শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত
সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে আগের চেয়ে অনেক বেশি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলেছে।
ভোটারদের কম উপস্থিতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে আমরা দেখতাম। ভোটার কম আসাতে সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই কমিশনের।
কারণ ভোট দেয়াটা ভোটারদের অধিকার। এছাড়া সংশিষ্ট কর্মকর্তারাও যে যার দায়িত্ব পালন করেছে।
ভোটার কম আসার কারণ হিসাবে অবশ্য শৈত্যপ্রবাহ এবং প্রচন্ড শীতকে দায়ী করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সিসিটিভি ক্যামেরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে কাজী আউয়াল বলেন, আজ অব্দি তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রতিটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ থেকে যে কাজ করা যায় তারা সে উদহারণ তৈরি করেছে। আজকের নির্বাচনে তাই করেছে। এছাড়া ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থা তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করেনি।
তদন্তে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাঁচ উপপরিদর্শক (এসআই), ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কন্ট্রোল রুম থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
আসনটিতে মোট ১৭টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৫টি। ভোটকক্ষ রয়েছে ৯৫২টি। মোট এক হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধার এ আসনে মোট ৩২টি চরাঞ্চল রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব ভোটকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্র প্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
১ বছর আগে