গণতন্ত্রে
গণতন্ত্রের স্বার্থে রবিবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন: নারায়ণগঞ্জের জনসভায় শেখ হাসিনা
বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র আছে প্রমাণ করতে রবিবারের নির্বাচনে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন।’
৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
এই নির্বাচন ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তি বজায় রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, 'এই নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।’
সহিংসতার জন্য বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে কোনো মানবিকতা নেই।
তিনি বলেন, 'তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এটা তাদের ইচ্ছা, কিন্তু এদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা কখনই মেনে নেবে না।’
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) যাতে জনগণের সম্পদ নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী তার দলের মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২) ও আবদুল্লাহ আল কায়সারের (নারায়ণগঞ্জ-৩) জন্য ভোট চেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
বিকাল ৩টা ১৩ মিনিটে নৌকার আকৃতির বিশাল মঞ্চে উঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানসহ আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল, স্লোগান ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে। সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে মাঠ।
শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে সজ্জিত হওয়ায় পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
১০ মাস আগে
হিরো আলমের ওপর হামলা গণতন্ত্রের নামে আ. লীগের তামাশা: ফখরুল
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলাকে গণতন্ত্রের নামে তামাশা আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘হামলার ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।’
সোমবার খুলনা ডাকবাংলা চত্বরে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে তা ভাবাই যায় না। তাই অরাজনৈতিক হিরো আলমকেও ভয় পায়।
ফখরুল বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও ভোটের সময় আলম একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ‘তখন আওয়ামী লীগের কুখ্যাত ক্যাডাররা তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্দয়ভাবে মারধর করে ভোটকেন্দ্রের বাইরের রাস্তায় ফেলে দেয়।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, হিরো আলমের মতো একজন অরাজনৈতিক প্রার্থীকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মারধরের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে তারা কী মজার দৃশ্য তৈরি করেছে! এই সরকার গনতন্ত্রের নামে ও নির্বাচনের নামে তামাশা করছে। তারা (আ.লীগ নেতা) আবার বলবে যে গণতন্ত্র তাদের হাতে সবচেয়ে নিরাপদ এবং তারা অতীতে ভালো নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল।’
ফখরুল বলেন, মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন অধ্যাপক, ড. (পিএইচডি) এবং একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের প্রধান। সেখানে আওয়ামী লীগের হাইভোল্টেজ প্রার্থী ছিলেন তিনি, যদিও সেখানে কোনো শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রার্থী ছিল না।’
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন এবং বাংলাদেশের মানুষ তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটু ভিন্নভাবে চেনেন।
১ বছর আগে
বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র চর্চার পথে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে আরও গভীরে প্রোথিত করার ক্ষেত্রে বিএনপি হচ্ছে একটি প্রতিবন্ধকতা।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা গণতন্ত্রকে হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত এবং সেই অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সমস্ত প্রচেষ্টা তারা চালিয়েছে।
তারা আসলে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায় বলেই সেটিকে ঢাকার জন্য নানা ধরণের বক্তব্য রাখে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পৃথিবীর সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার পদত্যাগ করে না।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু পাকিস্তানে আছে এবং উনারা পাকিস্তানকে পছন্দ করেন তো সে জন্য পাকিস্তানের অনুকরণে বাংলাদেশে তারা চাইলেও কোন কিছু হবে না।'
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিএনপির মুখে 'বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরবে না' এটা ১৪ বছর থেকে শুনছি। সেটি করতে গিয়ে দেখা গেল বিএনপিই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, জনগণের কাছে বিএনপির পতন হয়ে গেছে।’’
আরও পড়ুন: কিছু শর্তে ভারতীয় ছবি আমদানিতে সম্মত চলচ্চিত্র পরিষদ: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে