সমমনা দল
শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে শুক্রবার সব জেলায় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে একই দাবিতে শনিবার ঢাকাসহ সব মেট্রোপলিটন শহরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শনিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) এই কর্মসূচি সম্পর্কে জানিয়েছি। আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী কর্মসূচি নিয়ে ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন।’
তিনি বলেন, ডিএমপি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক অনুমতি না দিলেও এ কর্মসূচির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছে।
রিজভী বলেন, কালো পতাকা কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতা-কর্মীরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই হবে বিএনপির প্রথম পথচলা কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা দশম দফায় অবরোধ চলছে
বিএনপি এবং সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি অগ্নিসংযোগের ঘটনাসহ চলছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে এই অবরোধ কর্মসূচি।
৩১ অক্টোবর থেকে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা এটি ১০ম অবরোধ।
অবরোধ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
উত্তেজনা ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন ও যাত্রীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক দেখা গেছে।
এদিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে এবং ঢাকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ৯ দফায় অবরোধ পালন করে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
১০ মাস আগে
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, তাদের চলমান আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত, কারণ সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করতে পারবে না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে, তাদের এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সবাইকে শুধু রাজপথে নামার জন্য কারাগারে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির তফসিল বাতিলের দাবি বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) শ্রমিকদের সমাবেশে কাল্পনিক মামলা দায়ের এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মুক্তি দিতে এবং আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে আন্দোলন দমন করা যাবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারী সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মন জয় করতে পারে না। এই সরকারও তা করতে পারবে না। আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্রের জন্য এবং জনগণের ভোটাধিকারের জন্য। আমরা অবশ্যই এই লড়াইয়ে জয়ী হব।’
গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচার, আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসা এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ।
গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যেও এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মান্না বলেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলন বন্ধ করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মানুষ ভোট দিতে যাবে না। কিন্তু তারা (সরকার) নাটকের মতো মঞ্চে অনেক কেন্দ্র প্রস্তুত করবে। পরে সন্ধ্যায় তারা ঘোষণা করার চেষ্টা করবে যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে এমন জল্পনা-কল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, জাতীয় নির্বাচনের নামে কীভাবে নাটক করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সরকার এ ধরনের গুরুতর বিষয় নিয়ে ভাবছে না।
তিনি দাবি আদায়ের পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকার জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের মতামত উপেক্ষা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকার নিয়ে একটি নতুন নীতি ঘোষণা করেছে।’
তারা বলেন, ‘এ ধরনের একতরফা নির্বাচন হলে এবং শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তারা আমাদের পোশাক খাতের উপর নতুন বিধিনিষেধ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।’
সাকি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়াই শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে যাচ্ছে। সরকারের এই প্রচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া যাবে না।’
একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানেসরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তিনি শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাহজাহান ওমরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
১০ মাস আগে
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ৬ষ্ঠ অবরোধ কর্মসূচি চলছে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর এক দফা দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার ডাকা অবরোধ সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল নিয়ে আজ বুধবার সকালে শুরু হয়েছে।
আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে শুক্রবার সকাল ৬টায়।
উত্তেজনা ও সহিংসতার আশঙ্কা সত্ত্বেও ঢাকার সড়কে গণপরিবহন ও যাত্রীদের উপস্থিতি আগের অবরোধগুলোর তুলনায় বেশিই বলে মনে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন
৩১ অক্টোবর থেকে এটি দেশব্যাপী ৬ষ্ঠ অবরোধ কর্মসূচি।
৪৮ ঘণ্টার হরতালের পর একদিনের বিরতি দিয়ে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে সারা দেশে আবারো ৪৮ ঘণ্টা সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিকরতেই এই অবরোধ।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে আবারও বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
১১ মাস আগে
রবিবার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে দুই দিনের বিরতি দিয়ে আগামীকাল রবিবার থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল ৬টায় শুরু হওয়া দেশব্যাপী বিরোধী দলের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হওয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা আগে এই নতুন আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। চলমান অবরোধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরসহ ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
রিজভী বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ ছাড়া বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী ও পুলিশের গুলিতে নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্মরণে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে দোয়ার আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, নিহত বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের আবারো গুম করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী: বিএনপি
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সব নেতাদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং তাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবরোধ অব্যাহত থাকবে।
দেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে তাদের অবরোধ সফল হয়েছে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদও জানান তিনি।
এর আগে ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের দেশব্যাপী অবরোধ ঘোষণা করেছিল দলটি।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতাল পালন করে দলটি। এতে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষ এবং তিনজন নিহত হওয়ার মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং সমাবেশ মাঝপথে ভেস্তে যায়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
১১ মাস আগে
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে আগামী বুধবার থেকে ফের সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ‘বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থান’ উপলক্ষে বিএনপি ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে বিবেচনা করায় মঙ্গলবার বিরোধী দলগুলো তাদের কর্মসূচি পালনে বিরতি দেয়।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী অন্য বিরোধী দলগুলোও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের চলমান অবরোধ সফলভাবে পালিত হচ্ছে বলে দাবি করেন রিজভী।
আরও পড়ুন: রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বিরোধীদের ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী অবরোধের শেষ দিনে নতুন আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে হরতাল চলাকালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
দেশব্যাপী তিন দিনের অবরোধে সংঘর্ষ এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ব্যাপক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে রবিবারও তারা দেশব্যাপী ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ পালন করে; যা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানির মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা। ক্রমেই তা নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশটি মাঝপথে ভণ্ডুল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেদিন থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে আছে দলটির প্রধান কার্যালয়।
আরও পড়ুন: নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ
১১ মাস আগে
ঢাকায় শনিবার গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দল
বিএনপি ও তার সমমনা বিরোধী দলগুলো তাদের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে তাদের যৌথ কর্মসূচি গণমিছিল ও গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের এটি হবে ষষ্ঠ কর্মসূচি।
বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখাসহ অন্যান্য দল ও জোট পৃথকভাবে মিছিল করবে।
দুপুর ২টায় কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছে থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা একটি মিছিল বের করবে যা নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ
এদিকে মহানগর উত্তর শাখা একই সময়ে রামপুরা থেকে একটি মিছিল শুরু করবে যা নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বম ঐক্য, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ সদর ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবেন।
এ বছরের ১২ জুলাই বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক রাজবন্দির মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব ‘মিথ্যা ও সাজানো মামলা’ প্রত্যাহার এবং সব ‘মিথ্যা সাজা’ বাতিল করা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে গত ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিন্ন লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মেয়র-কমিশনারদের উদাসীনতায় ডেঙ্গুর খারাপ পরিস্থিতি: বিএনপি
এক দফার আন্দোলন: শনিবার ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
১ বছর আগে
শুক্রবার ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকায় কালো পতাকা নিয়ে গণমিছিল বের করবে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের এটি পঞ্চম কর্মসূচি।
শনিবার এক দফা দাবিতে সব মহানগরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট পৃথকভাবে কালো পতাকা নিয়ে গণমিছিল বের করবে।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করবে মহানগর দক্ষিণ শাখা। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গণমিছিলের উদ্বোধন করবেন এবং এটি শেষ হবে দয়াগঞ্জে।
মহানগর উত্তর শাখার মিছিলটি শ্যামলী রিং রোড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে শেষ হবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, লেবার পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশ, এবি পার্টি, জনতার অধিকার পার্টি ও এনডিপি পৃথকভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
এর আগে, ১৮ আগস্ট (শুক্রবার) বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা দাবি আদায়ে রাজধানীসহ সব মহানগরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে।
চলতি বছরের ১২ জুলাই বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
দলটির এই দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’ মামলা প্রত্যাহার এবং সব ‘মিথ্যা সাজা’ বাতিল।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের গণমিছিল
১ বছর আগে
একদফা আন্দোলন: মঙ্গলবার দেশব্যাপী পদযাত্রা করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
তাদের একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে পদযাত্রা করবে বিএনপি এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী দলের এক দফা আন্দোলনের এটাই হবে প্রথম কর্মসূচি।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল ১০টায় গাবতলী বাসস্টেশন থেকে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন।
পার্টির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিকাল ৪টায় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা চাঁদের ওপর হামলা, পুলিশ আহত
বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদস গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়াও দলের সকল মহানগর ও জেলা শাখা একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি সর্বস্তরের জনগণ এবং বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মিছিল কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
এর আগে গত ১২ জুলাই মির্জা ফখরুল আনুষ্ঠানিকভাবে ‘একদফা’ আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
এক দফা দাবি আদায়ে প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এছাড়াও বিএনপি আগামী ১৯ জুলাই (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। অন্যান্য বিরোধী দল ও জোটও রাজধানীতে কর্মসূচি পালন করবে।
দলটির দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ' আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং সকল মিথ্যা সাজা বাতিল।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো মানুষের ঢল
১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীতে বিএনপির মিছিলে ডিএমপির আপত্তি নেই: এ্যানী
১ বছর আগে
শনিবার সব মহানগর ও জেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত সর্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করাও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর বিএনপি যৌথভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
একই সময়ে অন্যান্য মহানগরী ও জেলা শহরেও একই কর্মসূচি পালন করবেন দলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি ছাড়াও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোট, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং এলডিপিও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
তবে দীর্ঘদিন ধরে যুগপৎ কর্মসূচি পালন করে আসা গণতন্ত্র মঞ্চ শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে না।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জানান, রবিবার বিএনপির সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তারা পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিন্ন লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
এ পর্যন্ত তারা ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশের সব ইউনিয়ন, জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
১ বছর আগে