২০২৩
জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে দিয়ে ২০২৩ সালের সমাপ্তি
প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সমমনা দলগুলোর আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বর্জনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে দিয়ে ২০২৩ সাল বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
তবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে বিরোধীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আগামী ৭ জানুয়ারি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক স্থবিরতার কারণে পুলিশ, বিরোধী দলের কর্মী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দিয়েছে।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া সহিংসতায় রাজধানী ঢাকা ও দেশের অন্য অংশে বেশ কয়েকজন নিহত এবং অনেক আহত হয়েছে।
২০২৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে মৃত্যুর সংখ্যার সরকারি তথ্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থা একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সংকলিত তথ্য অনুসারে, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩ হাজার ৮৭৩ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার মোট ৬৮৯টি ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত এবং ৬ হাজার ৭৪৩ জন আহত হয়েছে।
২৮ অক্টোবরের পর থেকে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে বিরোধীদের ডাকা হরতাল ও অবরোধের সময় সরকারি যানবাহন এবং বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির ভেস্তে যাওয়া মহাসমাবেশের পর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। প্রথমে রাজধানীতে এবং পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র সহিংসতা শুরু হয়।
বিএনপি কর্মী-পুলিশ সংঘর্ষে ঢাকা, বিশেষ করে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে। এর ফলে একজন পুলিশ সদস্য এবং একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি নেতা নিহত হন।
পুলিশ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে, কিন্তু তা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বিএনপি মহাসমাবেশ শেষ করতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
এর প্রতিবাদে বিএনপি গত ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছিল। এরপর থেকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দফায় দফায় দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতাল শুরু করে।
এসময়ে সহিংসতার অভিযোগে প্রশাসন তাদের বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যার বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগ রয়েছে।
ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির নয়াপল্টনে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ৩৬টি মামলা হয়েছে।
মামলায় বিএনপি ও এর সমমনা দলের ১৫৪৪ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা অনেক নেতা-কর্মীকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনে রাজধানী থেকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের ১ হাজার ৮১৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সহিংসতা, নাশকতা, মারধর ও পুলিশ সদস্যদের হত্যা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ১৩১টি মামলা করা হয়েছে।
তবে বিএনপি দাবি করেছে, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২৩ হাজার ৪৬০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় একজন সাংবাদিকসহ ২৬ জন নিহত এবং ৬ হাজার ৫৭৩ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরিসংখ্যান বলছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৪টি বাস পোড়ানোর ঘটনায় নগরীর বিভিন্ন থানায় ৬৪টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
এ ছাড়া ওই সময় নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে জনগণ ও পুলিশের হাতে ১২ জনকে আটক করা হয়। তাদের কেউ কেউ যাত্রীবাহী গাড়িতে উঠে বা নিচ থেকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পেট্রোল, গান পাউডার, তুলা, পুরাতন কাপড় ইত্যাদি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ২৯ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর ডেমরার পশ্চিম দেল্লা পাকা রোডে দুর্বৃত্তরা অসীম পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিলে নাঈম (২২) নামে এক বাসের হেলপারের মৃত্যু হয় এবং রবিউল ইসলাম নামে আরেক হেলপার দগ্ধ হন। তারা পার্ক করা বাসের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
শুধু রাজধানীতেই নয়, সারাদেশে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
২৮ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২৮৯টি অগ্নিসংযোগের (বেশ কয়েকটি স্থাপনা ও যানবাহনে) ঘটনা ঘটেছে।
এফএসসিডি সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, এ সময় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মোট ২৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন দেওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮০টি বাস, ৪৫টি ট্রাক, ২৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল এবং ২৯টি অন্যান্য যানবাহন, যার মধ্যে কয়েকটি ট্রেনের বগিও রয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুবৃত্তদের অগ্নিসংযোগে এক শিশুসহ কমপক্ষে চারজন নিহত হয়।
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা দেশব্যাপী হরতালের মাত্র এক ঘণ্টা আগে এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া ২৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট রেলস্টেশনে পার্কিং করা আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেসের একটি কোচে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম জানান, ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের এসি চেয়ার (বি) বগিতে আগুন লেগে কোচের অন্তত ২৩টি আসন পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আরও পড়ুন: শনিবার পর্যন্ত চলবে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচি
১০ মাস আগে
ইউরোপিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এর পর্দা উঠছে
তরুণ ইউরোপিয়ান ও বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিভা প্রদর্শন করে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী ইউরোপীয় চলচ্চিত্র উৎসব।
‘এ সেলিব্রেশন অব ইউরোপিয়ান অ্যান্ড বাংলাদেশি ইয়ং সিনেমা’- ট্যাগলাইন নিয়ে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আয়োজিত এই উৎসবের প্রধান সহযোগী হিসেবে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা।
রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির পরিচালনায় একটি চমকপ্রদ আলোচনা পর্বের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আর পারছি না রাষ্ট্র: ওমর সানি
'চলচ্চিত্রে তারুণ্য'- শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক ও কবি সাজ্জাদ শরীফ, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিজ্যুয়াল নৃবিজ্ঞান ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চলচ্চিত্র কর্মী সিমিন ইবনাত ধরিত্রী।
প্যানেল আলোচনায় সাজ্জাদ শরীফ বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এমন একটি আনন্দময় সময়ে এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আমাদের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা সমাজের অজানা অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করে নতুন ভাষার সন্ধান করছেন। তারা আমাদের সিনেমার বাধাগুলো পরিবর্তন করার জন্য উন্মুখ। এই ধরনের উৎসব আমাদের গাইড করতে এবং সাহায্য করতে পারে।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখনই আমাদের নতুন প্রজন্মের লোকদের জিজ্ঞেস করি, তাদের অধিকাংশই বলে যে তারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চায়। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে দেশে তারা তাদের প্রতিভা দিয়ে উন্নতি করতে পারে। যদি আমাদের সিনেমা আমাদের গল্প বলতে না পারে বা আমাদের জীবন এবং আমাদের নিজস্ব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে অনুরণিত না হতে পারে, তবে এই সমস্যাটি আমাদের মাঝে থেকেই যাবে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের গাইড করার জন্য আমাদের বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র প্রশিক্ষক-সহযোগীদের সমর্থন প্রয়োজন।’
সাইমন ইবনাত ধরিত্রী বলেন, তরুণদের জীবনে সিনেমার প্রভাব খুবই প্রবল এবং সিনেমা দর্শকদের বিনোদনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও সামাজিক সচেতনতার ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে।
উদ্বোধনী প্যানেল আলোচনার পর ডাচ চলচ্চিত্র ‘ম্যালি ক্যান ফ্লাই’ প্রদর্শনের মাধ্যমে উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হয়।
এরপর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এই চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গোয়েথে-ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকা এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশসহ সহযোগী আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে উৎসব কর্তৃপক্ষ সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে ইউরোপ ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করতে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে একটি 'মাস্টারক্লাস' আয়োজন করেছিল।
গত শুক্র ও শনিবার পরিচালক সৈয়দা নিগার বানু, চিত্রগ্রাহক অপু রোজারিও এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং পিপলু আর খান ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিলে মাস্টারক্লাস পরিচালনা করেন।
রবিবার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব প্রশিক্ষককে সম্মাননা দের ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
উৎসবের অংশ হিসেবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তিনটি বিভাগে সম্মানিত করা হয়। তরুণ পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার তার ‘যাত্রী’ ছবির জন্য সেরা গল্পের পুরস্কার পেয়েছেন এবং ‘আশ্লেষা’ ছবির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন আকিব মাহমুদ।
উৎসবে মেহেদী হাসান জোসেফের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পোস্টার’ সেরা চলচ্চিত্রের মর্যাদা পায় এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং চরকি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদোয়ান রনি।
২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ডাচ ক্লাব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সে বাঁধনের ‘খুফিয়া’ আসছে ৫ অক্টোবর
বিরতির পর ফিরছেন পরীমণি
১ বছর আগে
২০২৩ এর মিস ইউনিভার্স যুক্তরাষ্ট্রের আর’বনি গাব্রিয়েল
২০২৩ সালের মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টিএস। এই খেতাব জয়ী প্রথম ফিলিপিনো-আমেরিকান গাব্রিয়েল।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ৮৩ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সেরার মুকুট জিতে নেন মিস আমেরিকা গাব্রিয়েল।
একাধারে তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল ও সেলাই প্রশিক্ষক।
বিজয়ীর নাম ঘোষণার নাটকীয় মুহুর্তে গ্যাব্রিয়েল তার চোখ বন্ধ করে রানার-আপ মিস ভেনিজুয়েলা আমান্ডা দুদামেলের হাত জড়িয়ে ধরেন।
আরও পড়ুন: মিস ইউনিভার্স ২০২১: কে এই হারনাজ সান্ধু
এরপর গাব্রিয়েলের মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন ২০২২ এর মিস ইউনিভার্স ভারতের হারনাজ সান্ধু।
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন মিস ভেনিজুয়েলা ও মিস ডোমিনিক রিপাবলিক।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ এর এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ভারতের দিভিতা রাই। কিন্তু তিনি সেরা ১৬’র পর আর এগোতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ভারতের দিভিতা রাই গত বছর মিস ডিভা ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন। এবং এরই সঙ্গে তিনি ২০২১ সালের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন।
ভারতীয়দের মধ্যে হারনাজ সান্ধুর আগে সুস্মিতা সেন ও লারা দত্ত মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছিলেন।
আরও পড়ুন: মিস ইউনিভার্স হলেন ভারতের হারনাজ সান্ধু
১ বছর আগে
২০২৩ হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছর
২০২৩ সাল হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছিলেন, আমাদের লক্ষ্য সাফল্য অর্জন করা। আমরা আশা করি ২০২৩ সাল হবে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষের জন্য সাফল্যের বছর।
আরও পড়ুন: ৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার বছরও হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকে জাতি যা অর্জন করেছে তাতে ছাত্ররা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, জনগণ আশা করছে, শিক্ষার্থীরাও এখন দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণমুখী সরকার প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
আমরা আশা করি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অন্যায়ের প্রতিবাদের চেতনাকে কখনো দমিয়ে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
১ বছর আগে