লিভার প্রতিস্থাপন
বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএসএমএমইউ'র শহীদ ডা. মিল্টন হলে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
একই সঙ্গে লিভার প্রতিস্থাপনে সেবাগ্রহীতা ও লিভার দাতা দু’জনেই সুস্থ আছেন বলে রোগীরা জানান।
এছাড়া তারা দু’জনে দেশবাসীর কাছে আগামী দিনের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, হেপাটোব্লিয়িারি, প্যানক্রিয়েটিক এন্ড লিভার সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহছেন চৌধুরীসহ এই সার্জারি কাজে সংযুক্ত বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর আনুমানিক ৮০ লাখ রোগী লিভার সংক্রান্ত ব্যাধিতে এ আক্রান্ত হয় (২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী)।
এর মধ্যে অন্যতম ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’ যা হলো ক্রনিক প্রদাহ জনিত লিভারের শেষ অবস্থা যেখানে লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। সাধারণত হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাস সংক্রমণ অথবা লিভারে অতিরিক্ত চর্বিজনিত প্রদাহ থেকে লিভার টিস্যুর পরিবর্তন শুরু হয়, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লিভার টিস্যুর পরিবর্তন হয়ে সিরোটিক লিভার টিস্যু তৈরি হয়।
সিরোটিক লিভার টিস্যু স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে অক্ষম। যখন রোগীর লিভারের একটি বড় অংশ সিরোটিক হয়ে যায় তখন আমরা বলি রোগীটি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। এই লিভার সিরোসিসের শেষ পর্যায় হচ্ছে ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’।
‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’ এর একমাত্র চিকিৎসা লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন। এছাড়াও লিভারের আরও কিছু রোগ রয়েছে; যেমন লিভারের কোন একটি অংশে (লোবে) ক্যান্সার (হেপাটোসেলুলার ক্যান্সার), বাচ্চাদের ক্ষেত্রে লিভারের জন্মগত ত্রুটি (বিলিয়ারি এট্রেশিয়া, মেটাবোলিক ডিজিজ ইত্যাদি) এর চিকিৎসাও লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নানাবিধ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত: বিএসএমএমইউ’র জরিপ
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ এ ভাইরাসের জন্য টিকা নিয়েছে। যা অত্যন্ত অপ্রতুল।
ফলশ্রুতিতে হেপাটাইটিস ভাইরাস সংক্রান্ত রোগব্যাধী বেড়েই চলেছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশে আনুমানিক চার থেকে পাঁচ হাজার রোগী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন চিকিৎসা প্রয়োজন। দেশে পূর্বে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর উপরোক্ত রোগীদের একটি বিশাল অংশ দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য চলে যাচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী দেশসহ বহিঃবিশ্বে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। ফলে দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এ চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ প্রেক্ষিত বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম’ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে আমার সভাপতিত্বে এবং হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মোহছেন চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করি।
লিভার ট্রান্সপ্লান্টের মতো একটি জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়া সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের সহযোগিতা নেয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বর্ষের সূচনালগ্নে ১ জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
উপাচার্য বলেন, দেশের স্বল্প আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে এই চিকিৎসা সুবিধা পেতে পারে এজন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনাক্রমে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন কার্যক্রমের উদ্যোগ ইতোমধ্যে নিয়েছে। লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশনটি ছিল একটি লিভিং ডোনার লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন; এর অর্থ হলো রোগীর আত্মীয় সম্পর্কিত কোন ডোনার থেকে লিভারের একটি অংশ কেটে রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয় (রোগীর সিরোটিক লিভারের পুরোটিই কেটে ফেলা হয়)।
১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনে রোগী ছিলেন বগুড়া জেলার মো. মন্তেজার রহমান (৫৩); তিনি নন-বি, নন-সি জনিত ‘এন্ড স্টেজ লিভার ডিজিজে’ আক্রান্ত ছিলেন।
মো. মন্তেজার রহমানকে লিভার দান করেন তার বোন মোসা. শামীমা আক্তার (৪৩)। মোসা. শামীমা আক্তারের দেহ থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে ফেলা হয়। মো. মন্তেজার রহমান এর সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করে ফেলা হয় এবং মোসা. শামীমা আক্তারের দেহ থেকে কেটে নেয়া সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ জোড়া দেয়া হয়।
এখানে উল্লেখ্য, লিভার দাতা মোসা. শামীমা আক্তারের লিভারটি ধীরে ধীরে রি-জেনারেট করবে। এটি লিভার নামক অঙ্গটির একটি বিশেষত্ব।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বছর ১লা জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের তত্বাবধানে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেটশনটি সম্পাদিত হয়।
উক্ত অপারেশনে লিভার গ্রহীতার পক্ষে ছিলেন অধ্যাপক মো. মোহছেন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ মো. আবু আইয়ুব আনসারী, সহকারী অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আহমেদ সোবহান।
লিভার দাতার পক্ষে ছিলেন-অধ্যাপক মো. জুলফিকার রহমান খান, অধ্যাপক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ডা. মো. নূর ই এলাহী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইফ উদ্দীন, সহযোগী অধ্যাপক এবং ডা. আশীষ সাহা, মেডিকেল অফিসার।
লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশনটি সার্থক করার লক্ষ্যে বিভাগের রেসিডেন্টদের কর্মতৎপরতা ছিলো প্রশংসনীয়। ১২ ঘন্টাব্যাপী লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অপারেশনটিতে সহযোগিতা করেন এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারত এর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও এ্যানেস্থেসিয়া টিম।
‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামে’ সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ভারতকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে ভিশন ২০৪১ অর্থাৎ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করেছে।
প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় গড় আয়ু বৃদ্ধি, নন-কমিউনিকেবল এবং কমিউনিকেবল ডিজিজ হ্রাসের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের মতো একটি সুপার স্পেশালাইজড কেয়ার চালু করার ফলে লিভার রোগ, লিভারের শল্য চিকিৎসা, লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন বিষয়ে শিক্ষা/প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একদিকে যেমন মানবসম্পদে উন্নয়ন ঘটবে তেমনি উক্ত বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে উন্নততর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে।
এছাড়া সুস্থ সবল জাতি গঠনের সহায়ক হবে। এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা প্রয়োজনে বহিঃবিশ্বের ওপর নির্ভরতা কমাতে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতীজ্ঞ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নততর চিকিৎসা সুবিধাবলি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সুলভ মূল্যে দেশের সকল জনগোষ্ঠী এ চিকিৎসা সেবার আওতায় উপকৃত হবে।
“মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের” আওতায় জানুয়ারি ১, ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনটি আমাদের এই পথ চলার একটি দীপ্তমান স্বারক।
সুন্দর আগামী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলন সমাপ্তি ঘোষণা করছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। করোনাভাইরাস পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী ও জটিল রোগের বিষয়ে আগের চেয়ে আরও বেশী যত্নবান হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শুধু রোগীর চিকিৎসা নয় বরং রোগ প্রতিরোধের দিকে বেশী মনোনিবেশ করছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজকে আরও বেগবান করার জন্য এ খাতে বরাদ্দ পাঁচগুণ বৃদ্ধি করেছে।
গবেষণা খাতে বরাদ্দ চার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় উন্নীত করেছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে একসঙ্গে ২৪ চিকিৎসক গবেষককে পিএইচডি কোর্সে ইনরোলমেন্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকে আরও বেগবান ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করার জন্য গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ভাইস চ্যান্সেলার এ্যাওয়ার্ড পুরস্কার প্রবর্তন করেছি। প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে আমরা অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা বিষয় নিয়ে সেন্ট্রাল সেমিনার আয়োজন করছি।
এতে করে দেশের আপামর জনসাধারণসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ চিকিৎসা গ্রহণে সচেতন হচ্ছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসা সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করছেন।
আপনাদের অবগত জানানোর জন্য আমরা জানাচ্ছি, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জাতিসংঘের একটি সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে।
সেই অনুষ্ঠানের আলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ‘বায়ো ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ‘এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিসট্যান্স’ বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালিয়েটিভ মিডিসিন বিভাগে হোম কেয়ার সার্ভিস, করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সি, ব্রেস্ট ক্যান্সারের জিনেটিক এনালাইসিস, হেপাটোলোজি বিভাগে লিভার সিরোসিস বিভাগের জন্য স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন, এন্ড্রোক্রাইন বিভাগে আধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষা কার্যক্রম, উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা গর্ভবতী মায়েদের স্ক্রেনিং, ট্রান্সফিউশন বিভাগের স্টেম সেল কালেকশন, বিলুরুবিন ডায়ালাইলিস কার্যক্রম, শিশুর জন্মগত ত্রুটি নির্ণয়, জেনারেল সার্জারি বিভাগের অধীনে ব্রেস্ট কনাসার্ভিং সার্জারি, ব্রেস্ট রিকনসাট্রিক সার্জারি, ব্রারিয়ারটিক সার্জারি যার বিদেশে ১০০০ ডলার খরচ, বছরে এডভান্সড ল্যাপারোসকপি কোলারেক্টরাল সার্জারি, ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগে আরএফএ মেশিন দিয়ে কাটা ছেড়া ছাড়া বাকাশিরা সোজাকরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সারের সর্বাধুনিক সকল ধরণের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি হৃদরোগ, স্নায়ু রোগের চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বিএসএমএমইউতে এনটি-প্রো বিএনপি পরীক্ষা চালু
১ বছর আগে