আন্তরিক
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সেবা দিতে সবাইকে আরও আন্তরিক হতে হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সেবা দিতে সবাইকে আরও আন্তরিক হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ-কোরিয়া টিটিসিতে জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর নতুন যোগদান করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন ও মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নৌপথ-নদীবন্দর ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সেবা ও ব্যবহারের উপর মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি নির্ভর করে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক আশা-ভরসা নিয়ে সেবা প্রত্যাশীরা আপনাদের কাছে আসে। আপনারা যত স্বচ্ছ ও স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা দেবেন মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি তত উজ্জ্বল হবে।
নতুন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সর্বদা স্বচ্ছ, কর্মঠ ও বিনয়ী হতে হবে। আপনাদের কাছে আসা সেবা প্রত্যাশী কারা সেটা বুঝতে হবে। তারা আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তাদের প্রতি বিনয়ী ও আন্তরিক আচরণ করতে হবে। নিজের কাজে ফাঁকি না দিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে মান্ধাতা আমলের যন্ত্রপাতি দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন এ প্রশিক্ষণ নতুন প্রজন্মের কাজে লাগছে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে আধুনিক যুগোপযোগি যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র প্রবাসীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেই হবে না, প্রশিক্ষকদের ও প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তির সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
আমি আশা করছি, আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে কিছুদিনের মধ্যে আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ ঢেলে সাজাতে সক্ষম হব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফ্ফর।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ‘প্রবাসী কল্যাণ সেল’ গঠন করা হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
ঈদের ছুটির আগেই বেতন-বোনাস পাবে শ্রমিকরা : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধে সব দলকে আন্তরিক হতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা কমছে, সহিংসতা বন্ধে সব দলকে ইচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা কাউকে নির্বাচনে বাধা দিতে দেব না। আমরা আশা করি, সহিংসতা বন্ধে সব দলের ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো সংলাপে পিছপা হয়নি। আওয়ামী লীগ মনে করে সংলাপ ভাল। আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ বছরে দেশে কয়েক হাজার নির্বাচন করেছেন। মোটামুটিভাবে অধিকাংশ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, এক-দুইটিতে হয়তো অনিয়ম হয়েছে। তবে সেই নির্বাচনগুলো বানচালও হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। আর এই নির্বাচনে যদি কোনো বন্ধু রাষ্ট্র সহায়কের ভূমিকা পালন করে, তাহলে তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাব।
ড. মোমেন বলেন,আমাদের বিরোধী দল বিএনপি ২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু , সেখানে তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও করা। যারা কোনো দলের না বিচারকদের বাসভবনে জ্বালাও-পোড়াও করল। হাসপাতালেও জ্বালাও পোড়াও করল। সাধারণ জনগণের প্রায় ১৫৪টি বাস পোড়াল। বাসের মালিক তো সরকার না।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি বলেন, আমরা আশা করব, যে বিপদগামী দলগুলো আছে তারা পরিপক্কতা অর্জন করে নির্বাচনমুখী হবে। যাতে আমরা শান্তিপূর্ণ মডেল নির্বাচন করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং বাংলাদেশেরও একই প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য আসছে, কারণ কিছু বাংলাদেশি সাংবাদিক জোর করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: কার সঙ্গে সংলাপ হবে, জানতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে তারা নিজেদের দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
ড. মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, পেছনের দরজা দিয়ে আসেনি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস স্পাউজ অ্যাসোসিয়েশন (এফওএসএ) আয়োজিত 'ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার'-এ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
এ সময় ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কেউ বাধা দিতে পারবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ডেঙ্গু প্রকোপ কমে যায়। অন্য বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৯ সাল থেকে আমরা ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। ২০২০ সালে এসে সেই সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তবে ২০২২ সালে এসে আবার পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা দুশ্চিন্তার কারণ বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মাধ্যমে এডিস মশা বন্ধ্যাত্বকরণ করেছে। ইন্দোনেশিয়া এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজ করছে। কীটতত্ত্ববীদ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সবধরনের প্রোগ্রাম নিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে নিবিরভাবে মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরবরাহ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এডিস মশাসহ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীটনাশকও পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর কীটনাশক আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন যে কেউ অনুমোদিত কীটনাশক আমদানি করতে পারবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা ও জনগনের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। সাধারণ জনগনকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। দায়িত্বশীল সবার যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম, চারজন কীটতত্ত্ববীদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সৃজনশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে