স্কটল্যান্ড
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত স্কটল্যান্ডের
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তম্যান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিছুক্ষণ পর মাঠে নামছে স্কটল্যান্ড।
বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কটিশ অধিনায়ক রিচি বেরিংটন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি স্কটল্যান্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক টে-টোয়েন্টি ম্যাচ, তাও আবার বিশ্বকাপে।
দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয় ২০১৮ সালে একদিনের ম্যাচে। ওই ম্যাচে ৩৭১ রান করেও মাত্র ৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারায় যুক্তরাজ্যের অপর এই দেশটি। তাই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারাতে শেষ ওই ম্যাচটিই প্রেরণা জোগাবে স্কটল্যান্ডকে।
আরও পড়ুন: জিততে ঘাম ঝরল দক্ষিণ আফ্রিকার
অন্যদিকে, চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই গা গরমের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ ফর্মে ফেরা জোফরা আর্চার ইংল্যান্ডের শক্তি বাড়িয়েছে। এছাড়া একাধিক খেলোয়াড় আইপিএল খেলে আসায় পুরো স্কোয়াডই ফর্মে থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
টসের পর স্কটিশ অধিনায়ক বলেন, ‘উইকেট শুষ্ক দেখা যাচ্ছে, যা পরে বদলে যেতে পারে। তবে আমাদের দ্রুত (পরিস্থিতির সঙ্গে) মানিয়ে নিতে হবে। আগে ব্যাট করে একটি ভালো লক্ষ্য দাঁড় করাতে চাই। দল হিসেবেই আমরা চ্যালেঞ্জটি নিয়েছি।’
জশ বাটলার বলেন, ‘আর্চারকে (দলে) পেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। সম্প্রতি সে ভালো করেছে। দলে একজন অতিরিক্ত পেসার নিয়েছি। (মার্ক) উড ও (ক্রিস) জর্ডান বোলিংয়ে থাকছে।’
ইংল্যান্ড দল: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিলিপ সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, মঈন আলী, লিয়াম লিভিংস্টোন, ক্রিস জর্ডান, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড।
স্কটল্যান্ড দল: জর্জ মুনসি, মাইকেল জোন্স, ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন, রিচি বেরিংটন (অধিনায়ক), ম্যাথিউ ক্রস, মাইকেল লিস্ক, ক্রিস গ্রিভস, মার্ক ওয়াট, ক্রিস্টোফার সোল, ব্র্যাড হুইল, ব্র্যাডলি কুরি।
৬ মাস আগে
বাংলাদেশ থেকে নির্মাণশ্রমিক নিতে আগ্রহী স্কটল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রীকে স্কটিশ প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশ থেকে নির্মাণশ্রমিক নিতে আগ্রহী স্কটল্যান্ড।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দেশটির সফররত সংসদীয় প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের এ আগ্রহের কথা জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য ফয়সল চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (সিপিজি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মাইলস ব্রিগস, এভলিন টুইড, জুনেদ হুসাইন চৌধুরী, ফারহান মাসুদ খান ও মো. লুৎফুর রহমান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ফয়সল চৌধুরী বলেন, শ্রমিকদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার অভাব তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, স্কটল্যান্ড বাংলাদেশের কৃষি খাতেও বিনিয়োগ করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে বলেন, তার সরকার দেশের বাইরে যেতে ইচ্ছুক জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাষা, বৃত্তিমূলক কাজ ও কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মালদ্বীপ-নেপালের উচিত পারস্পরিক পর্যটনকে উৎসাহিত করা: প্রধানমন্ত্রী
প্রেস সচিব ইহসানুল বলেন, গত ১৫ বছরে স্কটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা উল্লেখ করেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্কটল্যান্ডের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং বর্তমানে সেখানে প্রায় ২০০ জন নির্বাচিত কাউন্সিলর রয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে পেছনে ফেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯ম বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪২ রানে হারাল স্কটল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনে সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪২ রানে হারিয়েছে স্কটল্যান্ড। এর আগে রবিবার উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল নামিবিয়া
টস জিতে প্রথমে স্কটল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় উইন্ডিজের অধিনায়ক। ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৬০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করে স্কটল্যান্ড। দলের হয়ে ওপেনার জর্জ মুনশে ৫৩ বলে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোসেফ ও হোল্ডার দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ১১৮ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন জেসন হোল্ডার।
স্কটল্যান্ডের মার্ক ওয়াট তিনটি, ব্র্যাড এবং মাইকেল লিস্ক দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা ও উইন্ডিজের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশ
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নামিবিয়ার চমক
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
সাত দশকেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালন করে বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যান।
তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক ঘটনাক্রম হচ্ছে:
২১ এপ্রিল, ১৯২৬: লন্ডনের মেফেয়ারে প্রিন্সেস এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সে সময়ের ভবিষ্যতের রাজা ষষ্ঠ জর্জ ও রানি এলিজাবেথের প্রথম সন্তান তিনি। পরে তাকে রানির মা বলা হয়।
১০ ডিসেম্বর, ১৯৩৬: এলিজাবেথ তার চাচা রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড সিংহাসন ত্যাগ করার পর এবং তার বাবা রাজা হওয়ার পর সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।
১৩ অক্টোবর, ১৯৪০: যেসব শিশু বিমান হামলার (ব্লিটজ) সময় তাদের মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাদের উদ্দেশ্যে এলিজাবেথ ১৪ বছর বয়সে বিবিসি চিলড্রেনস আওয়ার অনুষ্ঠানে প্রথম বক্তব্য দেন।
১৯৪৫: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের হয়ে কাজ করার জন্য এলিজাবেথকে অক্সিলারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসে একজন সাবল্টার্ন (জুনিয়র অফিসার) করা হয়।
২০ নভেম্বর, ১৯৪৭: এলিজাবেথ ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে গ্রিস ও ডেনমার্কের প্রিন্স ফিলিপ মাউন্টব্যাটেনকে বিয়ে করেন।
১৪ নভেম্বর, ১৯৪৮: প্রিন্স চার্লস জন্মগ্রহণ করেন। ফলে তিনি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।
আরও পড়ুন: রানির মৃত্যু: অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও দাফন
১৫ আগস্ট, ১৯৫০: এলিজাবেথের দ্বিতীয় সন্তান ও একমাত্র কন্যা অ্যান জন্মগ্রহণ করেন।
৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২: এলিজাবেথ তার বাবা জর্জ ষষ্ঠের মৃত্যুর পর রানি হন।
২ জুন, ১৯৫৩: ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে একটি জমকালো রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে তাকে মুকুট পরানো হয়। তিনি কমনওয়েলথ সফরে বারমুডা, ফিজি, টোঙ্গা, অস্ট্রেলিয়া ও জিব্রাল্টারসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে বের হন।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬০: এলিজাবেথের তৃতীয় সন্তান প্রিন্স অ্যান্ড্রু জন্মগ্রহণ করেন।
১০ মার্চ, ১৯৬৪: এলিজাবেথের চতুর্থ সন্তান প্রিন্স এডওয়ার্ড জন্মগ্রহণ করেন।
মে, ১৯৬৫: এলিজাবেথ পশ্চিম জার্মানিতে এক ঐতিহাসিক সফর করেন। যা ছিল ৫২ বছরের মধ্যে কোনো ব্রিটিশ সম্রাটের প্রথম জার্মান সফর।
১৯৭৭: এলিজাবেথ সিংহাসনে বসার রজত জয়ন্তী উদযাপন করেন।
১৯৯২: এ বছরটি ছিল এলিজাবেথের ভাষায় ‘অনুস হরিবিলিস’ বা ভয়ংকর বছর। তার চার সন্তানের মধ্যে তিন সন্তানের বিয়ে ভেঙ্গে যায়। সে বছর আগুনে উইন্ডসর ক্যাসেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মন্দার মধ্যে মেরামতের খরচ জোগাতে রানিকে আয়কর দিতে হয়।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (১৯২৬-২০২২) : ইতিহাসের দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞীর বিদায়
৩১ আগস্ট, ১৯৯৭: প্রিন্সেস ডায়ানা প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। তার দুঃখ প্রকাশের জন্য জনসাধারণের চাপের মুখে এলিজাবেথ ডায়ানার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি অভূতপূর্ব টেলিভিশন সম্প্রচার করেন।
২০০২: এলিজাবেথ তার সিংহাসনে আরোহণের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেন। এ বছরে এলিজাবেথের মা ও তার বোন মার্গারেটের মৃত্যু হয়।
২০ ডিসেম্বর, ২০০৭: ভিক্টোরিয়াকে ছাড়িয়ে এলিজাবেথ সবচেয়ে দীর্ঘজীবী ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী হন।
মে, ২০১১: এলিজাবেথ আয়ারল্যান্ডে এক ঐতিহাসিক সফর করেন। যা আইরিশ স্বাধীনতার পর ব্রিটিশ সম্রাটের প্রথম সফর।
২০১২: এলিজাবেথ সিংহাসনে তার হীরক জয়ন্তী পূর্ণ করেন।
৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫: এলিজাবেথ রানি ভিক্টোরিয়াকে ছাড়িয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী সম্রাট হন।
১১ জুন, ২০১৬: ব্রিটেন এলিজাবেথের আনুষ্ঠানিক ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে তিন দিনের জাতীয় উৎসব উদযাপন করে।
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭: প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে এলিজাবেথ সিংহাসনে ৬৫ বছর পূর্ণ করে নীল জয়ন্তী উদযাপন করেন।
মার্চ, ২০২০: করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে এলিজাবেথ ও ফিলিপ লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেস থেকে উইন্ডসর ক্যাসেলে চলে যান।
৯ এপ্রিল, ২০২১: প্রিন্স ফিলিপ ৯৯ বছর বয়সে মারা গেলে এলিজাবেথের ৭৩ বছরের বিবাহিত জীবনের অবসান হয়।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে দেখতে যাচ্ছেন স্বজনরা
২০ অক্টোবর, ২০২১: এলিজাবেথ লন্ডনের একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটি রাত কাটান। ডাক্তারদের নির্দেশে তিনি পরবর্তী মাসগুলোতে তিনি শুধুমাত্র তুলনামূলক হালকা দায়িত্ব পালন করেন।
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২: এলিজাবেথ ৭০ বছরের সার্বভৌম সিংহাসন জীবনের মধ্য দিয়ে প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে প্লাটিনাম জুবিলি পালন করেন।
জুন, ২০২২: প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপনে চারদিনের সরকারি ছুটির সময় এলিজাবেথ সীমিত পরিসরে জনসম্মুখে এসেছিলেন।
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২: বরিস জনসন ও লিজ ট্রাসে এলিজাবেথের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রসঙ্গে স্কটল্যান্ডে রানির গ্রীষ্মকালীন বাসভবন বালমোরাল প্রাসাদে দেখা করেন। ঐতিহ্যগতভাবে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠিত হলেও তার রানির চলাফেরার সমস্যার জন্য প্রথমবারের মতো এ বৈঠক বালমোরালে সম্পন্ন করা হয়।
৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২: এলিজাবেথ স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান। তার বড় ছেলে তৃতীয় চার্লস রাজা হন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে
২ বছর আগে
অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ হলেও দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজনের জন্য অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না, ফলে বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে পড়া দেশগুলোকে সংগ্রামে লিপ্ত হতে হচ্ছে।’
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ যোগদানের পাশাপাশি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে স্কটিশ পার্লামেন্টারিয়ান ফয়সল চৌধুরী এবং সারাহ বোয়াকের সাথে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের প্রেস মিনিস্টার আশেক-উন-নবী চৌধুরী এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর আরও তৎপর হওয়া এখন সময়ের দাবি।
পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পোষাতে উন্নত দেশগুলোর গড়িমসি কাম্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, অভিযোজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও উৎসাহে দেশীয় অর্থায়নেই বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা খরা, বন্যা, জলমগ্নতা ও লবণাক্ততা সহিঞ্চু জাতের শস্য উৎপাদন করেছেন ও গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের সংসদের মধ্যে একটি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠন ও সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় এমএসপি ফয়সল চৌধুরী বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান।
পড়ুন: জলবায়ু সংকট এখনই মোকাবিলা করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
৩ বছর আগে
২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% নবায়নযোগ্য জালানি ব্যবহারে রোড ম্যাপ তৈরির আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
সরকারি টার্গেট অনুযায়ী, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৪০% নবায়নযোগ্য জালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে এখন থেকে রোড ম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় স্কটল্যান্ডের রাজধানী গ্লাসগোয় কপ২৬ সম্মেলনের বাইরে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি টার্গেট অনুযায়ী আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৪০% নবায়নযোগ্য জালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে এখন থেকে রোড ম্যাপ প্রণয়ন করলে এগুলো অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে নবায়নযোগ্য জালানি তথা সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারের টার্গেট পূরণে আধুনিক প্রযুক্তি ও অর্থসহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর ময়লা আবর্জনাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিণত করা এবং স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো গেলে একদিকে পরিবেশ রক্ষা পাবে। অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে দেশ লাভবান হবে। পাশাপাশি গ্রিন টেকনোলজির ব্যবহার বৃদ্ধি, মিটিগেশনে বৈশ্বিক উদ্যোগ ও প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: কৃষিতে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সহায়তার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারী নেতৃত্বে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিষ্ময়কর উন্নয়ন সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসছে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার সময় দেশে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার পরিচালনা শুরু করে গত ১২ বছরে তা বেড়ে বর্তমানে ২৪ হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে বাংলাদেশ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় দেশের উন্নয়ন, মাথা পিছু আয়, গড় আয়ু বেড়েছে। মানুষের জীবন মানের উন্নতি হয়েছে। এখন দেশের প্রত্যন্ত এলাকার সর্বত্র মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়ায় তাদের আয়ও বেড়েছে। তিনি বলেন, একই কারণে এ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এখন মাথা পিছু জিডিপি ২২৫০ ডলার।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অব্যাহত কার্বন নিঃসরণের কারণে বাংলাদেশ ইনোসেন্ট ক্লাইমেট ভিক্টিম। অথচ এ জন্য আমরা মোটেও দায়ী নই, দায়ী উন্নত বিশ্ব দেশগুলো। অথচ তারা এ জন্য কোন ক্ষতিপূরণ বা প্রযুক্তিগত সহয়তাও দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: কপ-২৬: তাপমাত্রা হ্রাস ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ
তিনি বলেন, জিডিপিসহ করোনাকালে দেশের মানুষের জীবন রক্ষা ও জীবিকার চাকা সচল রাখাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজই মূলতঃ অর্থনীতির সকল সূচকে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তানকে পিছনে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ছিলেন নবায়নযোগ্য জালানি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। বক্তব্য দেন পিকেএসএফ’র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদিক।
আরও পড়ুন: কপ-২৬ সম্মেলনে ‘লস ও ড্যামেজ’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি
৩ বছর আগে
কৃষিতে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সহায়তার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশের কৃষিতে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তায় বিশ্ব ব্যাংকসহ বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ।
সেচ কাজে ডিজেল চালিত পাম্পের পরিবর্তে সোলার প্যানেল ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহিঞ্চু, ব্যয় সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি হিসেবে দেশে বিদেশে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বেড়েছে। প্রতি বছর দেশে সেচের জন্য এক লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল চালিত পাম্প ব্যবহার হচ্ছে । এতে বছরে ডিজেল চালিত সেচ পাম্পে এক লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি ডিজেল ব্যবহার হচ্ছে। ডিজেল চালিত সেচ পাম্পকে সোলার প্যানেলে পরিণত করা গেলে বছরে সাশ্রয় হবে এক লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল।
গতকাল গ্লাসগো সময় বিকালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ‘ডায়ালগ অন প্রসপেক্ট অব সোলার পাওয়ার্ড ইরিগেশন টু ইনহেন্স ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স ইন দ্য এগ্রিকালচার সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজেল চালিত পাম্পের পরিবর্তে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বাড়ানো গেলে একদিকে পরিবেশ রক্ষার পাবে। অন্যদিকে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এবং কার্বন নিঃসরণ কমবে। তিনি বলেন, ডিজেল চালিত পাম্প মাঝে মাঝে নষ্ট হয়, এ জন্য কৃষককে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে তা মেরামত করতে হয়। কিন্তু একটি সোলার প্যানেল নিরবিচ্ছিন্নভাবে ২০ বছর ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৬ সম্মেলনে ‘লস ও ড্যামেজ’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর প্রক্রিয়ার মতোই ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের পরিবর্তে সোলার প্যানেল ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেচের পাম্পে ডিজেলের পরিবর্তে সোলার প্যানেল ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়ে এর ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইটকল সেচে সোলার প্যানেল স্থাপনের কাজ করে আসছে। সরকারি নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল থেকে ৪৪৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৭৮৯টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নিরসনে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রেটিজিক এন্ড এ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করে কাজ করে আসছে। এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নিরসনে এই একশন প্ল্যান বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই জলবায়ু ঝুঁকি নিরসনে বাংলাদেশ বিশ্ব রোল মডেল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর অনুদান, সহজ ঋণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে সফলভাবে ১৫১৫টি সৌরচালিত পাম্প স্থাপন করেছে ইটকল। ইটকলের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে কপ-২৬ শুরু
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো দেশে সৌর সেচ কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য অর্থ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানির দক্ষতার উন্নয়নে ইটকলের অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিশ্রুতি অর্জনে একটি সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্র পূরণে সক্ষম হবে। আমাদের এনডিসি প্রতিশ্রুতি কেবল কার্বন নিঃসরণ কমাতেই নয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং গুণমান উন্নত করবে। জীবনের জন্য আমাদের বিনিয়োগ, গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সবুজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ইটকল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। আরো বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার ছাড়াও বিশ্বব্যাংক, জ্যাইকা, এডিবি, ইউএসএআইডি, ইউএনডিপি, জিইএফসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: কপ-২৬: তাপমাত্রা হ্রাস ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ
৩ বছর আগে
কপ-২৬ সম্মেলনে ‘লস ও ড্যামেজ’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ সম্মেলনে ‘লস ও ড্যামেজ’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই কপ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত আসবেও না। পরবর্তী কপ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ও পরিবেশ বিশেজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য মির্জা শওকত আলী ইউএনবিকে বলেন, লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। এই কপ সম্মেলনে এটি নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে না। পরবর্তী কপে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
শওকত বলেন, বাংলাদেশসহ যে সকল দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টার ফসল প্যারিস চুক্তিতে লস অ্যান্ড ড্যামেজ এর স্বতন্ত্র অন্তর্ভুক্তি। উন্নত দেশগুলো যদিও খুব বেশি স্বদিচ্ছায় লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের নেতৃত্বে থাকায় এই ক্ষেত্রে জোরদার ভূমিকা নিতে পারে।
তিনি বলেন,আজকে আর্টিকেল ৬ নিয়ে আলোচনা চলছে ট্যাকনিকেল পর্যায়ে। কার্বন নিঃসরণে নতুন ম্যাকানিজম শুরু হয়েছ। দীর্ঘ মেয়াদী তহবিল ও ১০০ বিলিয়ন নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। এডাপটেশন নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে কথা হচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদী তহবিল কীভাবে শুরু হবে সেটিও চূড়ান্ত হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু তহবিল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিকুর রহমান বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ উন্নত দেশগুলোর চেয়ে কম; অতীতে বিপুল পরিমাণ কার্বন নিঃসরণের দায়ভারও উন্নত দেশগুলোর। অথচ উন্নয়নশীল দেশগুলোকেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে সাইক্লোন, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, নদী ও পাহাড় ভাঙন অনেক বেড়ে গেছে। এখন প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাব থেকে বাঁচা যাবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে লবাণাক্ত তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমুদ্র উচ্চতা বেড়ে গেছে। গোপালগঞ্জে লবণাক্ত পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগে ও জলবায়ু পরিবর্তনের পেক্ষাপটে স্থানচ্যুতি ও দেশান্তর বাংলাদেশে একটা প্রকট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে অভিবাসন, স্থানচ্যুতির ইস্যুগুলোকে বিভিন্ন প্লাটফর্ম বা নেগোসিয়েশনের টেবিলে জোর আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতায় আঘাত আনতে পারে। সেজন্য আমাদের মোকাবিলার প্রস্তুতি থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন সহজে চলে যাবে না, বাড়তেই থাকবে। এখান থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে এবং অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে। এ সব বিষয়ে আমরা বিভিন্ন পলিসিতে আমরা আমাদের কথা তুলে ধরছি। এলডিসি থেকে আমরা বের হওয়ার কথা কিন্তু আমরা বের হতে পারছি না। ২০২৬ সাল লাগবে বের হতে। আমরা কীভাবে এলডিসি থেকে বের হব তার পথ বের করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের সমন্বয়ক জিয়াউল হক ইউএনবিকে বলেছেন, অনেক বিষয়ে পজেটিভ থাকলেও লস অ্যান্ড ডেমেজ বিষয়ে আলোচনা ধীর গতির।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০২০ সালে থেকে ১০০ বিলিয়ন দেয়ার কথা ছিল উন্নত দেশগুলোর। ২০ সাল শেষ। এখন ২০২১ সালও শেষ হয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যেই যেন ১০০ বিলিয়ন দেয়া শুরু করে সেটি আলোচনা হচ্ছে ট্যাকনিকাল পর্যায়ে। ইতিমধ্যে আলোচনায় ১০০ বিলিয়নের মধ্যে ৮০ বিলিয়ন প্রস্তুত প্রায়। ১০০ বিলিয়ন ডলার ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ সালের পর্যন্ত দিবে। এই বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে মন্ত্রী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে ডলার দেয়া শুরু হবে হয়তো ২০২২ সালে।
তিনি আরও বলেন, তারপর আবার ২০২৫ সাল থেকে নতুন করে শুরু হবে। সেটি হতে পারে ১৫০ থেকে ৩০০ বিলিয়ন। তবে এটি ঠিক হয়নি। যত বেশি হবে সেটিই আলোচনায় থাকবে।
তিনি বলেন, নীতিগভাবে অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো আপত্তিও জানায়নি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা দিতে একমত না অনেক দেশের নেতারা। তবে এতো দিন আলোচনার পর এবার এজেন্ডাতে যুক্ত করা হয়েছে। যে টাকা দেয়ার জন্য আশ্বাস দেয়া হচ্ছে তার জন্যও দেয়া হচ্ছে নানা শর্ত।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় কমটির সভাপতি সাহের হোসেন চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, আলোচনা ইতিবাচকভাবে চলছে। আশা করছি এবার অগ্রগতি হবে। এবারও আলোচনায় ছিল ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল নিশ্চিত হবে কি না। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস উঠে আসে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের আলোচনাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
৩ বছর আগে
বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘উচ্চাভিলাষী প্রভাব প্রশমন প্রচেষ্টা ছাড়া শুধুমাত্র অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবগুলোকে ধীর, থামনো এবং পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।’
মঙ্গলবার স্কটিশ পার্লামেন্টে ‘কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছলে স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই পরিমাণ অর্থায়ন হবে বিদ্যমান ওডিএ (অফিশিয়াল উন্নয়ন সহায়তা) এর অতিরিক্ত এবং বিভিন্ন জলবায়ু তহবিলের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। জলবায়ু তহবিলের বিতরণে অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাত থাকা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে সবুজ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্লাসগোতে বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবের অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি মোকাবিলায় সাড়া দেয়ার জন্য তাদের বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রচেষ্টার সমন্বয়ে জলবায়ু কর্মের বিষয়ে সংকল্প ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রদর্শন করতে সমবেত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়।
শেখ হাসিনা সম্প্রতি প্রকাশিত আইপিসিসি (জলবায়ু সংক্রান্ত আন্ত:সরকার প্যানেল) ৬ মূল্যায়ন প্রতিবেদনটিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু বিপর্যয় থেকে পৃথিবকেকে বাঁচাতে এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিশ্বের জন্য আরেকটি জাগরণের আহ্বান হিসাবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমরা মানবজাতির সবচেয়ে গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এটি বাংলাদেশের মতো জলবায়ু- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির জন্য একটি বড় হুমকি। যদিও আমরা বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ০.৪৭ শতাংশেরও কম অবদান রাখি।’
পড়ুন: প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
অর্থ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার। তিনি বলেন, ‘অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য উন্নত দেশগুলোকে ৫০: ৫০ বরাদ্দসহ বার্ষিক ১০০-বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী কপ২৬ ভেন্যুতে ‘এ্যাকশন এন্ড সলিডারিটি- ক্রিটিক্যাল ডিকেড’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি এ সভার আয়োজন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর প্রেসিডেন্ট এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের দক্ষিণ এশীয় অফিসের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনের উন্নয়ন করছে। কিন্তু অর্থ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বিশ্বব্যাপী অভিযোজন কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না।’
এটি মোকাবিলার জন্য উন্নত দেশগুলোকে অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য ৫০:৫০ বরাদ্দসহ বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশ সুরক্ষিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমন উদ্যোগ এবং স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী এগিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ বছর তিন কোটি চারা রোপণ করছে এবং দেশের উন্নয়নের গতিপথকে কৌশলগত স্বল্প-কার্বন পথে পরিচালিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান’চালু করতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি উচ্চাভিলাষী ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) পেশ করেছে। আমরা অভিযোজন উদ্যোগগুলোর উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাথে আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার খসড়াও তৈরি করেছি।’
পড়ুন: বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে কপ-২৬ শুরু
৩ বছর আগে