রোনাল্ড কুমানের নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কুমানের অধীনে দারুণ পারফর্ম করে চলেছে দলটি। সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি ফাইনালে উঠেছিল ডাচরা। তার আগে গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টারে উঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে হারে তারা।
চলতি মৌসুমে নেশন্স লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। হাঙ্গেরি ও জার্মানির মতো দলগুলোর সঙ্গে এক গ্রুপে পড়ে প্রথম ম্যাচেই জার্মানির কাছে হেরে বসে ডাচরা। তবে তারপর অপরাজিত থেকে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে কুমানের শিষ্যরা।
ফলে সম্প্রতি দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও ডাচ বাধা পেরোনো সহজ হবে না ইউরো ও নেশন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ-ইউরো-নেশন্স লিগ জেতা একমাত্র ফটুবলার অবসরে
এছাড়া চোটের কারণে বারবার স্কোয়াডে পরিবর্তন এনে দল সাজাতে হচ্ছে লুইস দেলা ফুয়েন্তের। চোট নিয়ে ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দানি কারভাহাল ও রদ্রি।
তবে তরুণ এবং ফর্মে থাকা স্পেনের যেকোনো ফুটবলারকে জাতীয় দলে ডাক দিয়ে বারবার ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে দেখা গেছে স্পেন বসকে। ফলে এই দুই দলের লড়াইটা দর্শকের জন্য হবে দর্শনীয়।
ফিরছে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল
শেষ আটের ড্রয়ে এবার মুখোমুখি হতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স। এর ফলে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, তা-ও একবার নয়, দুবার।
ফ্রান্সের কাছে সেবার ৪-২ গোলে হেরে ক্রোয়েশিয়ার স্বর্ণযুগের খেলোয়াড়দের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর পর এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে ক্রোয়াটদের সামনে।
অবশ্য ভালো পারফর্ম করলেও ক্রোয়েশিয়ার সেই দল এখন আর নেই। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অবসরে চলে গেছেন। তবে এখনও লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচের মতো অভিজ্ঞরা দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে আন্দ্রেই ক্রামারিচ, মাতেও কোভাচিচ, ইয়োস্কো গেভারদিওলের মতো প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার থাকায় গ্রুপ পর্বের চ্যালেঞ্জ উতরে এসেছে জ্লাতকো দালিচের দল।
অপরদিকে, দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় থাকলেও ফর্মহীনতা, চোট ও সমন্বয়ের অভাবে ইউরোর পর থেকেই ধুঁকতে দেখা গেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হারের পর সবশেষ পাঁচ ম্যাচ জিতলেও দলের বড় তারকারা নিজেদের নামের প্রতি এখনও সুবিচার করতে পারেননি। ফলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে থাকবেন কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলের মতো তারকারা।
গ্রুপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ইসরায়েলের কাছে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করলেও শেষ ম্যাচে ইতালিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তাদেরই টপকে গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে ফ্রান্স।
শেষ চার ম্যাচেই দলের সঙ্গে ছিলেন না এমবাপে। চোটে আক্রান্ত না হলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাকে দলে ফেরাতে পারেন দেশম। ফলে কৌশল দিয়েই দুর্দান্ত এই দলটিকে মাত করতে হবে মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়ার।
১৩৩ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ড্র: আবারও বায়ার্নের সামনে বার্সা, লিভারপুলকে পেল রিয়াল
নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বের ড্র কেমন হয়, তা দেখতে মুখিয়ে ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। তবে ড্রয়ের পর নিশ্চয়ই হাসি লেগে আছে সবার মুখে।
নতুন পদ্ধতিতে গ্রুপপর্বেই এবার দেখা মিলবে নকআউট পর্বের উত্তেজনা। বড় বড় দলগুলোর প্রত্যেকেরই একাধিক কঠিন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করে নকআউট পর্বে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাই ক্লাবগুলোর দুশ্চিন্তা বাড়লেও সমর্থকদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপভোগ করার সুযোগ মিলবে এবার।
নতুন আঙ্গিকের গ্রুপপর্বে এবার দেখা মিলবে গতবারের দুই ফাইনালিস্টের লড়াই। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছাড়াও ২০১৮ ও ২০২২ সালের ফাইনালের প্রতিপক্ষ লিভারপুলকেও মোকাবিলা করতে হবে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের।
অন্যদিকে, বার্সেলোনার বায়ার্ন মিউনিখ দুঃস্বপ্ন যেন শেষই হচ্ছে না। গত বেশ কয়েক মৌসুম ধরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মান ক্লাবটির সঙ্গে নিয়মিত দেখা হয়, আর হতাশাজনক পরাজয় স্বীকার করে বারবার মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
২০২০ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মান জায়ান্টদের বিপক্ষে ৮-২ ব্যবধানের হার এখনও পোড়ায় ব্লাউগ্রানা সমর্থকদের। বায়ার্ন ছাড়াও এবার তাদের প্রতিপক্ষের মধ্যে রয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন আতালান্তার মতো দল।
প্রসঙ্গত, গত মৌসুমের নিয়ম ভেঙে, চারটি দল বাড়িয়ে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করতে যাচ্ছে উয়েফা।
নতুন ফরমেটে গ্রুপপর্ব হবে অন্যরকম, কম্পিউটার দিয়ে দ্বৈবচয়ন করে প্রত্যেক দলের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরমেট: যা জানা প্রয়োজন
লিগ পর্বে প্রতিটি দল খেলবে আটটি করে ম্যাচ। এই আট ম্যাচের চারটি তারা খেলবে ঘরের মাঠে এবং বাকি চারটি প্রতিপক্ষের মাঠে।
চলুন দেখে নেই পাত্র-১ এ রাখা ইউরোপীয় ফুটবলের বড় দলগুলোর গ্রুপপর্ব কেমন হলো‑
রিয়াল মাদ্রিদ: বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, লিভারপুল, এসি মিলান, আতালান্তা, জালসবুর্গ, লিল, স্টুটগার্ট ও ব্রেস্ত।
ম্যানচেস্টার সিটি: ইন্টার মিলান, পিএসজি, ক্লাব ব্রুজ, ইউভেন্তুস, ফেয়েনুর্ড, স্পোর্তিং লিসবন, স্পার্তা প্রাহা ও স্লোভান ব্রাতিস্লাভা।
বায়ার্ন মিউনিখ: পিএসজি, বার্সেলোনা, বেনফিকা, শাখতার দোনেৎস্ক, দিনামো জাগরেব, ফেয়েনুর্ড, স্লোভান ব্রাতিস্লাভা ও অ্যাস্টন ভিলা।
পিএসজি: ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন মিউনিখ, আতলেতিকো মাদ্রিদ, আর্সেনাল, পিএসভি আইন্দহোভেন, জালসবুর্গ, জিরোনা ও স্টুটগার্ট।
লিভারপুল: রিয়াল মাদ্রিদ, লাইপসিগ, বায়ের লেভারকুজেন, এসি মিলান, লিল, পিএসভি আইন্দহোভেন, বোলোনিয়া ও জিরোনা।
ইন্টার মিলান: লাইপসিগ, ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল, বায়ের লেভারকুজেন, রেড স্টার বেলগ্রেড, ইয়াং বয়েজ, মোনাকো ও স্পার্তা প্রাহা।
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড: বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, শাখতার দোনেৎস্ক, ক্লাব ব্রুজ, সেল্টিক, দিনামো জাগরেব, স্ট্রাম গ্রাজ ও বোলোনিয়া।
লাইপসিগ: লিভারপুল, ইন্টার মিলান, ইউভেন্তুস, আতলেতিকো মাদ্রিদ, স্পোর্তিং লিসবন, সেল্টিক, অ্যাস্টন ভিলা ও স্ট্রাম গ্রাজ।
বার্সেলোনা: বায়ার্ন মিউনিখ, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, আতালান্তা, বেনফিকা, ইয়াং বয়েজ, রেড স্টার বেলগ্রেড, ব্রেস্ত ও মোনাকো।
উল্লেখ্য, প্রতিটি দল বিজোড় সংখ্যার দলগুলোর সঙ্গে ঘরের মাঠে এবং জোড় সংখ্যায় অবস্থান করা প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাদের মাঠে গিয়ে খেলবে।
গ্রুপপর্বের পর শেষ ষোলো থেকে ফাইনাল পর্যন্ত ফরমেটে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আগে যেভাবে নকআউট পর্ব হতো, সেভাবেই প্রতিটি ধাপের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গ্রুপপর্বের খেলা। এর মধ্যে শেষ দিন সবগুলো দল একযোগে একই সময় মাঠে নামবে।
২১৮ দিন আগে
বিপিএল ফুটবল: পুলিশ এফসির সঙ্গে ড্র হওয়ায় পয়েন্ট হারাল ঢাকা আবাহনী
গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শুক্রবার(১০ মে) বিকালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় পয়েন্ট হারিয়েছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।
দিনের হতাশা শুরুতে লিগ লিডার বসুন্ধরা কিংসের কাছে ১-২ গোলে হেরে চার ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। তবে দলটি ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে টিকে আছে।
২০১৮-১৯ মৌসুম থেকে ২০২২-২৩ মৌসুম পর্যন্ত টানা চতুর্থবারের মতো বিপিএল শিরোপা জেতা বসুন্ধরা কিংস (কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০১৯-১০ মৌসুমে বিপিএল পরিত্যক্ত) ১৪ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম শিরোপা জয়ের জন্য প্রস্তুত। দলটি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান এসসির চেয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: অফসাইডের সিদ্ধান্ত টুখেলের কাছে ‘চরম বিপর্যয়কর’
ম্যাচের নবম মিনিটেই সেন্ট ভিনসেন্টের ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট (১-০) ব্যবধানে ধানমন্ডির দল আবাহনীকে এগিয়ে দেন।
৮৮ মিনিটে আবাহনী সমর্থকদের হতাশ করে পুলিশ এফসির হয়ে স্থানীয় ফরোয়ার্ড এমএস বাবলু ব্যবধান সমতায় নিয়ে আসেন (১-১)।
মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিকালে শেখ রাসেল কেসি ও রহমতগঞ্জ এমএফএসের মধ্যকার দিনের অন্য ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
ঘানার ফরোয়ার্ড আর্নেস্ট বোয়াটেং ৫৬ মিনিটে (১-০) পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ এমএফএসের হয়ে প্রথম গোল করেন এবং শেখ রাসেল কেসির হয়ে সার্ভিয়ান বুটার ভোজিস্লাভ বালাবানোভিচ ৬২ মিনিটে (১-১) সমতায় নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: ‘মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়’- গোল বাতিল প্রসঙ্গে মুলার
৩২৯ দিন আগে
বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজ ড্র
তারকায় ভরা ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নারীরা তাদের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছে। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফেরে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। তবে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করাটাও বাংলাদেশের গর্ব।
তবে ম্যাচ শেষে এই সিরিজে আম্পায়ারিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।
তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। ক্রিকেট ছাড়াও, যে ধরনের আম্পায়ারিং হয়েছে তাতে আমরা অবাক। ’
তিনি আরও বলেন, ‘পরের বার বাংলাদেশে আসার সময় এই ধরনের আম্পায়ারিংয়ের মোকাবিলা করার জন্যে তৈরি থাকতে হবে। সেই মতো আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওপেনার শামীমা সুলতানার হাফ সেঞ্চুরির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ দারুণ একটা শুরু করে।
তবে ফারজানা হক পিংকির অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ পেয় বাংলাদেশ নারী দল। ১৬০ বলে ১০৭ রান করেন ফারজানা। এরফলে নারী ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন তিনি।
ফারজানা তার ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন এবং এককভাবে বাংলাদেশের ইনিংসকে ধরে রেখেছিলেন। কারণ অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছিল।
শেষ পর্যন্ত ফারজানার বীরত্বে বাংলাদেশ তাদের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের দেয়া ২২৫ রানের জবাবে ভারত নারী ক্রিকেট দল ৪৯.৩ ওভারে ১০ উইকেটে ২২৫ রান সংগ্রহ করে। ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজও টাই হলো।
ভারতের পক্ষে বোলারদের মধ্যে স্নেহ রানা ৪৫ রানে দুই উইকেট নেন এবং অন্য উইকেট নেন দেবিকা বৈদ্য।
আরও পড়ুন: নারী ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ফারজানা
জয়ের জন্য ২২৬ রান তাড়া করে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারিয়ে ভারতের শুরুটা খারাপ হয়েছিল। ইয়াস্তিকা ভাটিয়াও দ্রুতই পড়ে যান, ফলে ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতকে বেশ বিপাকেই পড়তে হয়।
তবে হারলিন দেওল ও স্মৃতি মান্দানা ইনিংস টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তোলেন। তৃতীয় উইকেটে তারা ১০৭ রান যোগ করেন।
দেওল ১০৮ ডেলিভারিতে ৭৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। প্রথমে মান্দানার সঙ্গে এবং তারপর জেমিমাহ রড্রিগেজের সঙ্গে। মন্দনা ৮৫ বলে ৫৯ রান করেন এবং জেমিমা ৪৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
তবে ভারত ফের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে উইকেট হারায়। দেওলও ৪২তম ওভারে রান আউট হয়ে যায়।
এক ওভার বাকি থাকতে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩ রান। তবে, বাংলাদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে এবং খেলাটি টাই করতে সক্ষম হয়। ভারত ৪৯.৩ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করে।
মারুফা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে দুই রান দেন এবং তৃতীয় বলে তিনি মেঘনা সিং-এর উইকেট তুলে নেন। মাত্র ৩৪ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে ভারত।
বাংলাদেশের পক্ষে নাহিদা আক্তার ৩টি ও মারুফা আক্তার ২টি এবং ফাহিমা খাতুন ও সুলতানা খাতুন একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন, ‘আমরা এই মুহূর্তটি উদযাপনের জন্য উন্মুখ।
এই রোমাঞ্চকর টাই নিয়ে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগ্রেসরা জিতেছিল, কিন্তু ভারত দ্বিতীয় ম্যাচে বাউন্স ব্যাক করে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
নারী টি-টোয়েন্টি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮ রানে জিতল ভারত
৬২২ দিন আগে