অবাধ
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: আফরিন আখতার
বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সফররত মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার। মঙ্গলবার(১৭ অক্টোবর) বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর আফরিন কোনো মন্তব্য না করলেও তিনি বলেন, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং অন্যান্য সব পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়েও তারা আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন,‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আমাদের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নসহ বিস্তৃত বহুমুখী সম্পর্কসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে: অরিন্দম বাগচি
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আখতারের বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তারা দু'দেশের মধ্যে 'শক্তিশালী বহুমুখী' দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, মধ্যপ্রাচ্য, স্বাধীন ও নির্দলীয় নির্বাচন জরিপ দলের সাম্প্রতিক সফর এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমর্থন নিয়ে আলোচনা হয়।
মঙ্গলবার আরআরআরসি’র মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে আখতার বলেন, রোহিঙ্গাদের যে কোনো প্রত্যাবাসন 'স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ' হতে হবে।
আরও পড়ুন: আইআরআই-এনডিআই মিশনের সুপারিশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘প্রায় একমত’: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল না হওয়ায় প্রত্যাবাসনে জোরপূর্বক কোনো প্রচেষ্টা চালানো উচিত নয়।
আখতার বলেন, ‘তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাব।’
তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং 'অবিশ্বাস্য উদারতার' প্রশংসা করেন। ‘আমরা সত্যিই উদারতার প্রশংসা করি।’বলেন তিনি।
২০১৭ সালে দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: মাসুদ-আফরিন বৈঠক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন চায়
১ বছর আগে
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধনকালে মাওয়ায় এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ আছেন যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখেছে।’
জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
যারা তার আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলার কথা বলে তাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আর যারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে তারা প্রতিদিন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। আসলে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না।’
বিএনপির নাম না নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দলটি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ব্যক্তি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। ভোট কারচুপি করে তারা ক্ষমতায় এসেছে।’
কিন্তু ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় জোট ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পায়। এরপর থেকে তারা নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি তারা অগ্নিসংযোগ, নিরীহ মানুষ হত্যা ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে ভাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং তারা কাউকে তা ধ্বংস করতে দেবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শধারণ করে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা ট্রেনের ভাড়া ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি জাতীয় কমিটির
১ বছর আগে
কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় সে বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিয়ে তাকে জ্ঞান দেওয়া উচিত নয়। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে তার দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, ‘আমাকে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাতে হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে করেছি এবং সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইউএনজিএ অধিবেশন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার
৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) যোগদানের জন্য তার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের ফলাফল সম্পর্কে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারপর সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পেরেছে বলেই জনগণ আমাদের বারবার ভোট দিয়েছে এবং একটানা (টানা তিন মেয়াদে) ক্ষমতায় আছি বলেই আজকে অর্থনৈতিক উন্নতিটা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখন এত প্রশ্ন কেন?
তিনি বলেন, ‘একটি দেশ এত দ্রুত এগিয়ে যাওয়া কি সবার জন্য মাথাব্যথার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে? আমার তো সন্দেহ হচ্ছে কীভাবে এটা (এই অগ্রগতি) ধ্বংস করা যায়, তাই এমন প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে?’
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলেছেন যে বাংলাদেশে একসময় সেনাবাহিনীর জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত জেনারেলদের সরকার ছিল। এটি এখন পরিবর্তিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কেন সবাই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আমার সন্দেহ হচ্ছে। আসলে এটা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা।’
তিনি বলেন, যারা জানে নির্বাচনে তারা ভোট পাবে না তারা এখন সর্বত্র (বিদেশিদের সঙ্গে) তোষামোদি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে যারা আছেন, তারা আসল বাস্তবতা বোঝেন কি না জানি না, তবে তারা বারবার এক কথা বলছেন এবং ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন।’
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঞ্চে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি বর্জ্য ফেরত নেবে রাশিয়া: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে একটি ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত’ নির্বাচন দেখার আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম কৌশলগত সংলাপের সময় যুক্তরাজ্যের পক্ষ বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু তারা আমাদের পুরনো বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী, তাই আমাদের নির্বাচনে তাদের আগ্রহ রয়েছে। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি (সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য)। আমরা ইতিবাচক আলোচনা করেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক’ শব্দের অনেক অর্থ হতে পারে।
সব মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ এক ধরনের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। তিনি বলেন, কোন দল কী ভাবছে তা তারা জানে না।
মাসুদ মোমেন বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশ-ফ্রান্সের
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে উৎসাহিত করেছে যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
যুক্তরাজ্য মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাচ্ছে যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনিয়মিত হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার উপায় খুঁজতে দুই দেশ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করতে সম্মত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আরও বেশি শিক্ষার্থী ও শ্রমিক যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে বলে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করা হবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সংলাপে জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গতিশীলতা ও অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শাসন, মানবাধিকার, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, সাইবার নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন,‘আমরা এই ইস্যুতে আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি,’তারা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন।
উভয় পক্ষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন কীভাবে এগিয়ে চলেছে তা নিয়েও আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের স্থায়ী আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন এই সংলাপের সহ-সভাপতিত্ব করেন। যা একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য দুই দেশের যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।
সংলাপে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা হয়।
এটি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা, কপ২৮-এ সহযোগিতা এবং জলবায়ু অর্থায়ন, জলবায়ু প্রভাবগুলোর অভিযোজন এবং সহনশীলতার উপর যৌথ কাজ এবং যুক্তরাজ্যের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রদর্শনের সুযোগ প্রদান করেছে।
চতুর্থ বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপ ২০২১ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সর্বশেষ কৌশলগত সংলাপের সময় যুক্তরাজ্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদানের মাধ্যমে একটি মসৃণ এবং সফল এলডিসি অর্জন এবং রপ্তানি-নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
যুক্তরাজ্য ডব্লিউটিওর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য বিধি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু বাণিজ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের ল্যান্ডমার্ক ডেভেলপিং কান্ট্রিস ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) এই বছরের জুন থেকে কার্যকর হয়েছে যা বাংলাদেশ সহ ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাস করে এবং ট্রেডিং নিয়মগুলোকে সহজ করে।
যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, ডিসিটিএস বাণিজ্য ও চাকরি বৃদ্ধি এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এই নতুন স্কিমটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি আধুনিক এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী অংশীদারিত্বের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত তারা জানে যে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
১ বছর আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি গুজবে কান দিই না। আমরা অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। গত কয়েকটি নির্বাচনে আমরা তা প্রমাণ করেছি। সেগুলোর সবকটি স্বাধীন, ন্যায্য এবং সহিংসতামুক্ত হয়েছে।’
রবিবার সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে হবে: মোমেন
দেশে অনিশ্চয়তা সৃষ্টিকারী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোমেন।
মোমেন বলেন, ‘আপনি বারবার প্রমাণ করেছেন যে আপনি কোনো বিদেশি শক্তির কাছে পরাজিত নন। এবারও আপনারা সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ধরনের বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়বেন।’
তিনি বলেন, তার মন্ত্রণালয় জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘(এটা) যাতে কোনো ধরনের উন্মাদনা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্র ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয়। বিভিন্ন মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। তাদের থেকে সাবধান।’
দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের প্ররোচনা বা তাগিদে দেশের দুর্ভাগ্য ডেকে আনবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনে আমরা আপনাকে সমর্থন করি... বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে একটি কায়েমী মহলের ক্ষোভ থাকতে পারে। সরকারের প্রতি বিদ্বেষে তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে। আমরা তাদের বন্ধুদের সতর্ক থাকতে বলব। দেশকে ধ্বংস করলে আপনারও ক্ষতি হবে।’
বাজেটে রাজস্ব ও করদাতার সংখ্যা বাড়াতে মন্ত্রী দু’টি প্রস্তাব দেন।
প্রথমটি হলো যে সকল বাংলাদেশি নাগরিক যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা উচিত এবং দ্বিতীয়টি হলো যারা ২৫ হাজার টাকার ওপরে লেনদেন করে তাদের তা ব্যাংক এবং চেকের মাধ্যমে করা উচিত।
গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে আরও দক্ষ হতে হবে।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, অনেক সময় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদ অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘায়িত করা হয়।
‘এতে প্রকল্পের খরচের পাশাপাশি সরকারের খরচও বাড়ে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করতে আরও তদারকি প্রয়োজন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি এমন একটি দেশের কথা উল্লেখ করেন যেখানে কোনো প্রকল্প পরিচালক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ করতে ব্যর্থ হলে তাকে বরখাস্ত, জেল ও জরিমানা করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘ফলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে না…. আপনি যদি এই বিষয়ে মনোযোগ দেন তবে আমি খুশি হব।’
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের চিঠিতে উল্লেখিত সংখ্যালঘুদের নিয়ে বক্তব্য সত্য নয়: মোমেন
বৃহত্তর বৈশ্বিক স্বার্থে বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখুন: জি২০ সভায় মোমেন
১ বছর আগে
স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল৷
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনোত্তর মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিছু সংকটের কথা শোনা গেছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে এমন সমস্যা কোন ভোটে দেখতে চায়না ইসি। তাই সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধীরগতির কারণ পর্যালোচনাও করবে কমিশন বলেও জানান তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফিঙ্গার প্রিন্টের সমস্যা কম ছিল। তবে নানা কারণে নির্বাচনে ভোট কাস্টিং এ ধীরগতি কম ছিল। ইভিএম এ ভোট সংকট দূর করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে নির্বাচন কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরা ভোটের দিনের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা ইসিকে অবহিত করেন।
সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের দেখা অভিজ্ঞতার বিষয়গুলো তুলতে গিয়ে ভোটারদের বাধা দেয়া, ইভিএম ত্রুটি ধরা পড়া, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার কথা বলেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ভোটাররা এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি ইভিএমে। অনেকের হাতের ছাপ না মিলায় রংপুরে ভোটগ্রহণ ধীরগতি হয়েছে। আরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় সিইসি ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিল।
পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী, সদ্য সমাপ্ত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও অংশ নেন এই সভায়।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
১ বছর আগে