দ্রুতগতির ইন্টারনেট
দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিচালনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিসিসির চুক্তি
দেশের দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিচালনা এবং রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড এর সঙ্গে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি চুক্তি স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
এদিকে দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এক হাজার ২৯৩টি ইউনিয়ন এবং ফাইবার এট হোম লিমিটেড এক হাজার ৩০৭টি ইউনিয়ন উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: উন্নত মোবাইল নেটওয়ার্ক-ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আগামী ২০ বছর এই ইউনিয়নগুলোতে ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, হালনাগাদ, প্রতিস্থাপন এবং পরিচালনা করবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর এ থেকে যা আয় হবে সেখান থেকে রাজস্ব পাবে সরকার।
সোমবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের বিসিসি।
চুক্তিতে বিসিসির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, এসসিএলের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী আরিফ আল ইসলাম এবং ফাইবার অ্যাট হোমের পক্ষে এমডি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রফিকুর রহমান স্বাক্ষর করেন।
সোমবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তি রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি পিলার নির্ধারণের পর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে নেটওয়ার্ক স্থাপনে বিটিসিএল সফল না হওয়ায় ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৭ম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স শুরু
তার পরামর্শেই একই খরচে এক হাজার ইউনিয়নের পরিবর্তে দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এটাকে টেকসই করতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের ইন্টারনেট সেবা সুনিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পলক আরও বলেন, ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পটি স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলারকেই মজবুত করবে। নদীর তীর ও সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে সভ্যতা গড়ে উঠেছে।
এরপর রেল ও বিদ্যুতকে নির্ভর করে গড়ে ওঠে শিল্প। কিন্তু কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ফলে আমরা এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছি।
সামনে শতভাগ লেনদেন হবে ক্যাশলেস হবে বলে তিনি জানান।
ইন্টারনেট ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যতীত জীবনযাপন অসম্ভব। টেকসই উন্নয়নে ইনফো সরকার সবক্ষেত্রেই শতভাগ সফল হয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার টানা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা-চিকিৎসা-ব্যবসা-বিনোদন সেবা চলছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
১ বছর আগে
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
২০১৮ সাল থেকে বিশ্বের দ্রুততম ও ধীরগতির ইন্টারনেট সম্পন্ন দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়। ইন্টারনেটের গতি তুলনাকারী সাইট ‘ক্যাবল’ ২২০টি দেশ ও অঞ্চলজুড়ে ১ দশমিক ১ বিলিয়নেরও বেশি স্পিড টেস্টের ভিত্তিতে বিশ্বের দ্রুততম ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ দেশগুলোর তালিকা তৈরি করেছে।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী গড় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতি ৩২ দশমিক ১৩ এমবিপিএস (মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড)।
আইসল্যান্ডে বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট রয়েছে। তারপর লিচেনস্টাইন, অ্যান্ডোরা, তাইওয়ান ও লুক্সেমবার্গ রয়েছে। এ তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অষ্টম এবং যুক্তরাজ্য ২৭তম স্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে, তুর্কমেনিস্তানে বিশ্বের সবচেয়ে ধীর গতির ইন্টারনেট রয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় আউটডোর ট্রাভেল ব্লগ অ্যাটলাস এন্ড বুট অনুসারে-
দ্রুততম ইন্টারনেট গতিসম্পন্ন ১০টি দেশ
২১৬.৫৬এমবিপিএস নিয়ে আইসল্যান্ডে বিশ্বের দ্রুততম ব্রডব্যান্ড রয়েছে। একটি ৫জিবি মুভি ডাউনলোড করতে দেশটিতে মাত্র তিন মিনিটের বেশি সময় লাগবে।
(১) আইসল্যান্ড (২) লিচেনস্টাইন (৩) এন্ডোরা (৪) তাইওয়ান (৫) লুক্সেমবার্গ (৬) জাপান (৭) ফ্রান্স (৮) আমেরিকা (৯) সিঙ্গাপুর ও (১০) স্পেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
১ বছর আগে