ডোনাল্ড লু
ডোনাল্ড লুকে প্রশ্ন করার সময় সাংবাদিকরা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন: বিএনপি
দেশের দুটি গণমাধ্যমের সাংবাদিক বাংলাদেশে সফরকারী দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দলের বরাতে প্রশ্ন করার সময় সম্পূর্ণরূপে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (১৭ মে) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫১ নেতা বহিষ্কার
এতে বলা হয়, বিএনপিকে হেয় করতেই প্রথম আলো ও ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা অবান্তর প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের একটি বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করেছে যে, ভারতের মধ্যস্থতায় প্রভাবিত হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান নরম করেছে।’
এতে দাবি করা হয়, বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতাই কখনো কোথাও এ ধরনের মন্তব্য করেননি বা বক্তব্য দেননি। এ ধরনের মনগড়া বক্তব্য প্রকাশ করা বড় ধরনের ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করে।
প্রথম আলো ও ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির মতো বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের এ ধরনের অবাস্তব প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সুনামকে ক্ষুণ্ন করে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিএনপি বলেছে, বর্তমানে দেশের জনগণ ভয়াবহ দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট। বিএনপির নেতাকর্মীরা জীবনবাজী রেখে, জেল—জুলুম, নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জনগণের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বদ্ধপরিকর।
বিএনপির বরাত দিয়ে যে বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন করা হয়েছে তা সমীচীন নয়। এটি জনমণে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বলে এর প্রতিবাদ করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ভারত: ফখরুল
৭ মাস আগে
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: লু
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেছেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে 'আস্থা পুনস্থাপন' প্রচেষ্টার লক্ষ্যে বাংলাদেশে তার এই সফর।
বুধবার (১৫ মে) সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক উত্তেজনা ছিল।’পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন লু।
এ সময় দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
'সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক' ভবিষ্যৎ গড়তে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে রয়েছে বলে জানান লু।
লু বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, কর্মশক্তি জোরদার, নিরাপত্তা সহযোগিতার উন্নয়ন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়ে আমাদের মূল্যবোধ জোরদার করার বিষয়ে অভিন্ন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ‘দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে’ ঢাকায় ডোনাল্ড লু
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লু বলেন, তারা সম্পর্ক জোরদার করার উপায় খুঁজে বের করতে চান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জটিল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার কথা বলেছি। আমাদের অনেক জটিল বিষয় রয়েছে- র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম সংস্কার, মানবাধিকার, ব্যবসায়ের পরিবেশ সংস্কার।’
জটিল বিষয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে ইতিবাচক বিষয়গুলোতে সহযোগিতার ক্ষেত্র গড়ে তুলতে চান বলে জানান মার্কিন এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা নতুন বিনিয়োগের কথা বলছি, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার ইচ্ছা এবং কীভাবে ক্লিন এনার্জি নিয়ে কাজ করতে হবে সেসব নিয়ে আলোচনা করেছি।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং কর আহরণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন লু। তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি সাধারণ।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ও ইস্টার্ন ব্যাংক
পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সম্পর্কোন্নয়নের জন্য লু বাংলাদেশে এসেছেন।
জিএসপি সুবিধা বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচি পুনরায় চালুর সময় বাংলাদেশকে এটি ফেরত পেতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়াও বাংলাদেশের রিজার্ভ শক্তিশালীকরণে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিতে চায় বলেও জানান ড. হাছান।
বৈঠকে কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু ও ফিলিস্তিনে গণহত্যা নিয়েও কথা বলেন তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেছেন, তারাও গাজায় শান্তি দেখতে চান। তারা এ নিয়ে আশাবাদী এবং সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছেন।’
এ সময় আরও ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
একই দিনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড লু। পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে পৃথকভাবে আলোচনা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) 'দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার' করতে এবং একটি উদার, উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রদর্শনে লু ঢাকা সফর করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, জলবায়ু সমস্যা সমাধানে দুই দেশ যাতে আরও সহযোগিতা করতে পারে, সেই লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করাসহ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশি ফুচকাই সেরা': ডোনাল্ড লু
৭ মাস আগে
ডোনাল্ড লুর আসন্ন সফরে রোহিঙ্গা সংকট প্রাধান্য পাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর আসন্ন সফরে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ডোনাল্ড লু মূলত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আসছেন।’
অন্যান্য বিষয়ও অবশ্যই আলোচনায় আসবে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
তবে ডোনাল্ড লু কবে ঢাকায় আসছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পকের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসা ডোনাল্ড লু’র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'চমৎকার' সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই দেশ এই সম্পর্কের আরও উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব এবং সম্পর্ক আরও গভীর হবে।’
গত সপ্তাহে একটি কূটনৈতিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে, আগামী ১৪ মে দুই দিনের সফরে লু ঢাকায় আসতে পারেন। এ সফরে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগের সৃষ্টি হবে।
একেটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, এ সফরে ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকার আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ‘অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিষয়ে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, ইউএসএআইডির ব্যুরো ফর এশিয়ার সহকারী কর্মকর্তা মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আখতার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'দু পক্ষেরই সদিচ্ছা আছে। আমরা একসঙ্গে আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।’
এইলিন লুবাখার তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে আমাদের একসঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকারে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই: মার্কিন প্রতিবেদন
৭ মাস আগে
জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
রাজনৈতিক আলোচনার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না থাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটি যোগ দেবে কি না, তা দু-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় পার্টি।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দলের সভাপতির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আলোচনার জন্য তিনটি প্রধান দলকে চিঠি দিলেও এখন পর্যন্ত সংলাপের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
চুন্নু বলেন, বিএনপি সংলাপের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি, তবে ক্ষমতাসীন দল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ অবস্থায় জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না তা নিয়ে এখন প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
চুন্নু বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র নেতারা প্রয়োজনে আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের একটি সভা আহ্বান করবেন এবং আমরা দু-এক দিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা নির্বাচনে যাব কি না।’
তিনি বলেন, তাদের দল এখনও একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক আলোচনা চায়।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সিইসি আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এক বিবৃতিতে একে স্বাগত জানিয়েছেন।
রওশনের অনুগত কয়েকজন নেতা নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে সাম্প্রতিক বৈঠকে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অনুগত বেশিরভাগ তৃণমূল নেতা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জনগণ আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
১ বছর আগে
সংলাপের আহ্বান জানিয়ে লু’র চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি
বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে প্রধান তিনটি দলকে আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র চিঠি পেয়েছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইউএনবিকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে এই পর্যায়ে তাদের দল যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার আহ্বান মেনে নেবে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র চিঠিটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠিটি স্ক্যান করে তারেক রহমানের কাছে পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে ক্ষমতা থেকে সরকার সরে না দাঁড়ালে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে না নিলে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যাবে না তারা।
অন্যদিকে, সরকারও বারবার বলেছে নিবার্চন হবে সংবিধান মেনে।
আরও পড়ুন: ৩ প্রধান দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ পিটার হাসের
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বনানী কার্যালয়ে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে চিঠিটি হস্তান্তর করেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই চিঠি দেওয়া হবে।
চিঠি সম্পর্কে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি ইউএনবিকে বলেছেন, তারা তাদের ‘দীর্ঘদিনের চর্চার’ অংশ হিসেবে তারা ব্যক্তিগতভাবে কূটনৈতিক যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করেন না।
অন্যদিকে, জানা গেছে রাষ্ট্রদূত হাস আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন অবস্থানের উপর জোর দিতে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেছেন।
মার্কিন দূতাবাসের জারি করা একটি মিডিয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘থ্রিসি নীতি’ কার্যকর করবে।
দূতাবাস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয় না।
যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) বা ‘থ্রিসি’-এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশির জন্য ভিসা সীমিত করতে পারবে।
২৮ অক্টোবর থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক, বেআইনি: জাতিসংঘকে আইনমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আগামী সপ্তাহে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরে পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আলোচনায় আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচনী বিষয়গুলো অন্যতম ইস্যু হিসেবে আলোচনায় আসতে পারে। আমরা এটি উড়িয়ে দিচ্ছি না।’
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বাণিজ্য, শ্রমসহ পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য বিষয় আলোচনায় আসবে।
বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ১১ থেকে ১৪ জুলাই সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর জন্য মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী প্রশাসক, ইউএসএআইডি অঞ্জলি কৌর প্রতিনিধিদলে থাকবেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সৌরভ কুমার
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জেয়া তুলনামূলকভাবে একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা এবং তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা বেশ প্রশস্ত।
মোমেন বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল শুধু নির্বাচনী ইস্যুতে আলোচনা করতে আসছে এমন কোনো তথ্য তার কাছে নেই, তবে এটা দুই দেশের বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা।
ঢাকা সাম্প্রতিক অতীতে ওয়াশিংটন থেকে একাধিক সফরের সাক্ষী ছিল, যার মধ্যে ২০২২ সালের ১৯ থেকে ২৩ মার্চ রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের একটি সফর অন্তর্ভুক্ত।
চলতি বছরের শুরুতে ডোনাল্ড লুও বাংলাদেশ সফর করেন। লু সাম্প্রতিক অতীতে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ নীতি নির্ধারণে ব্যাপকভাবে জড়িত।
২৫ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করার পর লু এই পদক্ষেপের জনসম্মুখে আসেন। বাংলাদেশি গণমাধ্যমে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা করেন যে এটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন: ইইউ’র নির্বাচন অনুসন্ধানী মিশন বাংলাদেশ সফরে আসছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এদিকে মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, উজরা জেয়ার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দলের এই সফর মূলত দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার এবং জোরদার করার প্রচেষ্টা। যোগাযোগ আরও।
মার্কিন প্রতিনিধিদল বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের ব্যস্ততার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে।
জেয়া গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, সার্বজনীন মানবাধিকারের অগ্রগতি, উদ্বাস্তু ও মানবিক ত্রাণকে সমর্থন, আইনের শাসন ও মাদকবিরোধী সহযোগিতা, দুর্নীতি ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই, সশস্ত্র সংঘাত প্রতিরোধ এবং মানব পাচার নির্মূলে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিকের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হতে চায় কানাডা
১ বছর আগে
'মানবাধিকার সম্মানে' র্যাবের 'অসাধারণ অগ্রগতি': মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দায়িত্ব পালনের সময় ‘মানবাধিকারকে সম্মান করার’ ক্ষেত্রে র্যাবের ‘অভূতপূর্ব অগ্রগতির’ প্রশংসা করেছেন।
লু বলেন, র্যাবের বিষয়ে তাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং তিনি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাম্প্রতিক বিবৃতি উল্লেখ করেছেন। যাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমার ক্ষেত্রে ‘অসাধারণ অগ্রগতি’ হয়েছে বলে অভিহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটি স্বীকার করি। এটি একটি অভূতপূর্ব কাজ। এতে দেখা যায় যে র্যাব মানবাধিকারকে সম্মান করার মধ্য দিয়েও তার সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রচেষ্টা এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছে।’
রবিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
লু বলেন, ‘আমাদের খুব সৎ ও মুক্ত আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু পৌঁছেছেন; খোলামেলা আলোচনা করবে ঢাকা
শ্রম অধিকার ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তিনি বলেন, ‘আজ সকালে আমার সালমান এফ রহমানের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। যাতে আমরা এই দেশে শ্রম অধিকারের উন্নতিতে সহযোগিতা করতে পারি। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী যে আমরা এই বছর অগ্রগতি করতে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে যোগদান করুক যুক্তরাষ্ট্র তা চায় কিনা জানতে চাইলে লু বলেন, তারা এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা কোনও ক্লাব নয় এবং এতে যোগ দেয়া বা না দেয়ার বিষয়।’
বাংলাদেশের জন্য জিএসপি (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স) সুবিধা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, তারা এখনও কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে।
লু বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’ কংগ্রেস অনুমোদন দিলে বাংলাদেশ তালিকায় (জিএসপি সুবিধা পাওয়া) প্রথম দেশ হবে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ এবং তারা কোনো গঠনমূলক পরামর্শ দিলে বাংলাদেশ তা গ্রহণ করবে।
মার্কিন কর্মকর্তা ডোনাল্ড লু-এর সফরের আগে শুক্রবার আইপিএস এবং এর অর্থনৈতিক উপাদান সম্পর্কে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মোমেন বলেছেন যে বাংলাদেশ জনগণের কল্যাণের জন্য যা যা প্রয়োজন তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে সরকার এখনও ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) সম্পর্কিত বিষয়গুলো অধ্যয়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘এটি এতটা স্বচ্ছ নয়। এটি কীভাবে সুফল বয়ে আনবে তা সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। আমরা অধ্যয়ন করছি।’
ব্যুরো অব সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সের সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত ডোনাল্ড লু তার ভারত সফর শেষ করে ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
মোমেন বলেন, ‘আমরা আমাদের বিষয়গুলো তুলে ধরব। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকা খুবই স্বাভাবিক।’
ডোনাল্ড লু জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম এবং মানবাধিকারসহ বিভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে বৈঠক করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, তিনি তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার, অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ এবং শ্রম ও মানবাধিকারের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে আলোচনা করতে বাংলাদেশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের সঙ্গেই বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখছে, কিন্তু বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং: মোমেন
১ বছর আগে