বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই, তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করবে তার দল।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লব নয়, দেশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে যথা সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। না হয় এ আন্দোলন সংগ্রামে শহীদদের রক্ত বৃথা হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান দুই বছর চেষ্টা করে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা তৈরি করেছেন। রাষ্ট্রের এমন কোনো বিষয় নেই, যা ৩১ দফার মধ্যে নেই। এটাই রাষ্ট্রের মূল সংস্কার।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখান থেকে উত্তোলন করতে সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুসহ লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক, জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি
৬ দিন আগে
খন্দকার মাহবুব আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে সোমবার রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বাদ জোহর খিলগাঁও চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদে (মাটির মসজিদ) পঞ্চম নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুবকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে
চারবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়া মাহবুব ৮৪ বছর বয়সে শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তার প্রথম জানাজা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মসজিদে, দ্বিতীয় জানাজা মিরপুরের খন্দকার মাহবুব হোসেন চক্ষু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে, তৃতীয় জানাজা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং চতুর্থ জানাজা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মাহবুবের মরদেহ আনার পর বিএনপির নেতাকর্মী, আইনজীবী, বিচারক ও আদালতের কর্মকর্তারা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
গত ২৬ ডিসেম্বর মাহবুবকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তার নিউমোনিয়া ও ফুসফুসে পানি জমে যায়।
প্রখ্যাত এই আইনজীবীকে একদিন পরে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল এবং তার কিডনি কাজ না করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
মাহবুব ১৯৬৭ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন এবং তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি হন।
তিনি ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের একজন ছিলেন।
মাহবুব ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনার একটি আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব মারা গেছেন
১ বছর আগে