আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কথা বিবেচনা করে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বিষয়ক একটি আইন প্রণয়ন করার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, এ আইন প্রণয়ন করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে অবশ্যই আলাপ-আলোচনা করা হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে 'সেন্টার ফর এনআরবি'র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে চায়। সেজন্যই তার সরকার আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ—আলোচনার সুযোগ রেখেছে।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
প্রতিনিধি দলের প্রধান 'সেন্টার ফর এনআরবি'র চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নন—রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরাও (এনআরবি) যাতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারেন, সে বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।
আনিসুল হক বলেন, সময়ের চাহিদার কারণে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আদালত কতৃর্ক তথ্য—প্রযুক্তি ব্যবহার আইন প্রণয়ন করেছে। ভার্চুয়াল আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। বৃটিশ আমলের সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করা হয়েছে। এখন দেশি—বিদেশি সব শ্রেণি—পেশার মানুষ সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের সুফল পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
৮ মাস আগে
ডিএসএ'র অধীনে দায়ের করা মামলা চলবে: সংসদে আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) দায়ের করা মামলা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার সংসদে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বহুল বিতর্কিত ডিএসএ বাতিল করে সাইবার নিরাপত্তা আইন বুধবার সংসদে পাস হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনটি গেজেট প্রজ্ঞাপন ও রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর কার্যকর হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, ডিএসএ’র অধীনে মামলা চলবে।
মোকাব্বির খান জানতে চান, বাতিল হওয়া ডিএসএ'র অপব্যবহারের কারণে যারা নানা ধরনের হয়রানি ও কারাদণ্ডের সম্মুখীন হয়েছেন অথবা যারা এখনো কারাগারে আছেন, তারা কি ক্ষতিপূরণ পাবেন?
আরও পড়ুন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
একই সঙ্গে গণফোরামের এই সংসদ সদস্য জানতে চান, কীভাবে এসব সমস্যার সমাধান হবে।
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলা বাতিলের সুযোগ নেই এবং এ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আইনমন্ত্রী বলেন, পুরাতন আইনে সংঘটিত অপরাধ পুরাতন আইনে শাস্তি দেওয়া হবে এবং আদালত অপরাধীকে সে অনুযায়ী শাস্তি দেবেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে- অপরাধের দায়যুক্ত কার্য সংঘটনকালে বলবৎ ছিল, এইরূপ আইন ভঙ্গ করিবার অপরাধ ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে না এবং অপরাধ সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইন বলে যে দণ্ড দেওয়া যাইতে পারিত, তাহাকে তাহার অধিক বা তাহা হইতে ভিন্ন দণ্ড দেওয়া যাইবে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত কার্যধারা বা কোনো কার্যক্রম চালু করা হয় বা দায়ের করা কোনো মামলা বা আপিল যেকোনো পর্যায়ে বিচারাধীন থাকে, তাহলে উল্লিখিত কার্যক্রম বা আপিলটি সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্থাপিত বা দায়ের করা হয়েছে এমনভাবে চলতে থাকবে।
আরও পড়ুন: মন্তব্য করার আগে সাইবার নিরাপত্তা আইন পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইন ‘নতুন বোতলে পুরানো মদ’ নয়: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নতুন বোতলে পুরানো মদ বলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। যারা এটি বলছেন, সমালোচনার জন্যই বলছেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নতুন বোতলে পুরানো মদ বলছে, এটা ঠিক নয়। যেমন- আগে ২৯ ধারায় মানহানিতে জেল ছিল, এটা এখন নেই। ২১ ধারায় জেল ছিল ১০ বছর, এখন এটা কমে ৭ বছর হয়েছে। তাহলে এটা কি নতুন নয়?’
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ রহিতকরণ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সব সময় ২৫ লাখ টাকা হবে। অপরাধের ধরনের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞ আদালত জরিমানা করবেন, আইনে এটা বলা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে সব ধারায় জামিনযোগ্য করেছি। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অধিকাংশ ছিল জামিন অযোগ্য।’
আনিসুল হক বলেন, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব অপপ্রয়োগ হয়েছে সেগুলো থাকবে না। ফলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সংবাদ মাধ্যমের আর কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।
আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনে হ্যাকিং, অর্থ ও ডেটা চুরি, প্রপাগান্ডা, সাইবার বুলিংয়ের মতো ঘটনাকে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ডেটা সুরক্ষা আইনে ডেটা ব্রিজ হলে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা দিতে হলে ডেটা নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সর্বোচ্চ শাস্তি জরিমানা: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে বিনিয়োগের আগে জানতে চায় ডেটা নিরাপত্তা আইন আছে কি-না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন দেশ বহু আগেই আলাদা ডেটা সুরক্ষা আইন করেছে।
পলক বলেন, ‘মতামত চাওয়ার পর অনেকেই মতামত দিচ্ছেন, তা আমলে নিয়েই পর্যালোচনা করছি। যে কেউ এই আইনের বিষয়ে মতামত দিতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন।
আরও পড়ুন: আগের আইনের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, সহিংসতার প্রতিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যে কোন পরিস্থিতিতেই বিচার ব্যবস্থাসহ সকল সেবা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখা অপরিহার্য। এছাড়া নারীরা, বিশেষত যারা মহামারির সময়ে পারিবারিক ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের সহায়তা প্রদানের উপায় বের করা খুবই জরুরি।
মঙ্গলবার রাজধানীর রেডিসান হোটেলে বাংলাদেশে জার্মান উন্নয়ন সংস্থার ৫০ বছর এবং ‘ইন সার্চ অব জাস্টিস: আনটোল্ড টেলস অব ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সারভাইভারস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ২০০০; পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ ও পারিবারিক সহিংসতা বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার ও একটি ব্যাপক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
আনিসুল হক বলেন, ২০২২ একটি বিশেষ বছর কারণ আমরা বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি একটি। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের জন্য জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে জার্মানি একটি প্রধান অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশটি আমাদের অগ্রাধিকার খাত যেমন প্রশাসন, জলবায়ু, জ্বালানি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বলেন, যারা এই হৃদয়গ্রাহী, চিত্তাকর্ষক ও কষ্টকর গল্পগুলো আমাদের বলেছে, এই বইটি শুধুমাত্র তাদের জন্য নয়।
আরও পড়ুন: কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি জানান, যারা কম সুবিধাপ্রাপ্ত, নির্যাতিত ও এখনও দুঃসময়ে দিনযাপন করছে, বইটি তাদের সকলের অবস্থার প্রতিফলন।
অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটির কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের বইটি থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জি আই জেড বাংলাদেশের রুল অব ল প্রোগ্রামের হেড অব প্রোগ্রাম, প্রমিতাসেন গুপ্ত এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইমরান মতিন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার প্রমুখ।
২ বছর আগে
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার বিষয়ে তার ভাইয়ের আবেদনে আইনি মতামত দেয়া হয়েছে। এখন সেটি যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।’
সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আগের আবেদনের ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার ভাই আবারও যে আবেদন করেছেন সেই আবেদনের ব্যাপারে আমাদের আইনি মতামত দিয়ে এটি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে এর আগেও যতবারই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এটা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফাইলটা গেছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফাইলটা যাবে তাই আমার যে মতামত সেটা কিন্তু এখন আপনাদের বলতে পারব না। এটা গোপন রাখতে আমি বাধ্য। আমি মতামত দিয়ে দিয়েছি, এখন এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল যাওয়ার পর আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।’
মতামতের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন,‘আমি কিন্তু বারবারই একটি কথা বলেছি, ৪০১ ধারায় যে ছয়টি উপধারা আছে, সেখানে পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশনে আবার বিবেচনা করার কিন্তু কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে নিষেধাজ্ঞা দুঃখজনক: আইনমন্ত্রী
৪০১ ধারা নিয়ে আপনার আগের মতামতের ওপর স্ট্যান্ড করছেন কিনা এই প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্ট্যান্ড আর সিটিংয়ের কোন ব্যাপার না এটা, আমি আইনের যে ব্যাখ্যা দিয়েছি, সেই ব্যাখ্যার সঙ্গে কোনখানেই আমি দেখিনি তার জাজমেন্টে দ্বিমত আছে। আমার ব্যাখ্যাটাই আমি সঠিক বলে মনে করি।’
২ বছর আগে
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’
বুধবার সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন গুজবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করায় তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘এগুলো একেবারেই গুজব এবং ভিত্তিহীন। আপনি যদি সরাসরি আমাকে ফোন করেন তাহলে আমি আপনাকে ম্যাডামের (খালেদা) অবস্থা সম্পর্কে জানাব।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে দলের প্রধানের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করার পরও কিছু গুজব রয়েছে। আমি মনে করি, একটি মহল কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো ছড়াচ্ছে।’
মঙ্গলবার রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে খালেদার অবস্থা গুরুতরভাবে অবনতি হয়েছে, যা অনেক বিএনপি নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।
ফখরুল অবশ্য বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখনও ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রয়েছেন। চিকিৎসকরা তার অবস্থা যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা করছেন। তারা তাদের সেরাটা করছেন।’
খালেদার অবস্থার খারাপ খবরে দেশব্যাপী 'রেড অ্যালার্ট' জারি নিয়ে আরেকটি গুজব সম্পর্কে জানতে চাইলে, বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি এর কোন ভিত্তি খুঁজে পাননি। কারণ সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ‘মিথ্যা’ মামলায় তাকে (খালেদা) কারাগারে পাঠানোর পর কোনো চিকিৎসা না দিয়ে সরকার তাদের দলীয় প্রধানকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
দেশ ও জনগণের প্রতি খালেদার অনেক অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সরকার এমন একজন নেতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। বিদেশে তার (খালেদা) চিকিৎসার খুব প্রয়োজন…আমাদের নেত্রীকে বিদেশে যেতে দিতে সরকারের কোনো আইনি বাধা নেই।’
ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে যে কোনো সময় তাকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। দেশের মানুষ এখন বিশ্বাস করে, সরকার চায় না খালেদা জিয়া বেঁচে থাকুক। এ কারণে তারা দেশের বাইরে তার চিকিৎসার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
উল্লেখ্য হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে সরকারের অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়ায় সরকারের কোনো আইনি বাধা নেই বলে তারা যুক্তি দেখিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন,তারা স্মারকলিপিটি বিবেচনা করে দেখবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
২ বছর আগে
বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি পেতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন সরকার বিবেচনা করবে যদি তিনি কারাগারে গিয়ে নতুন করে আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া আবেদন নিয়ে নতুন করে আর কোনো আদেশ দেয়া যাবে না। তিনি কারাগারে গিয়ে আবার আবেদন করলে আমরা বিবেচনা করব। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা মতে, এই পরিস্থিতিতে কোনো নতুন আদেশ বিবেচনার সুযোগ নেই।’
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের আলোচনার সময় বিএনপির সাংসদ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আলোচনার সময় খালেদার জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেন রুমিন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা মতে খালেদা জিয়াকে এ সুযোগ দেয়ার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: মির্জা ফখরুল
২ বছর আগে
সিনহার কারাদণ্ড প্রমাণ করে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়: আইনমন্ত্রী
ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে পৃথক দুটি ধারায় ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি বলবো, বিচার বিভাগের জন্য এটা একটা সুখকর দিন নয়। কিন্তু এটাও সঠিক, অন্যায় করলে তার বিচার হবে। এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হল, কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।'
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যে কোন সাংবিধানিক পদ বা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থাকুক না কেনো কর্মকাণ্ডের হিসাব তাকে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় এটা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হল।’
আরও পড়ুন: আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদণ্ডের সংবাদ সঠিক নয়: আইনমন্ত্রী
এ সময় ‘আই এম নট ভেরি হ্যাপি’-মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, ‘ট্রান্সফারেন্সি এবং একাউন্টেবলিটি সবসময় মেইনটেইন করা উচিৎ। আর যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সরকার বা রাষ্ট্রের জন্য পালন করে, তাকে তার কর্মকাণ্ডে আরও সতর্ক থাকা উচিৎ। এটা আমার মনে হয় আজকের রায় থেকে শেখার বিষয়।’
এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তার কারণ হচ্ছে, বিচার বিভাগের সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন। আমি একজন আইনজীবীও। আমিও বিচার বিভাগের সাথে সারাজীবনই সম্পৃক্ত। সেজন্য আমার জন্য এটা সুখকর হতে পারে না।'
এ রায়ের মাধ্যমে দেশের আইন ব্যবস্থায় কী মেসেজ আসলো- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এ রায়ের প্রেক্ষিতেই না, আমরা ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কী দেখেছি? এই দেশে জাতির পিতাকে তার সপরিবারে হত্যা করলেও একটা মামলা হয় না। এই সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।’
পর্যায়ক্রমে অনেক বিচার হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেসবের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, দেশে আইনের শাসন আছে এবং অন্যায় করলে আদালত ও আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে, অন্যায়ের বিচার হবে এবং অন্যায় প্রতিরোধ হবে।'
অঅরও পড়ুন: বাংলাদেশ কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেবে না: আইনমন্ত্রী
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম অন্যায় কোন প্রধান বিচারপতি করেননি। সেজন্য এরকম বিচার করার প্রয়োজন হয়নি। এরকম অন্যায় হলে নিশ্চয়ই বিচার হতো।’
২ বছর আগে
খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবারের করা আবেদনের বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইউএনবিকে বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি ফাইল পাঠিয়েছে তাঁর আইনি মতামত চেয়ে। আমরা এই বিষয়ে আমাদের মতামত দিয়েছি এবং ফাইলটি আজ সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছি।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে।’
তবে কী মতামত দিয়েছেন, আইনমন্ত্রী তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার পরিবার তাঁর শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদাকে অপরাধ স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে বিদেশে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
এব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যেহেতু খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হতে চলছে, তাই তাঁর পরিবার এর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। বিএনপি প্রধানের পরিবার দাবি করেছে যে কোভিড-পরবর্তী জটিলতার কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং তাঁরা আবার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকারের অনুমতি চেয়েছে।’
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। সরকার গত বছরের ২৭ আগস্ট তাঁর মুক্তি আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছিল এবং গত ১৫ মার্চ এটি আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
১০ এপ্রিল পরীক্ষায় খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয় এবং ২৭ এপ্রিল তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি সেখানে ১৯ জুন পর্যন্ত চিকিৎসা নেন। ৫ মে তাঁর পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল, কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন দণ্ডিত ব্যক্তি এ ধরনের সুযোগ পেতে পারে না।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া: বিদেশ নেবার অনুমতি দেয়নি সরকার
৩ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে