গ্রামবাংলা
মাগুরায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের আমুড়িয়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে এ প্রতিযোগিতার ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমুড়িয়া যুব সংঘ এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
মাগুরা, নড়াইল ও রাজবাড়ী জেলার মোট ১৫টি ঘোড়া এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় মাগুরা জেলার গাংনী গ্রামের ঘোড়া প্রথম স্থান, মাগুরা জেলার কাটাখালী গ্রামের ঘোড়া দ্বিতীয় ও মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের ঘোড়া তৃতীয় স্থান লাভ করে।
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আমুড়িয়া যুব সংঘের সভাপতি শিমুল হোসেন।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগীতা উপলক্ষে আয়োজিত গ্রামীণ মেলায় নানা রকমের মিষ্টি, বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী, আসবাবপত্রের দোকান বসে।
এলাকার হাজার হাজার দর্শক গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
গাইবান্ধায় ৫ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা
১ বছর আগে
ঝিনাইদহে গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজন, দর্শকদের বাধভাঙা উচ্ছ্বাস
গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজন এখন বিরল ঘটনা। একসময় দেশের আনাচে কানাচে ঢাক ঢোল পিটিয়ে গানের তালে তালে আয়োজন করা হতো আনন্দময় এই উৎসবের। বেজে উঠতো কাসার ঘন্টা। তালে তালে চলতো লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাপিয়ে পড়তেন লাঠিয়ালরা। তবে সেই ঐতিহ্য এখনো হারিয়ে যায়নি ঝিনাইদের মানুষদের কাছে।
এমনি আয়োজন করেছে ঝিনাইদহের শৈলকূপার বিনোদনেপ্রেমীরা। দর্শকরা খেলার দৃশ্য দেখে আনন্দে ফেটে পড়ছেন। সেই সঙ্গে হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে লাঠিয়ালদের।
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মনোমুগ্ধকর লাঠি খেলা। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের আয়োজনে এমন উৎসব হয়ে গেল ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল মাঠে।
যা দেখতে ভীড় করেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লাঠির এই কসরত দেখে মুগ্ধ হয় দর্শকরা।
শহরের কাঞ্চননগর থেকে রেখা দাস বলেন, আমি লাঠিখেলার কথা শুনেছি কিন্তু কোনোদিন দেখিনি। আজ দেখলাম অনেক ভালো লাগছে দেখতে।
শহরের উদয়পুর এলাকার বিজয় হোসেন বলেন, গ্রামে লাঠিখেলা হয় মাঝে মাঝে। কিন্তু শহরে তো লাঠিখেলার আয়োজন করা হয় না। নতুন বছর উপলক্ষে রবিবার লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়েছে শুনে এলাম। দেখতে অনেক ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে বর্ণিল আয়োজনে প্রজাপতি মেলা
একই এলাকার রানা আহম্মেদ বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই ধরনের আয়োজন প্রতি বছর করা দরকার। আজ এখানে আয়োজন করা হয়েছে এ জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকা বলেন, বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠিখেলা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আমরা চেষ্টা করছি এটি ধরে রাখতে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে এই এতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে আয়োজক ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. এম হারুন অর রশিদ বলেন, এ বছর থেকে আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুরু করেছি হারানো এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে। আমরা এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে। সেই সঙ্গে শহরের মানুষ যেন আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
দিনভর খেলায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ১৫টি লাঠিয়াল দলের ৬৫ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়।
খেলা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে খাগড়াছড়িতে পালিত হচ্ছে পার্বত্য শান্তিচুক্তির রজত জয়ন্তী
১৬ দিনের প্রচারণা: বৃহত্তর ঢাকার জোন্টা ক্লাবের রাজধানীতে বৃক্ষরোপণ ও রিকশা র্যালির আয়োজন
১ বছর আগে