পুলিশ সদস্যে
মগবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজার দিলু রোড ও এফডিসি'র মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইউসুফ আলী খান (৫৯) বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদী গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম খান এর ছেলে। তিনি মুগদায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন এবং পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে এলপিআরে ছিলেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইকবাল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মগবাজার দিলু রোড ও এফডিসি'র মাঝামাঝি স্থানে রেললাইনে সোমবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ইউসুফ আলী। সে সময়ে তিনি রেললাইন দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
নিহতের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার ছোট চাচার উত্তরা বাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিলেন তিনি। পরে সংবাদ পাই তিনি ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। সেখানে গিয়ে তার লাশ দেখতে পাই।
লাশটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান এএসআই।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়া অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ময়মনসিংহে ধানখেত থেকে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহ সদরের একটি ধানখেত থেকে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের গোষ্ঠা পশ্চিমপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মৌসুমী আক্তার (২৫) মুক্তাগাছা উপজেলার সৈয়দ গ্রামের পুলিশ সদস্য সুজন হাসানের স্ত্রী। সুজন নারায়নগঞ্জে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় হোটেল থেকে ভারতীয় নাগরিকের লাশ উদ্ধার, ৫ সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, বুধবার সকালে শফিকুল ইসলামের ধানখেতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ফারুক হোসেন আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে তালাবদ্ধ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সেবা অব্যাহত রাখুন: পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সদস্যদের জনগণের যে আস্থা তারা অর্জন করেছেন তা ধরে রাখার লক্ষ্যে সেবা অব্যাহত রাখতে বলেছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘“...মানবিক দিকগুলো মাথায় রেখে জনগণের সেবা করা, যাতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে।’
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিভিত্তিক পুলিশ সেবা সম্প্রসারণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, পুলিশ এখন জনগণের বাহিনী হিসেবে জনগণের সেবা করছে। অতীতে তারা (জনগণ) পুলিশের ভয়ে থাকতো।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন তারা জানে যে পুলিশ তাদের সেবা করে ও তাদের পাশে দাঁড়ায় এবং জনগণের আস্থা অর্জন যেকোনো বাহিনীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশের পুলিশ বাহিনীকে উন্নত দেশের মানদণ্ডে উন্নীত করতে চায়। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা আমাদের পুলিশ বাহিনীকে একটি দক্ষ ও চৌকস বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই এবং দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে চাই।
দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় কেউ যেন কোনো বাধা সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি স্মরণ করেন যে বিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে জনগণের ওপর অগ্নিসংযোগ চালিয়েছিল। দেশে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সেইসব হামলা প্রতিহত করার জন্য তিনি পুলিশ বাহিনীসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য।
খোলা জিপে চড়ে প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। তিনি ২০২২ সালে সাহসী কাজের জন্য ১১৫ জন পুলিশ ও র্যাব সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) প্রদান করেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন বিপিএম-বীরত্ব, ২৫ জন পিপিএম-বীরত্ব, ২৫ জন বিপিএম-সার্ভিস ও ৫০ জন পিপিএম-সার্ভিস।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে উৎপাদন খরচ পরিশোধ করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘২০২৩ নতুন অর্জনে পূর্ণ’ করার অঙ্গীকার সজীব ওয়াজেদের
১ বছর আগে