গণঅবস্থান
সোমবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল-গণঅবস্থান, মঙ্গলবার ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের এক দফা দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি নিহতদের স্মরণে সোমবার সারাদেশে শহীদ স্মৃতিফলক উন্মোচন করবে তারা।
শাহবাগ মোড়ে বেলা ১১টায় শ্রমিক সমাবেশ এবং বিকাল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (৬ জুলাই) 'লং মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচির ডাক দেন এবং তাদের কর্মসূচি সফল করতে শিক্ষার্থী, নাগরিক ও শ্রমিকদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া 'ছাড়তে হবে ক্ষমতা, ঢাকাই আস জনতা' স্লোগানে এ দিন দুপুর ২টায় শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
একই সঙ্গে সব এলাকা, গ্রাম, উপজেলা ও জেলায় শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি করে 'সংগ্রাম কমিটি' গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইন্টারনেট বন্ধ হলে আমাদের অপহরণ, গ্রেপ্তার, হত্যা করা হয়। যদি ঘোষণা দেওয়ার মতো কেউ না থাকে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এক দফা দাবি নিয়ে রাজপথ দখল করে শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ফের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভকারীদের
পুরানা পল্টন থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ
২ মাস আগে
নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি’র ‘আন্দোলন-আন্দোলন খেলা’ চলতে থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে, সে পর্যন্ত বিএনপির হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ, গণঅবস্থান, মানববন্ধনসহ আন্দোলন আন্দোলন খেলা চলতে থাকবে।
শনিবার টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু আকাশী ক্লাব আয়োজিত ১৫তম ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আর তারা যদি মনে করে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেটি অবাস্তব ও সংবিধানবিরোধী। দেশে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবে, এটি বিএনপির অবাস্তব ও অলীক স্বপ্ন। ২০০৮ সালের নির্বাচনকে তারা মেনে নেয় নি, ২০১৪ সালের নির্বাচনকে তারা বর্জন করে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল অবরোধ করেছে, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে।’
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না বলে খালেদা জিয়া বিএনপির অফিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৯০ দিন আন্দোলনের পর মুখে কালিমা মেখে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন। তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি৷ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সুবোধ বালকের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল।’
আবহমান বাঙালি ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঘোড়দৌড় আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি ঘোড়দৌড়কে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। পুরো মধুপুর উপজেলায় উৎসব আনন্দের আবহ তৈরি হয়। সেজন্য, ঘোড়দৌড়, নৌকাবাইচ, হাডুডুসহ সকল লোকজ সংস্কৃতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে ছোট মনির, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনের গণঅবস্থান কর্মসূচি মঙ্গলবার শুরু হয়েছে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলো পৃথকভাবে সকাল ১০টায় চার ঘণ্টার এই কর্মসূচি শুরু করে, যা দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে।
বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যেই নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি একযোগে আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।
বিএনপি নেতারা বলেন যে ২০০৭ সালে সেই দিনে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে ১১ জানুয়ারির জন্য এই কর্মসূচি তৈরি করা হয়, দিনটি দেশে ‘এক-এগারো’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল এবং সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি পান তারা।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তারা (পুলিশ) যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে কর্মসূচি পালনের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে দায় তাদের (বিএনপি) নিতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকায় ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি মোড়ে এলডিপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বম ঐক্য এবং আরামবাগে গণফোরাম (মন্টু) কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতে বিএনপির সঙ্গে ডান-বামরা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাজধানীতে বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ ও নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরে মুজিব কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলে বিএনপি কোনও বাধার মুখে পড়বে না। তাদের কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ালে তা বরদাস্ত করা হবে না।’
সরকার বিএনপির কর্মসূচিতে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। দলটি তাদের আগের কর্মসূচিতে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে গণঅস্থানের নামে ভাঙচুর ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রতিহত করবে।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ঢাকা মেট্রোপলিটনের কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১১ জানুয়ারি দেশের সব বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ঢাকায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অচিরেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে