বিনির্মাণ
ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-সুইডেন: পলক
ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণ ও ফাইভজি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সুইডেন যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি স্থানান্তর, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বাড়ানো ও কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যেও কাজ করবেন তারা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে পলকের সঙ্গে বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে
গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য খাতের পাশাপাশি গত ৩০ বছর যাবৎ সুইডেনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এরিকসন দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বদলে গেছে বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি দেশ।
সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুইডেনকে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অধিকতর বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও সুইডেন একসঙ্গে কাজ করবে। উভয় দেশের কল্যাণে এই বন্ধুত্ব আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর অংশীদারিত্বের পথ ধরে আগামী ১৭ বছর বাংলাদেশের টেলিকম অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি আইসিটি পণ্য ও সেবা রপ্তানি, বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সুইডেন দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা উন্নয়ন কেন্দ্রস্থাপনে সহযোগিতা করবে।
ফাইভজি প্রযুক্তি নিয়ে জ্ঞান বিনিময়, স্টার্টআপ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতায় শিগগরিই বাংলাদেশ-সুইডেন আইটি পোর্টাল চালু করা হবে।
আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠিতব্য স্টার্টআপ সামিটে এরিকসন, স্পটিফাই, ব্লুটুথ, ভলভোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, আইটি ও টেলিকমে উদ্ভাবন ও টেকসইয়ের ক্ষেত্রে সুইডেনের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে রয়েছে। নিয়মিত সহযোগিতার ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নেও সঙ্গে থাকবে এরিকসন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, পারস্পরিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে আজকের বৈঠক খুবই গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ ছিল।
আরও পড়ুন: মেলা উপলক্ষে বিমানের সব আন্তর্জাতিক রুটের টিকেটে ১৫ শতাংশ মূল্য ছাড়
অনলাইন জুয়ার অ্যাপস শতভাগ বন্ধ করা হবে: পলক
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নবনিযুক্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩ বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন, যার মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত প্রিয় বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধ, উন্নত, আধুনিক একটি রাষ্ট্র। এর সোপান হলো শিক্ষা। আর শিক্ষার ভিত রচিত হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, এ জন্যই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি বলেন, শিক্ষা একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। মাধ্যমিকের সঙ্গে সমন্বয় করে এখানে কাজ করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে শিক্ষার সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। ফুল নেওয়া নয়, ফুল ফোটানোর লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে এবং একইসঙ্গে মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর কাজে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম সমাজের তৃতীয় নয়ন ও উন্মোচিত নয় এমন বিষয় উন্মোচন করতে পারে, যেখানে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি পড়ে না, সেখানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যায় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রথম বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনে জনসমর্থন নেই: হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, ‘আমি কালবেলাকে অসংখ্য অভিনন্দন জানাই যে অত্যন্ত অল্প সময়ে, প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যে এটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। পত্রিকাটি শতবর্ষী হোক।’
তিনি আরও বলেন, দৈনিক কালবেলা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে, একইসঙ্গে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রী বলেন, সবার আগে সংবাদ পরিবেশনার প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে অস্থিরতার অবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় কালবেলার সম্পাদক আবেদ খান, নির্বাহী সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, প্রকাশক নজরুল ইসলাম, সম্পাদকীয় দল, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা হাছান মাহমুদের
ফিলিস্তিনের বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ইউরোপীয় দেশগুলো : ড. হাছান মাহমুদ
বান্দরবানের ইকোট্যুরিজম সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব
বান্দরবানে বিদ্যমান পাহাড়, নদী ও গিরিপথের নৈসর্গিক সৌন্দর্য পর্যটনের কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব। এজন্য সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন এবং জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি) চট্টগ্রাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি) চট্টগ্রামের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
এতে মুখ্য বক্তা হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন দিক, প্রস্তুতি ও সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেন তথ্য অধিদপ্তর ঢাকার সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি) চট্টগ্রাম এর সিনিয়র তথ্য অফিসার মারুফা রহমান ঈমা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বান্দরবান জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফজলুর রহমান, বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল হক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মান্নান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বান্দরবান আয়তনের দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম ও পর্যটন নির্ভর জেলা। জেলাটির সমৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই পর্যটন স্পট ৬৪টি থেকে বাড়িয়ে ৮৪টিতে উন্নীত করা হয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে একটি অ্যাপস চালু করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পকে নিয়েই বান্দরবান জেলাকে স্মার্টকরণের কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার আবদুল জলিল বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মানে হচ্ছে বস্তুবাদী চেতনার পাশাপাশি মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটানো। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবন জোরদার করে স্থানীয় পর্যায়ে বিদ্যমান সম্পদ ও সামর্থ্যের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি গঠনে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বান্দরবানে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও নিবন্ধিত অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক, জেলা পর্যায়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, শিক্ষকসহ সুশীল সমাজের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বান্দরবানে বন্যা: আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ১৫,৬০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: মন্ত্রী
যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে রয়েছে তাদেরকে পিএইচডি ডিগ্রি করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এখন এসব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ভেবে দেখতে পারে।
সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দিনব্যাপী দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ মন্তব্য করেছেন। এই শিক্ষামেলার আয়োজন করেছে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আমি সবগুলো নিয়ে বলছি না। অনেকগুলো নিয়ে অনেক কথা আছে। কিন্তু মানের দিক থেকে অনেক ভালো করছে এরকম ৫, ৬, ৭ কিংবা তার অধিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাদের সক্ষমতা হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাদের পিএইচডি ডিগ্রি করার অনুমতির দেওয়ার বিষয়টি এখন ইউজিসির ভেবে দেখার সঠিক সময়। তা না হলে আমরা গবেষণাকে উৎসাহিত করতে পারবো না। কাজেই এটি করা খুব দরকার।
ইরাব সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে এডুকেশন এক্সপো-২০২৩ এর জন্য ইরাবের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা। তাই আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের গবেষণাসহ সকল খাতে জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট : শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য শুধু অবকাঠামো বা বিল্ডিং বানালেই হবে না, আমাদের একাডেমিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে হবে। আমাদের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান ঠিক করে দিবে আমাদের শিক্ষার মান কেমন হবে। একই সঙ্গে আমাদের বাড়াতে হবে গবেষণার সংস্কৃতি।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাখাতে প্রতিবছরই বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। জিডিপির হিসেবে এ হার কম হলেও সামগ্রিক হিসেবে এটি বাড়ছে। এখন আমাদের গবেষণায়ও বরাদ্দ বেড়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে দেশ গড়ার কাজে শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের কর্মজগতে প্রবেশের জন্য নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি ভাষাজ্ঞান, সফটস্কিল, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতাসহ সবখাতেই আমাদের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। নিয়োগকর্তা এবং প্রার্থীর দক্ষতার সমন্বয় করতে হবে। তাহলে কর্মজগতে আমাদের তরুণরা পিছিয়ে থাকবে না। শুধু চাকরি খুঁজলে হবে না—তরুণদের তাদের দক্ষতাও বাড়াতে হবে। সেজন্য আগামী প্রজন্মকে আমরা প্রাথমিক-মাধ্যমিক থেকেই দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করছি। এর সুফল এখন না পাওয়া গেলেও ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে ২০২৫ সালের মতো সময় লাগবে। এর সুফল তার পরবর্তী ৭ অথবা ৮ বছর পর পাওয়া যাবে এবং সেজন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশের উচ্চশিক্ষায় ইন্ড্রাস্ট্রির সঙ্গে একাডেমি ইয়ারের সমন্বয় করতে।
এ সময় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন তিনি। অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরাও তার সঙ্গে মেলা ঘুরে দেখেন।
প্রসঙ্গত, মেলায় ৬০টির বেশি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা, প্রকাশনা ও উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া মেলা রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি পক্ষ সবসময় কাজ করছে: শিক্ষামন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করতে চাই: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ভাতৃপ্রতিম সৌদি আরবের সঙ্গে ডিজিটাল রূপান্তর ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদের লীপ ভিআইপি লাউঞ্জে সৌদি আরবের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন আমের আল সোয়াহার সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ; বিশেষ করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে আইসিটি খাতে বিনিয়োগ ও যৌথ শিক্ষা সহযোগিতা, স্মার্ট সিটি স্থাপনে বিনিয়োগ এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবোটিক্স, সেমিকন্ডাক্টর ও ন্যানো প্রযুক্তির নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’- বাস্তবায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সার্বিক অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্প তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: এখন প্রতিযোগিতার নয়, পারস্পরিক সহযোগিতার সময়: পলক
সৌদি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জাবেদ পাটোয়ারী, প্রতিমন্ত্রী একান্ত সচিব মুশফিকুর রহমান ও সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সৌদি অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এলম ইনফরমেশন সিকিউরিটি কোম্পানির সিইও ড. আব্দুল রহমান আল-জাদাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে ‘স্মার্ট সিটি’ গড়ার রূপকল্প নিয়ে বৈঠক করেন ।
আলোচনায় স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরে আন্তর্জাতিক পর্যটন এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই লক্ষ্যে আইসিটি নির্ভর স্মার্ট সিটি গঠনে এলম এর সঙ্গে প্রযুক্তি, আর্থিক এবং কৌশলগত চুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন উভয়েই।
ডিজিটাল কোপারেশন অর্গানাইজেশন এর সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শীর্ষ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রীর ১০ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা বঙ্গবন্ধু পৌর অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- লাকসাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইউনুস ভূঁইয়া, লাকসাম পৌরসভার মেয়র মো. আবুল খায়েরসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল চাবিকাঠি ডিজিটাল কানেক্টিভিটি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে সব দিক থেকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ (কানেক্টিভিটি)।
বৃহস্পতিবার দেশের আইটি ও আইটিইএস পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল কানেক্টিভিটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল হাতিয়ার। ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ভিত্তিতে গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ডিজিটাল পণ্য বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা এবং পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গড়ে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে অতি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তার সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, রোবোটিক্স ও বিগ-ডেটা অন্তর্ভুক্ত ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে চায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলে ফাইভ-জি সেবা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব ঘটেছে। তিনি বলেন যে তরুণ প্রজন্ম এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। তার সরকার ২০১৮ সালে মহাকাশের কক্ষপথে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করে, যা সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট থেকে অব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বাস্তবায়নে বহুমুখী কর্মক্ষমতাসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা অর্জন করেছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা সাত হাজার ২০০ জিবিপিএসে উন্নীত করা হবে এবং তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের পর তা হবে ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস হবে।
তিনি বলেন, সৌদি আরব, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া ও ভারতকে ব্যান্ডউইথ ইজারা দিয়ে বাংলাদেশ প্রতি বছর ৪৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করছে। বাংলাদেশকে আর বিদেশি স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রায় ৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৮ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ গিগাবাইট ক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা জনগণ ও সরকারি অফিসগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কাউট প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো ব্যবহার করে সারাদেশে মোট আট হাজার ৬০০টি ডাকঘর ডিজিটালে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ১৮ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি। গ্রামীণ ও শহুরে এলাকার মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ডিজিটাল বৈষম্য দূর এবং দাম কমানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকম খাতে প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪টি ক্যাটাগরিতে ২২ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির মধ্যে সদ্য প্রবর্তিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ভোগ করতে নয়, জনগণকে কিছু দিতে এসেছি: বিএএসএ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কাউট প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্কাউট প্রশিক্ষণ দেয়ার পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ বলেছেন।
বুধবার গাজীপুরের মৌচাকে অবস্থিত জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩২তম এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও ১১তম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে স্কাউটিং প্রশিক্ষণ পায় সেজন্য আপনাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তা হলে সোনার বাংলা বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের দেশে যোগ্য নাগরিক গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ভোগ করতে নয়, জনগণকে কিছু দিতে এসেছি: বিএএসএ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্কাউটস ১৯ থেকে ২৭ জানুয়ারি ৯ দিনের আঞ্চলিক ও জাতীয় স্কাউট জাম্বুরীর আয়োজন করছে।
বাংলাদেশে এখন ২২ লাখ স্কাউট রয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি চান যে শুধু নির্বাচিত দল নয়, বরং প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ লাভ করে।
অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক ও জাতীয় জাম্বুরী চিহ্নিত একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এছাড়া জাম্বুরী সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার মোজাম্মেল হক খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জার্মানির আট হাজার স্কাউট সদস্য, এক হাজার ইউনিট লিডার ও ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস টিমের (আইএসটি) সদস্যসহ প্রায় ১১ হাজার স্কাউট এতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
‘৫৪ শতাংশ গ্রাহককে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত না করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব না’
বাংলাদেশে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন(এমটব)আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়নে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এমটব সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডের জেনারেল(অব.) এস এম ফরহাদ বলেন, বর্তমানে মোবাইল অপারেটরদের সম্মিলিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকম অপারেটররা এ খাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু এখনও দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে। যদিও ১৮ কোটির ওপর সক্রিয় সিম রয়েছে যা মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে না।
আরও পড়ুন: করের বোঝা চাপিয়ে সরকার মোবাইল খাতকে ক্রমেই দুর্বল করে তুলছে: এমটব
তিনি আরও বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সেবায় ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন সহ সবার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা না গেলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না।
টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ টিআইএম নুরুল কবির বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ হলেও সময় খুব বেশি নেই। সরকার এবং রেগুলেটরি কমিশনকে দ্রুত সব পক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করতে হবে। কেবলমাত্র রেগুলেশন আর লাইসেন্স প্রদান করলেই হবে না। চাই সমন্বিত উদ্যোগ।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এন্ড কর্পোরেট অফিসার ব্যারিস্টার শাহেদ আলম বলেন, আমরা সরকারের এবং কমিশনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি পাশাপাশি প্রতিনিয়তই বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। কিন্তু মাঝখানে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণেই গ্রাহকরা মানসম্পন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমাদের কেবল রেগুলেশনের মধ্যে রাখবেন আর প্রতিবন্ধকতা নিরসন না করে সেবা চাইবেন সেটা কিভাবে সম্ভব? উন্নত বিশ্বের ন্যায় আমাদের টেলিকম নেটওয়ার্ক-এর মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আমরা গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই বলেই আজকে নাগরিকদের সামনে আমরা উপস্থিত হয়েছি। আমাদের হাত পা বেঁধে শুধু রেগুলেশন দিয়ে আমাদের হাত পা বেঁধে রেখে কাজকর্ম করতে দিবেন না।
বাংলালিংক লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এন্ড কর্পোরেট অফিসার তাইমুর আলম বলেন, আমরা মানসম্পন্ন সেবা দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ইকো সিস্টেম বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।
ফাইবার অ্যাট হোম এর চিফ রেগুলেটরি এন্ড গভমেন্ট অ্যাফেয়ার্স আব্বাস ফারুক বলেন, অনেক দেশেই ফাইবার এনটিটিএন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সরকার প্রণোদনা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা এই প্রণোদনা পাই না। ২০০৯ সালে ফাইবার গাইডলাইন চালু হলেও এখন পর্যন্ত এর মূল্য নির্ধারণ করা হয় নাই।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রণ কমিশনের উপস্থিত থাকা অত্যন্ত জরুরি ছিল। এই আলোচনায় যে সমস্যা এবং সমাধানের বিষয়গুলো উঠে এসেছে এটি সমাধানের জন্য তাদেরকেই কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সরকারের যে লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের, তাতে আমরা অংশীজন হিসেবে সরকারকে সহায়তা করতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় কমিশনের চেয়ারম্যান সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানোর পরেও তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় নাই।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী আবু সালেহ, আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট রাশেদা হাসানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিক। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক এবং নাগরিকরা।
আরও পড়ুন: আম্পানে টেলিকম নেটওয়ার্কের অনেক ক্ষতি হয়েছে: এমটব