গরম পানি
ফতুল্লায় গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ফেব্রিকস কারখানার গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ হওয়া শ্রমিক জামাল খানের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ড্রেনে পড়ার ছয় দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
মৃত জামাল খান ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া এলাকার মৃত ছোমেদ খানের ছেলে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাব উদ্দিন জানান, ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার সময় ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায় অবস্থিত ফতুল্লা ফেব্রিকস কারখানার ভেতরে মেশিন পরিষ্কারের সময় গরম পানির ড্রেনে পড়ে যান জামাল।
এ সময় তাকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের অধিকাংশ স্থান দগ্ধ হয়েছে। ছয় দিন তিনি চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের আবেদন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, ‘স্ত্রী’ পলাতক
কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
১ বছর আগে
বরিশালে সৎ মায়ের ছোড়া গরম পানিতে কিশোরের মৃত্যু!
বরিশালের হিজলা উপজেলায় সৎমায়ের ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পাঁচ দিন পর সোমবার (২৩ জানুয়ারি) তার মৃত্যু হয়।
নিহত ছাইদুল ইসলাম (১৪) উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাউশিয়া গ্রামের নুরু মীরার ছেলে। সে মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী ছিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে নারিকেল গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
ছাইদুলের ভাই ছিদ্দিক বলেন, ছাইদুল প্রতিবন্ধী। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সৎ মা ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নাঘর থেকে গরম পানি ছুঁড়ে মারেন। এতে তার শরীর ঝলসে যায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর্যন্ত সৎমা তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেননি। পাঁচ দিন পর আমি নদী থেকে মাছ ধরে বাড়িতে এসে ছোট ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে উপজেলা স্বাস্থ্যে কমপ্লেক্সে নিই। পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশি ইউনুস সরদার বলেন, জন্ম থেকেই সাইদুল শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকে বিছানায় শুয়ে থাকতো। এক বছর আগে তার মা মারা গেছে। ছয় মাস আগে তার বাবা আবারও বিয়ে করেছে। তার বাবা ও ভাই মাছ শিকারে নদীতে থাকে।
ইউনুস সরদার আরও বলেন, সোমবার বিকালে সাইদুল বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যান্য প্রতিবেশিরা দেখতে যায়। সেখানে গিয়ে তারা শুনেছে, সাইদুল খেতে চেয়েছিলো। তখন সৎ মা ফাহিমা গরম পানি ছুঁড়ে মেরেছে। এতে শরীর ঝলসে গিয়েছে। কয়েকশ’ মানুষ বাড়িতে উপস্থিত হলে সৎ মা পালিয়ে গেছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জন্ম থেকে বিছানায় পড়ে ছিলো ছেলেটি। চামড়া উঠে গেছে। আপাতত অপমৃত্যুর মামলা করে ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙায় মোটরসাইলেক দুর্ঘটনায় কিশোরের মৃত্যু
১ বছর আগে