নিরাপত্তাকর্মী
জাতীয় নির্বাচন: প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাহারায় ১৫-১৭ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকবেন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে।
সারাদেশে প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে এবং দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।
কমিশন মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অবস্থিত ভোটকেন্দ্র এবং মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে অবস্থিত কেন্দ্রগুলোর জন্য পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অস্ত্রধারী দুইজন পুলিশ, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী একজন আনসার, ১০ জন আনসার, লাঠি হাতে একজন বা দুইজন গ্রামপুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল সব সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে।
তবে প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের ক্ষেত্রে (যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত) অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশসহ ১৬-১৭ জনের একটি দল থাকবে।
মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরের সব ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ১৫ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল। যার মধ্যে অস্ত্রধারী তিনজন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী আরেকজন আনসার এবং ১০ জন আনসার সদস্যের দল প্রতি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
তবে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হলে ১৬ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পাহারা দেবে এবং অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য সংখ্যা তিনজনের পরিবর্তে চারজন হবে।
আরও পড়ুন: সব প্রাথীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
বিশেষ এলাকাগুলো যেমন- পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দুর্গম এলাকায় মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অন্যান্য গ্রামীণ এলাকার মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে থেকে পাঁচ দিন (যাতায়াতের সময়সহ) মোতায়েন থাকবে এবং ভোটের একদিন পর পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবে।
এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
তারা ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন (তাদের যাতায়াতের সময়সহ) নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
তা ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে নির্বাচনী এলাকায় বিপুল সংখ্যক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন রয়েছে।
৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন বর্জন করছে।
সংসদ নির্বাচনে মোট ১৮৯৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা এখন নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এবং ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ, ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত তারা প্রচার চালাতে পারবেন।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো বিরতি ছাড়াই ভোট গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
নির্বাচনে অনিয়ম রোধে ৬৫৩ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ইসির
১০ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিস থেকে নিরাপত্তাকর্মীর লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কামারখন্দ সাব জোনাল অফিস থেকে এক নিরাপত্তা প্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল পূর্ব বাজারের পল্লী বিদ্যুত অফিস থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহত আব্দুল আলিম (৪৯) বগুড়া জেলা শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কামারখন্দ সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) কাজী জসিম উদ্দিন জানান, রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল আলিম। সকালে অফিসের নিচতলার মুদি দোকানদার অফিসের ভেতরে আব্দুল আলিমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে আমাদের জানান। আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান জানান, কামারখন্দ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিলিং শাখা থেকে নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল আলিমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, কোনো কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার, আটক ২
চাঁদপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
জাবিতে গাড়ি থামানোয় নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর শিক্ষার্থীর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাড়ি নিয়ে ঢুকতে বাধা দেয়ায় এক নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর ও গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে উইকেন্ড প্রোগ্রামের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ওই শিক্ষার্থী গাড়ি নিয়ে ঢুকার সময় বাধা দেয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান নিরাপত্তা প্রহরী জাকারিয়া।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম দিপ্ত দেবনাথ।
আরও পড়ুন: জাবিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার
নিরাপত্তা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন ছেলেমেয়ে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ড প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় তাদের ঢুকতে দেননি। পরে তারা নিরাপত্তাকর্মীকে গালিগালাজ ও মারধর করেন।
এ বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মী বলেন, আজকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের ভেতরে গাড়ি ঢুকতে না দেয়ার নির্দেশনা ছিল। উইকেন্ডের কয়েকজন গাড়ি নিয়ে ঢুকতে চাইলে আমি তাদের নিষেধ করি। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ‘টাকা দিয়ে পড়ি, গাড়ি নিয়ে ঢুকতে দিবি না কেন’ বলে গালিগালাজ করা শুরু করেন এবং মারধর করেন।
অভিযুক্ত দিপ্ত দেবনাথ বলেন, গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার সময় আমাকে বাধা দেন। আমি তো শিক্ষার্থী তাই বাধা দেয়ায় কারণ জানতে চাই। কর্মী গাড়ি সরাতে বললে আমি তাকে গালিগালাজ করেছি। হাতাহাতি হয়েছে। আমিও মার খেয়েছি। তারপর আমার সঙ্গে দুই জন ছিল তারাও হাতাহাতিতে অংশ নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, 'গার্ডের সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায়।'
আরও পড়ুন: জাবিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত শিক্ষার্থী লাইফ সাপোর্টে
জাবিতে দিনব্যাপী পাখি মেলা শুক্রবার
১ বছর আগে