তাবলীগ
সংবাদ সম্মেলন: তাবলীগের একটি পক্ষের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগ
তাবলীগ জামাতের একটি পক্ষের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে তা দূর করতে আহ্বান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরে নগরীর বিআইডিসি বাজার সংলগ্ন এলাকায় সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ সময় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ শাওন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করেছি, তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপের সঙ্গে ব্যাপকভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে। ইজতেমায় প্রধান মুরুব্বিদের আগমন, কাকরাইল মসজিদ ব্যবহার, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান নিয়ন্ত্রণে ও ইজতেমার সময় বরাদ্দে চরম বৈষম্য হচ্ছে। ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে এই বৈষম্য অবিলম্বে দূর করা দরকার।
আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এসব প্রস্তাব মেনে নেওয়া না হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলেন জানান এই শিক্ষার্থী।
এ সময় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, রেদওয়ান, সাখাওয়াত হোসেন, শরিফুল, হুজাইফা, সিফাত, তাইবুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
৯৫ দিন আগে
তাবলীগের মারকাজ নিয়ে সরকারের নতুন নির্দেশনা
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের তাবলীগী মারকাজে সহাবস্থান বজায় রাখতে মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে একপক্ষকে অন্যপক্ষের মারকাজে কোনো ধরনের বাধা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ক্ষেত্রে এরআগে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সেটি অনুসরণ করতে হবে।
গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান মাঠ দখল নিয়ে গেল ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাবলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
পরে দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইজতেমা ময়দান খালি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পরিবেশ অধিদপ্তরকে দক্ষ ও আধুনিক করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: রিজওয়ানা
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ইজতেমা ময়দান ঘিরে জারি করা সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর মহানগর পুলিশ আইনের ক্ষমতাবলে গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটারের মধ্যে জারি করা আদেশগুলো বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে প্রত্যাহার করা হল।
১০৬ দিন আগে
আগামীকাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা শুরু
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা আগামীকাল শুক্রবার ফযরের নামাজের পর শুরু হচ্ছে। ইজতেমায় অংশ নিতে তাবলীগের মুসুল্লীদের আগমনে এরই মাঝে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরের ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
এবারও ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার কর্মী তৎপর রয়েছেন। তবে ইজতোমার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি রয়েছে তাদের। শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই বেড়ে যেতে পারে, তাই স্বাস্থ্যক্যাম্প বসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্যাম উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
জানা গেছে, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় বার্ধক্যজনিত কারণে এরই মধ্যে দুই মুসল্লি মারা গেছেন।
ইসলাম ও ইজতেমার দাওয়াতের কাজে তাবলীগ জামাতের যারা মসজিদে মসজিদে বিভিন্ন মেয়াদের চিল্লায় ছিলেন তারা এরই মধ্যে প্যান্ডেলে ঠাঁই নিয়েছেন।লাখ লাখ মুসুল্লীর অবস্থানের জন্য বিশাল প্যান্ডেলকে খিত্তায় খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। জেলা অনুযায়ি খিত্তায় খিত্তায় ঠাঁই না পেয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন মাঠের পাশে খোলা আকাশের নিচে।
তবে মুসুল্লিদের আগমন এবার বেড়েছে এবং আগের চেয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়লেও আরও বাড়ানোর দাবি রয়েছে তাদের।
এদিকে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, ইজতেমার ময়দানে এবং বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার পথে বিদেশি মুসল্লিদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। দেশীয় মুসল্লীদের জন্য ময়দান ও ময়দানের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
প্রতিবারের মতো এবারও ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামারায় মনিটরিং, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে ইজতেমা মাঠকে ঘিরে। ইজতেমার দেশী-বিদেশী শীর্ষ পর্যায়ের মুরৃব্বীরা তাবলীগের ৬ ওসুলের ওপর বয়ান করবেন।
গত কয়েক বছর থেকে তাবলীগের দুই গ্রুপ আলাদা করে একই জায়গায় ইজতেমা করছেন। প্রথম পর্যায়ে মাওলানা হাফেজ জোবায়ের পন্থি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতের মাওলানা সাদ পন্থি তাবলীগ জামায়াত সদস্যরা ইজতেমা করবেন। দুই গ্রুপের ইজতেমায় দেশীয় মুসুল্লিদের সঙ্গে বিদেশি মুসল্লীগণ এই ময়দানে সমবেত হবেন এবাদত-বন্দেগী ও আল্লাহকে রাজি খুশি করার মাধ্যমে পরকালের চির শান্তির আশায়।
করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে গত দু'বছর বিশ্ব ইজতেমা হয়নি। দু'বছর পর এবার দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং মাঝখানে চারদিন বিরতি দিয়ে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
রেওয়াজ অনুযায়ী আখেরী মোনাজাত হবে প্রতি পর্বের ইজতেমার শেষদিনে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: আইজিপি
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৮২৮ দিন আগে