ব্যবস্থাপনা
গণমাধ্যমের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় সংস্কার দাবি সাংবাদিকদের
ক্ষমতাশালী শ্রেণির প্রভাবমুক্ত সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ’ ব্যানারে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে দেশ-জনগণের স্বার্থে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
তারা বলেন, করপোরেট মালিকদের স্বার্থরক্ষা ও রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিমূলক সাংবাদিকতা পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি গণমাধ্যমকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
এছাড়া এ সংকট কাটাতে গণমাধ্যমের সামষ্টিক চরিত্র পালটে জনবান্ধবমুখী করার দাবিও জানান তারা।
সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক আরিফুল সাজ্জাদ ও আহমেদ ফয়েজ।
বৈঠকে সাংবাদিকরা একটি মুক্ত, স্বাধীন ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের জন্য নির্দলীয় প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেন।
অনুষ্ঠানে লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘সাম্প্রতিক রাষ্ট্রীয় গণহত্যায় গণমাধ্যম কোনোভাবেই তার দায় এড়াতে পারে না। সেজন্য এখন আমাদের প্রচণ্ড রকমের আত্মসমালোচনা দরকার।’
সাংবাদিকতায় এখন তিনটি অভ্যুত্থান দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথমত করপোরেট ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে, দ্বিতীয়ত দলীয় সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের বিরুদ্ধে এবং তৃতীয়ত নিজেদের লোভ ও পক্ষপাতের বিরুদ্ধে আমাদের অভ্যুত্থান দরকার।’
সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় সংকট করপোরেট মালিকানা। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন না করতে পারলে গণমাধ্যমকর্মীদের অর্থনৈতিক মুক্তিসহ আমরা যে জনবান্ধব গণমাধ্যম দেখতে চাই, সেটি কঠিন হয়ে পড়বে।’
এছাড়া তিনি দল মতের বাইরে পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সংগঠন তৈরির ওপর জোর দেন।
আরেক সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম সামাদ বলেন, ‘সাংবাদিকরা নিজেদের কর্মক্ষেত্রেই আজ সবচেয়ে বড় পরাধীন। সাংবাদিকদের হুটহাট কেন চাকরি যায় তার বিরুদ্ধে শক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।’
দ্যা ডেইলি স্টারের সিনিয়র সাংবাদিক বাহরাম বলেন, ‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। সেই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় আমাদের যা করণীয় করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ইউনূসের প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম সংগঠনগুলোর আহ্বান
তিনি বলেন, ‘অপেশাদার, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিমূলক সাংবাদিকতা আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করতে হবে। এজন্য আমাদের একদফা দাবি গণমাধ্যমে ব্যাপক সংস্কার আনতে হবে।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের বাংলাদেশ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র সাংবাদিকদের অনেকে এতোটাই ক্ষমতার লোভ ও স্বার্থের কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিয়েছে, যে তাদের দিয়ে আর কোনো পরিবর্তন আশা করা যায় না। সাংবাদিকতাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আকর্ষণীয় পেশা হিসেবে তুলে ধরতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে।’
মত বিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন, একাত্তর টেলিভিশনের শাহনাজ শারমিন, নিউ এইজের মঈনুল হক, মাই টিভির মাহবুব সৈকত, কালবেলার জুনাইদ শিশির, সাংবাদিক মিজানুর রহমান কবির, নিউজ ২৪ এর হোসাইন শাহদাৎ ও দ্যা বিজনেস পোস্টের আশরাফুল ইসলাম রানা।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের ব্যাপক সংস্কারকল্পে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন সাংবাদিকরা।
দাবিগুলো হলো-
* ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
* ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে আহত-নিহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সব বন্ধ গণমাধ্যম অনতিবিলম্বে খুলে দিতে হবে।
* গণমাধ্যমের যেসব মালিক ও নির্বাহীরা গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে, তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
* গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অভিন্ন ওয়েজবোর্ড প্রণয়ন করতে হবে। অনতিবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছে বলে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়ন করেনি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।
* শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ বণ্টন করতে হবে।
* উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অগণতান্ত্রিক উপায়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের দখলদারিত্বের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
* গণমাধ্যম কর্মীদের সর্বস্তরের ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যম পরিচালনা সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনে সরকার ও বিশেষ সংস্থার নির্দেশনা, নিয়ন্ত্রণ প্রবণতা চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
* গণমাধ্যম পরিচালনার ধরনসহ সার্বিক বিষয়ে সংস্কারের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করতে হবে।
* গণমাধ্যম ও স্বাধীন মত প্রকাশে বিরোধী নিবর্তনমূলক আইনের সব ধারা বাতিল করতে হবে।
* আইসিটি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
* সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
* বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের গুম, নির্যাতন ও হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে।
* সব গণমাধ্যম যেন গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারে সেই নিশ্চয়তার বিধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ, যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার সম্ভাবনা: ভারতীয় গণমাধ্যম
৩ মাস আগে
তিস্তা: সংরক্ষণ-ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে কারিগরি দল
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিস্তা নদী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনা করতে একটি কারিগরি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।
তিনি বলেন, ভারতও বাংলাদেশিদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা সুবিধা চালু করবে।
নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের সুবিধার্থে রংপুরে একটি নতুন সহকারী হাইকমিশন খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের জন্য ই-মেডিকেল ভিসা চালু করবে ভারত: মোদি
তিনি বলেন, ‘আমি আজ সন্ধ্যায় ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচের জন্য উভয় দলকে শুভকামনা জানাই। বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার এবং আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিই।’
নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক এবং দ্বিপক্ষীয় প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবুজ অংশীদারিত্ব, ডিজিটাল অংশীদারিত্ব, সুনীল অর্থনীতি এবং মহাকাশের মতো অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সম্পাদিত চুক্তির ফলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
মোদি বলেন, ‘আমরা যোগাযোগ, বাণিজ্য ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।’
দুই দেশে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে।
তিনি বলেন, “বন্যা ব্যবস্থাপনা, আগাম সতর্কীকরণ, সুপেয় পানি প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা করে আসছি। আমরা ১৯৯৬ সালের ‘গঙ্গা পানি চুক্তি’ নবায়নের জন্য কারিগরি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণসহ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
সন্ত্রাস দমন, উগ্রবাদ হ্রাস ও সীমান্তের শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
মোদি বলেন, ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশ এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভারতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
মোদি বলেন, ‘সোনার বাংলায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই।’
তিনি বলেন, তারা নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য একটি ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রস্তুত করেছেন।
হায়দরাবাদ হাউজে শনিবার শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শুধু শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির (টেট-এ-টেট) মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে উষ্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: রেল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি: মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা
৪ মাস আগে
তাপপ্রবাহকে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, তাপপ্রবাহকে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের মারাত্মক প্রভাব থেকে রক্ষা করতে জনগণকে প্রস্তুত করে তুলতে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অন হিট ওয়েভ মেনেজমেন্ট’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং তাপপ্রবাহের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কিত সুরক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পানির বোতল, স্যালাইন, ছাতা ও ক্যাপ বিতরণ করছে। এছাড়াও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল- বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের মাত্রা ও এর প্রভাব হ্রাসে করণীয়গুলো চিহ্নিত করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তাপপ্রবাহ সম্পর্কিত অংশীজনদের কার্যক্রমকে আরও সমন্বিতভাবে এগিয়ে নিতে উপায় খুঁজে বের করা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ জাহানারা ইমাম: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। মজুতদারদের বিরুদ্ধে এবার খুবই সতর্ক সরকার। এছাড়া পণ্য মজুত করে ভোক্তাদের কৃত্রিম সংকটে ফেলতে দেওয়া হবে না।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্ট্যান বর্ন -এর নেতৃত্বে ইউএস কৃষি বিভাগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি ও কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস পৃথক বৈঠক করেছেন।
পরে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমাদের এখন লক্ষ্য ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাস আসছে, জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে- এ বিষয়ে আমরা খুব সজাগ আছি।
সম্প্রতি আমরা তিন মন্ত্রী (খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী) মিটিং করেছি। যখনই প্রয়োজন হবে আমরা আবার একত্রে বসব।
প্রয়োজনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও মিটিং করব।
ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে বিপদে না পড়ে- সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। শিগগিরই পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একসময় মিশরে পাটের চাষ হতো, এখন হয় না। বর্তমানে মিশরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ভালো ইন্ড্রাস্ট্রি রয়েছে। আমরা মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে চাই। এক্ষেত্রে জাত, বীজ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মিশরের প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে।
সেটিকে কাজে লাগিয়ে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য মিশরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জিনোম সেন্টারকে কাজে লাগিয়ে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিতে হবে’
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতি করতে হলে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, এ এই তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করাই হবে আমার প্রথম কাজ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা নিয়েই আমি ডাক্তার হয়েছি। মন্ত্রীও হয়েছি। সুতরাং এই চট্টগ্রাম থেকেই আমার কাজ শুরু হলো।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে কাদের
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকদের তৃণমূলে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চিকিৎসকদের তৃণমূলে পাঠাতে ও রাখতে কাজ করব। তবে একইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথাটিও ভালো করে মনে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার হাসপাতাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের পটুয়াখালীর একটি মেয়ের উপর আক্রমণ হলো। কিছুদিন আগেই সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা হাসপাতালে আক্রমণ হলো।
মন্ত্রী বলেন, এগুলোও আমাদেরকে ভাবতে হবে। তবে, আমরা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আর পিছিয়ে থাকব না, আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি, আমরা এগিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
৯ মাস আগে
ভূমিজ’র উদ্যোগে চালু হচ্ছে ডিজিটাল পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনা
সামাজিক প্রতিষ্ঠান ভূমিজ’র উদ্যোগে চালু হচ্ছে ডিজিটাল পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনা। সোমবার (১২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের হলরুমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন।
তিনি বলেন, পাবলিক টয়লেট মানেই অপরিষ্কার, দুর্গন্ধযুক্ত ও অনিরাপদ এই ধারণা পাল্টে দিতে সোচ্চার একটি সামাজিক উদ্যোগ ভূমিজ।
আরও পড়ুন: ১০ ঘণ্টা পর স্কুলের টয়লেট থেকে বাকপ্রতিবন্ধী ছাত্রী উদ্ধার
তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকেই নারী, শিশু, ও বৃদ্ধসহ সবার জন্য প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সেবা উন্নয়নে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভূমিজ’র প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা রশীদ বলেন, জনসাধারণের জন্য স্যানিটেশন সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। পাবলিক টয়লেট ব্যবহারীদের আরও আধুনিক সেবা দেওয়ার জন্য ভূমিজ এবং বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিটি টয়লেটের অবস্থান নির্ণয় করাসহ রিয়েল টাইম ডাটার মাধ্যমে স্যানিটেশন সেবার নিরবচ্ছিন্ন মান উন্নয়ন এবং সেবা আরও টেকসই করে তোলা সম্ভব।
যা আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং নগরগুলোর বাসযোগ্যতে বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ভূমিজ এর স্মার্ট পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে মোবাইল অ্যাপ, আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রিত প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত দরজা, স্মার্ট অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, টয়লেটের দুর্গন্ধ শনাক্তকরণ ও সমাধানের জন্য সেন্সরভিত্তিক প্রযুক্তি।
আরও পড়ুন: ট্রেনের টয়লেট থেকে মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার
ব্যবহারকারীরা অ্যাপটির মাধ্যমে টয়লেট ব্যবহার ফি প্রদানসহ অন্যান্য ভূমিজ টয়লেটগুলো কোথায় আছে, কিভাবে সেখানে যেতে হবে, কখন খোলা থাকবে, কি কি সেবা চালু আছে, এই সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এর রেটিং কত এই সকল তথ্যসমূহ খুব সহজেই জানতে পারবেন।
পাশাপাশি অ্যাপ ব্যবহারকারীরা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা জানাতে পারবেন।
১ বছর আগে
প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতি তৈরি করা প্রয়োজন: গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ
প্রতিবছর দেশে সৃষ্টি হচ্ছে ৩০ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্য। যার মধ্যে শুধু স্মার্ট ডিভাইসেই সৃষ্টি হচ্ছে সাড়ে ১০ টন ই-বর্জ্য। অন্তত ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩০২ ইউনিট নষ্ট টেলিভিশন থেকে সৃষ্টি হচ্ছে ১ দশমিক ৭ লাখ টনের মতো ই-বর্জ্য।
শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই বর্জ্য বাড়ছে ৩০ শতাংশ হারে।
হিসাব বলছে, ২০২৫ সাল নাগাদ কোটি টনের ই-বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে বিলিয়ন ইউনিট স্মার্ট উৎপাদন হবে। কম্পিউটার পিসিবিভিত্তিক ধাতু রূপান্তর ব্যবসায় সম্প্রসারিত হবে।
হিসাব আরও বলছে, যা ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ মানবিক সংকট। সংকট নিয়ন্ত্রণে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার সঙ্গে দেশ থেকে দেশে প্রবেশ করা রিফার্বিশ ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন।
শনিবার (৩ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ আইসিটি জর্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) উদ্যোগে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ‘ই-বর্জ্যের কার্বন ঝুঁকিতে বাংলাদেশ: কারণ ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন বক্তারা।
আরও পড়ুন: ই-বর্জ্য: পুনর্ব্যবহারের পরিবর্তে ফেলে দেয়া হবে ৫৩০ কোটি মুঠোফোন
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, ই-বর্জ্যের কোনো গাইডলাইন নাই। অভিভাবকহীন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে একটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা তৈরি করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে আমরা বিআইজেএফ এর পতাকা তলে সবাইকে নিয়ে দেশজুড়ে আন্তর্জাতিক মানের ই-বর্জ্য সচেতনতা দিবস পালন করবো।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা একটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হ্যাকাথন করতে চাই।
বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার জানান, স্বাগত বক্তব্যে ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় বিআইজেএফ এর নেওয়া এ উদ্যোগ আগামীতে আরও জোরদার করা হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সময়ের সঙ্গে খুবই প্রাসঙ্গিক।
এ জন্য সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষ থাকা দরকার। এটা বাস্তবায়নে বিআইজেএফ প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
সার্ক সিসিআই (বাংলাদেশ) নির্বাহী কমিটির সদস্য শাফকাত হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল আলম, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, র্যাব-এর আইন ও মিডিয়া শাখার পরিচালক খন্দকার আলী মঈন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব সাঈদ আলী, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) উপ-পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিইআরএম পরিচালক রওশন মমতাজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল।
সভায় ই-বর্জ্য ঝুঁকি থেকে বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে কাল-বিলম্ব না করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
বক্তাদের পরামর্শ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে এনে বিআইজেএফ আগামীতে স্মার্ট সাংবাদিকতায় ভূমিকা পালন করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গোল টেবিল আলোচনায় উপস্থিত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান।
অধ্যাপক লাফিফা জামাল বলেন, আজকের ইলেকট্রনিক্স পণ্যেই আগামী দিনের ই-বর্জ্য। ল্যাপটপ-কম্পিউটারের চেয়ে কি-বোর্ড, মাউস থেকে ই-বর্জ্য বেশি হচ্ছে। তাই এগুলো কোথায় ফেলতে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিধিমালা অনুযায়ী, এসব পণ্য যারা উৎপাদন করবেন তাদেরই ফিরিয়ে নেওয়ার বিধান থাকলেও তা প্রতিপালিত হচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার।
ডিএনসিআরপি উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মাদ শাহরিয়ার বলেন, ব্যাটারিচালিত গাড়ি থেকে দেশে ভয়াবহমাত্রায় সিসা ছড়াচ্ছে। তাই সবার আগে উৎপাদকদের দায়বদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে। এ বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের চাপের মুখে রাখতে বিআইজেএফ সমাজের আয়না হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিইআরএম পরিচালক রওশন মমতাজ বলেন, আমরা বুয়েট থেকে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা করে ই-বর্জ্য আইন ২০০১ এর একটি খসড়া করা হয়েছে। রি-ইউজ মনেই ই-বর্জ্য নয়। তাই আমি একে ই-রিসোর্স হিসেবে অভিহিত করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, এজন্য এটি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনাটা এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জাপান রিসাইকেল ই-বর্জ্য দিয়ে গোল্ড মেডেল তৈরি করতে চায়। হাইটেক পার্কে যদি রিসাইকেল প্ল্যান্ট করা হয় তবেই এটি সম্পদ হিসেবে উপযোগ সৃষ্টি করবে।
র্যাব-এর আইন ও মিডিয়া শাখার পরিচালক খন্দকার আলী মঈন খন্দকার আল মঈন বলেন, সব স্টেক হোল্ডারদের সমন্বিত উদ্যোগ নিলে ই-বর্জ্য ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, দেশে ব্যাগেজ পণ্যের চাহিদা রয়েছে। আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে একই ব্যক্তিকে চার বারও আটক করার পর তিনি একই ব্যবসা করছেন। আপনারা তথ্য দিলেই তদন্ত করে এ অভিযান অব্যাহত রাখবেন।
স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ই-বর্জ্যকে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ই-রিসোর্স এ রূপান্তর ব্যবসায়িক ভায়াবল না। আমাদের ইন্টারনাল ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবছি। তখন বাইরের দেশ থেকে ই-বর্জ্য বাংলাদেশে ডাম্পিং করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ভিত্তিক কিছু ব্যবসায়ী বাংলাদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ কাজ করছে। প্রতি মাসে ১৫-১২ হাজার রিফারবিশ ল্যাপটপ বাজারে ঢুকছে। এতে সরকার ৩০-৩১ কোটি টাকার মতো রাজস্ব পেতো।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা নেই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে: মন্ত্রী
১ বছর আগে
টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আওতাধীন পানি বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বৃদ্ধিতে উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানাই।
বুধবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলমান আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত এটি প্রথম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, এর আওতাধীন বিভিন্ন অঙ্গ-সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য সকল অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈশ্বিক পানি বিষয়ক কর্মসূচির বাস্তবায়নে কাঙ্খিত অগ্রগতি পর্যালোচনাকে সামনে রেখে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট জাতীয় নীতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দীর্ঘ-মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একটি কার্যকর ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা তৈরির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের সরকার 'বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০' নামে একটি ১০০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা এবং 'বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩' প্রণয়ণ করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আওয়াজ তোলার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিশেষ করে পানি সংক্রান্ত জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সীমিত আন্তর্জাতিক অর্থায়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার জন্য অভিযোজন অর্থায়নসহ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরত্বারোপ করেন এবং এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো আহ্বান জানান।
সাধারণ বিতর্কে অংশগ্রহণ ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকালে ‘ওয়াটার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট: ভ্যালিউইং ওয়াটার, ওয়াটার-এনার্জি-ফুড নেক্সাস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ইকোনমিক অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক ইন্টারেক্টিভ সংলাপে মূল বক্তব্য প্রদান করেন এবং ‘ওয়াটার সল্যুশনস ফর ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন: লেসনস টু স্কেল আপ ইমপ্যাক্টফুল ডেলিভারি’ শিরোনামের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন।
এই সম্মেলনে একটি উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান, সাধারণ বিতর্ক সম্পর্কিত ছয়টি প্লেনারি সভা এবং বহু অংশীজনদের অংশগ্রহণে পাঁচটি ইন্টারেক্টিভ সংলাপ রয়েছে এবং এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীসহ কয়েক শতাধিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সম্মেলনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ ১৩-সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল অংশ গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ নির্ধারণ
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় খরচ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে জানান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হজ উপলক্ষে প্যাকেজ প্রস্তুত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আজ হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হজ প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন খাতের ব্যয় পর্যালোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। মিনার তাঁবুর সি-ক্যাটাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিনার তাবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরি গ্রহণের ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব-স্ব হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাবুর অবস্থান ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের ন্যায় নিশ্চিত করতে হবে।’
গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর 'সাধারণ প্যাকেজ' এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। বেসরকারি হজ প্যাকেজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হবে।
গত বছরের প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা, প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা।
গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর 'সাধারণ প্যাকেজ' এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছর হজ পালনে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় হজচুক্তি করেছে বাংলাদেশ।
হজচুক্তি অনুযায়ী এ বছর আগের মতোই এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে।
এ বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে গমনকারী শতভাগ হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ‘রুট টু মক্কা চুক্তি’ অনুযায়ী ওই বিমানবন্দরেই অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর থেকে এবার হজ প্যাকেজের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর রিয়ালের মূল্য ছিল ২১ টাকা, এখন নেই রিয়ালের মূল্য ৩০ টাকা। এক লাখ টাকার বেশি এখানেই চলে আসে। আনুষঙ্গিক ব্যয় খুব একটা বাড়েনি। বিভিন্ন খাতে সমন্বয় করে এ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির মধ্যেই হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
এবার বিমান ভাড়া কত জানতে চাইলে ফরিদুল খান বলেন, ‘এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। বিমান ভাড়া কেন বেড়েছে তা আপনাদের বিবেচনা করা উচিত। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিমান ভাড়া বেড়েছে। বিমান ভাড়া নিয়ে আমরা বিমান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তিনদিন বসেছি। বর্তমান সময় আমাদের অনুকূলে না থাকার কারণে বিমান ভাড়া বাড়াতে হয়েছে।’
গত বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৪০ হাজার।
আগের মতো তিনটি বিমান সংস্থা (বিমান বাংলাদেশ, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ার) এবারও হজযাত্রীদের পরিবহন করবে বলেও জানান ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
এবার একটি প্যাকেজ কেন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার একটি প্যাকেজই আমাদের থাকবে। এটার বিষয়ে আর অন্য কোন ব্যাখ্যা নেই।’
বেসরকারিভাবে মিনায় ডি-ক্যাটাগরি অনুসারে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬০ টাকার মতো পড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত আমরা ব্যয়ের খাত দিয়ে দিয়েছি। হাব (হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) এটা নির্ধারণ করবে। সি-ক্যাটাগরি নিয়েও তারা প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। আমরা তাদের গাইড লাইন দিয়ে দিয়েছি।’
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘বেসরকারি হজ প্যাকেজ আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করা হবে।’
করোনাভাইরাস মহামারির আগে ২০১৯ সালে স্বাভাবিক হজ হয়েছে। তখন বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন মানুষ হজ পালন করেন। ২০২০ সালের জন্য বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে হজ সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়, সেখানে বাংলাদেশিদের হজযাত্রীর কোটা ১০ হাজার বৃদ্ধি করা হয়। ২০২০ সালে এক লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি হজে যেতে পারতেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ থেকে কেউ হজ পালন করতে পারেনি। ২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
করোনা মহামারি কমে এলে গত বছর (২০২২) বিভিন্ন দেশের কোটা অর্ধেক করে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসলমান হজ পালন করেন। করোনা মহামারির কারণে গত বছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
আরও পড়ুন: সৌদি হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক
১ বছর আগে