সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এসে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে এমন ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে দেখা গেছে, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় রাস্তায় হাঁটিয়ে সিদ্দিককে রমনা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। রমনা থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ বিকালে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা সিদ্দিককে আমাদের হাতে তুলে দিয়ে যায়। তার জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল। তিনি এখন পর্যন্ত আমাদের হেফাজতে আছেন।’
জানা গেছে, ঢাকার কাকরাইল এলাকায় সিদ্দিককে মারধর করে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে থানার ভেতরে নিয়ে গেলে পুলিশ বাইরে আসে। এরপর পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন একদল যুবক। নেওয়ার সময়ও কেউ তাঁর গায়ে হাত তুলছিলেন। আর কান্নাকাটি করছিলেন অভিনেতা সিদ্দিক। এই অভিনয়শিল্পীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের দোসর বলে তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও পুলিশে সোপর্দ, প্রতিবাদে বিভাগের গেটে তালা
ভিডিওতে একজন ধারাবিবরণীতে বলছিলেন, ‘আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে পুলিশে হস্তান্তর করছি।’
সিদ্দিক অভিনয়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিকবার ঢাকার গুলশান ও টাঙ্গাইলের মধুপুর আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
২২০ দিন আগে
ববিতে ছাত্রলীগের নেত্রীকে পুলিশে দিল ছাত্রদল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক টিকলি শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি খুলনা মহানগর শাখা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দাবি, টিকলি শরিফ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হয়ে ক্যাম্পাসে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ছাত্রদলের কয়েকজন সদস্য তাকে আটকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী—মামুন ও তরিকুলকেও আটক করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত টিকলি বলেন, ‘আমার কালকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। আমি লাইব্রেরিতে পড়ছিলাম। সন্ধ্যায় বাইরে বের হলে আমার জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা হয়, আমরা চা খেতে গেলে সেখান থেকে আমাদের আটক করা হয়।’
নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে যে কেউ ভালোবাসা থেকে সংগঠনের কাজ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: জাবিতে ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পরিচয়ধারী এক ভুয়া শিক্ষার্থী আটক
ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা মহানগর ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী ক্যাম্পাসে এসে গোপন কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে খবর পাই। আমার জুনিয়ররা তাকে দেখতে পেয়ে জানালে তাকে আটক করে প্রক্টর ম্যামের মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি আমরা।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের হস্তান্তর করি। পুলিশ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।’
২৩৪ দিন আগে
সাতক্ষীরায় সাংবাদিককে তুলে নেয়ার ৭ ঘণ্টা পর থানায় সোপর্দ
সাতক্ষীরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার সাত ঘণ্টা পর তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে দেবহাটা থানায় সোপর্দ করা হয়।
দেবহাটা থানা-পুলিশ সূত্র জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় দেবহাটার খলিশাখালী সাতমরা এলাকা থেকে তাকেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রঘুনাথের বিরুদ্ধে নাশকতার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার রঘুনাথের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। তিনি সাতক্ষীরা শহরের লস্কারপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি দীপ্ত টেলিভিশন ও বাংলা ’৭১ নামের একটি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
গ্রেপ্তার অন্য দুইজন হলেন- উপজেলার ঢেবুখালী গ্রামের রেজাউল করিম ও চালতেতলা এলাকার লুৎফর রহমান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে পিবিআইকে মামলা তদন্তের নির্দেশ
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, রঘুনাথ খাঁসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সোমবার নাশকতার অভিযোগে মামলা করেছেন দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক লাল চাঁদ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্য দু’জন হলেন উপজেলার ঢেবুখালী গ্রামের রেজাউল করিম ও চালতেতলা এলাকার লুৎফর রহমান।
এছাড়া একটি চাঁদাবাজির অভিযোগে রঘুনাথের বিরদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁর অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সাংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী এড. সুলতানা কামাল। তিনি এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতির নতুন সভাপতি সদরুল হাসান, সম্পাদক শফিউল
সোমবার দুপুরে সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন লোক ধরে নিয়ে যায়। সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে তাকে একটি মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এর পর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ১১ টার দিকে পুলিশ সাংবাদিকদেরকে জানায় রঘুনাথ খাঁসহ তিন জনকে দেবহাটা থানায় একটি নাশকতা মালায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রঘুনাথ খাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া রাণী খাঁ জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কয়েক জন লোক তাকে সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। কিন্তু রাত ১১ টা পর্যন্ত কোথাও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশও তার আটকের কথা স্বীকার করেনি। রাত ১১ টার পরে জানতে পারি দেবহাটা থানা পুলিশর হেফাজাতে তার স্বামী রয়েছে। একটি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত শনিবার গভীর রাতে একদল লোক তাদের সাতক্ষীরা শহরের লস্করপাড়াস্থ বাসায় এসে প্রথমে ডাকাডাকি করে। আমরা ভয়ে কোনো সাড়াশব্দ না দিলে পরে তারা দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে চলে যায়।
আরও পড়ুন: মিরপুরের বাসা থেকে সাংবাদিক বিপ্লবের লাশ উদ্ধার
১০৪৭ দিন আগে