গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, একটি সমৃদ্ধ, উন্নত, বৈষম্যহীন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, এ জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও মানসম্মত শিক্ষক।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক-নিরাপত্তা-অভিবাসন অংশীদারিত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী
বুধবার (৮ মে) ঢাকা পিটিআই মিলনায়তনে ঢাকা জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর আজকের শিশুদের গড়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষকদের। তাই শিক্ষকদের মেধা, প্রজ্ঞা, জ্ঞান, অনুসন্ধিৎসায় বিচক্ষণ হতে হবে।
এ জন্য বর্তমান সরকার শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রাথমিক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান, ড. উত্তম কুমার দাস।
আরও পড়ুন: তথ্য অধিকার আইনে গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, নতুন বই যেভাবে শিশুদের আনন্দিত, উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করে-সেই অনুপ্রেরণায় আজকের শিশুরা আগামীর আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে।
তিনি বলেন, নতুন বই শিশুদের কাছে পরম প্রাপ্তি। নতুন বই শিশুকে বিমুগ্ধ ও বিমোহিত করে, বইয়ের ঘ্রাণ শিশুকে বিভোর করে তোলে। নতুন বইয়ের পৃষ্ঠা শিশুকে কৌতুহলী করে তোলে।
আরও পড়ুন: ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া শিশুর মনোজগতের এ আবেগকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে শতভাগ নতুন পাঠ্যবই প্রদান করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বই বিতরণ উৎসব-২০২৩’এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশুদের মাঝে পাঠ্যবইকে আরও চিত্তাকর্ষক করে তোলার জন্য ২০১২ সাল থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক চার রঙের আকর্ষণীয় মুদ্রণ ও বাঁধাই করে শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ব্ল্যান্ডেড এপ্রোস প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উৎসবের সভাপতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাপতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহে ২০১০ সাল থেকে নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার যে মহতী যাত্রার সূচনা হয়েছিল আজ তা যুগ পেরিয়ে যুগান্তরে পদার্পণ করেছে।
এটি এখন বর্ণিল বই উৎসবে পরিণত হয়েছে। দেশ-বিদেশে এ উৎসবের সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে দুই কোটি, ১৯ লাখ, ৮৪ হাজার, ৮২৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৯ কোটি ৬৬ লাখ ০৮ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হবে।
প্রাক প্রাথমিক স্তরে ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৮৪টি আমার বই এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির প্রা-প্রাথমিক এবং ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সর্বমোট দুই লাখ, ১২ হাজার ১৭৭টি পাঠ্য পুস্তক বিতরণ করা হবে।
আজকের অনুষ্ঠানে যে বই বিতরণ করা হয়েছে এটি প্রতীকী; যার ফলে সবার হাতে সব বই পৌঁছাবে না।
প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে স্ব স্ব স্কুল থেকে বই প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে রাজধানীর ৩৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম-পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই তুলে দেয় হয় এবং ২০২২ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পাঁচ সদস্য; যারা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট থেকে উঠে এসেছেন তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলেই স্কুল খুলতে প্রস্তুত আছি: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে