মালিকানা জনগণ
দেশের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তাদের দলের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ শাসনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত দেশকে অন্যায়, অপশাসন ও অপকর্ম থেকে মুক্ত করা যাবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ তার সকল নাগরিকের। কিন্তু এক চতুর্থাংশ আওয়ামী লীগ জনগণের বাংলাদেশ দখল করে লুণ্ঠনে লিপ্ত হয়েছে। তাই এখন আমাদের সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ হলো দেশের মালিকানা যে জনগণের তা পুনরুদ্ধার করা।’
আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে দল-মত, ধর্ম-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দেশকে উদ্ধার করতে হবে এবং জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এ কারণেই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশকে উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ এ মন্তব্য করেন।
বিগত বছরের মতো এবারও বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র, অর্থনীতি, বিচার বিভাগ ও সামাজিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ায় বাংলাদেশ একটি সংকটময় মোড় অতিক্রম করছে।
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা এই সমস্ত জিনিসগুলো ধ্বংস করেছে তারা আবার এগুলো মেরামত করতে সক্ষম হবে না। সেজন্য আমরা রাষ্ট্রকে মেরামত করতে ২৭ দফা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, তাদের ২৭ দফা ইতোমধ্যেই দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল সব ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সব ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। ‘আমাদের ২৭ দফার ১৩ ধারা অনুযায়ী, সকল ধর্মের বিশ্বাসীরা তাদের নিজ নিজ ধর্মের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সমস্ত সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তাদের উপাসনালয় হামলার শিকার হয়েছে এবং তারা তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সকল সম্প্রদায় ও ধর্মের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে মুক্তি চাই। গণতন্ত্র ছাড়া কোনো বিভাগই সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে সেটাই প্রমাণ করেছে। স্বাধীনতার পর বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে তারা তা করেছিল এবং এখন আবারও করেছে।’
বাইবেলের আয়াত পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রয়াত, বিএনপি নেতারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে কেক কাটেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন: মোশাররফ
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
১ বছর আগে