বার্তা
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে বার্তা না পেলে কঠোর কর্মসূচি: রিজভী
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরকার বার্তা না পেলে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশকে অচল করে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি... আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের অংশগ্রহণের কোনো বার্তা যদি সরকার পেতে বা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তাহলে হরতাল-অবরোধে দেশ অচল হয়ে পড়বে। সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এ মন্তব্য করেন।আরও পড়ুন: সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারকে সরিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভয় ও আতঙ্কের সমাজ তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এবং আরেকটি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমরা আদালতের কার্যক্রম দেখে তা বুঝতে পারি।’
আরও পড়ুন: সরকারকে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: মির্জা আব্বাস
নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত ও ওমর ফারুক কাওছার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করলে দেশে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ফখরুল
১ বছর আগে
সাম্পান যোগে কবিদের শান্তির বার্তা প্রেরণ
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে ২০টি সাম্পান যোগে দেড় শতাধিক কবির বার্তা পাঠানো হয়েছে। সাগর পাড়ি দিয়ে এই শান্তির বার্তা পৌঁছে যাবে বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়।
বার্তা পাঠে বলা হয়, মানুষ নতুন করে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। সংঘাত, হানা-হানি পরিহার করে নতুন এক শান্তির বিশ্ব বিনিমার্ণে মানুষ আবার সংগ্রামে নামবে।
এছাড়া যে বার্তা পাঠে মানুষ নতুন করে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। একই সঙ্গে কক্সবাজার সৈকতের নাম শেখ হাসিনার শান্তির সৈকত ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টের সৈকতে দেশ-বিদেশের কবিরা একযোগে শান্তির বার্তাবাহী এসব সাম্পান ভাসিয়ে দেয়ার আগে এমন ঘোষণা দেন।
এসময় শেখ হাসিনার শান্তির সৈকত গান পরিবেশন করা হয়।
কক্সবাজারে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী দরিয়ানগর আন্তর্জাতিক কবিতা মেলা-২০২২ দ্বিতীয় দিন এমন কর্মসূচি পালন করেন কবিরা।
সকালে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি।
এরপর সাদা পতাকা হাতে কবিতার শান্তির যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত মাঠে এসে শেষ হয়।
ওখানে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা, কবিতা মেলার পতাকা ও রাইটার্স ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে শুরু হয় কবিতা পাঠ ও আলোচনা।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
১ বছর আগে