তামাক চাষ
তামাক চাষের নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্হানে তামাক চাষের ফলে বহু মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। স্বাস্থ্যে, পরিবেশ এমনকি মানুষের খাদ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও চাষ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার।’
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহিষের দইকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিতে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘কৃষির চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে খামারিদের বিদ্যুৎ বিল বেশি দেওয়া হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এরইমধ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি প্রদান করলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে কৃষির মতো হ্রাসকৃত মূল্যে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
খামারিরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘খামারিদের কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে সরকারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হলে খামারিরা কৃষির মতো স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রাণিজ আমিষ জনগণের কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের অফিসগুলো ঠিকমতো জনসেবা দিতে পারছে না। দ্রুতই এ সংকট লাঘব করে কাঙ্ক্ষিত সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কালিগঙ্গা-বাদলবাসা নদীর ইজারা প্রদানকে কেন্দ্র করে রিটের ফলে জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে ; এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু সহযোগিতা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সহজেই বলছি মাছ, মাংস, দুধের উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু যেটা বড় কথা, সেটা হচ্ছে এগুলো নিরাপদ কিনা?
আরও পড়ুন: মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্যজীবী ও খামারিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তাৎক্ষণিক লাভের আশায় যেকোনো কিছু দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। দেশীয় মাছ, মুরগি, গবাদি পশু রক্ষায় আপনাদের কাজ করতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। ‘জাল যার জলা তার’ এ নীতির ভিত্তিতে যেন ইজারা দেওয়া হয় সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। ইজারা কোনোভাবেই অমৎস্যজীবীদের দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসনের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
৪০ দিন আগে
তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি বিবেচনা করে তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করা হবে।
রবিবার ধানমণ্ডির ঢাকা আহছানিয়া মিশন মিলনায়তনে আয়োজিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
তামাক চাষের বিকল্প কৃষিপণ্য চাষের জন্য তামাক চাষীদের প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ তামাক চাষ বন্ধে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এছাড়া বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কাজে তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, তামাকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শী ঘোষণা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনী পাসে তার মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
মন্ত্রী বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবসায়ীগণ যাতে অবৈধভাবে বৃক্ষনিধন না করতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। ধূমপানের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনসমূহ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। দেশকে ধূমপানমুক্ত করতে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশের আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য সবাইকে একযোগে ও আরর সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেছা বেগম এবং ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। আলোচনা সভায় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৮০৬ দিন আগে