আগুনঝরা নদী
সুন্দরবনের আগুনঝরা নদীর বুকে ‘ত্রিকোণ দ্বীপ’, পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে
সুন্দরবনের দুবলার চর অভিমুখে আগুনঝরা নদীর মোহনায় জেগে উঠেছে একটি দ্বীপ। এই দ্বীপটি জেগেছে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে। বন বিভাগ দ্বীপটির নাম দিয়েছে ‘ত্রিকোণ দ্বীপ’।
সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদেরকে দ্বীপটি আকর্ষণ করবে। দ্বীপটি কেবলই কেওড়া গাছের বন। এটিতে পর্যটক নামার কোনও সুযোগ নেই। কারণ এখানে ঘন বন। জোয়ার ভাটায় পানি ওঠার কারণে চরের মাটি নরম ও কর্দমাক্ত।
জানা গেছে, ২২-২৫ বছর আগেও জাহাজ নিয়ে এ স্থান পার হওয়া ছিল ঝুঁকির। কারণ এ মোহনা ছিল প্রচণ্ড খরস্রোতা। দ্বীপের কারণে এখন স্থানটি ধীরে ধীরে অতিক্রম করতে হয়। বামের নদীটিই আগুনঝরা নদী। যা এখন ভরাট হয়ে কাঁদার স্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে আগুনঝরা নদী পার হওয়ার সময় এই দ্বীপটির নয়নাভিরাম দৃশ্য নজর কাড়বে পর্যটকদের।
সুন্দরবনে পর্যটকবাহী লঞ্চের সুকানি শফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন সুন্দরবনের বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চালাচ্ছি। আগুনঝরা নদীর এই মোহনাটি ছিল বিশাল ও অত্যন্ত খরস্রোতা। ২০-২২ বছর হলো দ্বীপটি সৃষ্টি হয়েছে। ধীরে ধীরে এর এক পাশের নদী মরে যাচ্ছে। অপরপাশ এখনও সচল আছে। ক’দিন সচল থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটকের খরা, হতাশায় ট্যুর অপারেটররা
পর্যটক গোলাম হোসেন বলেন, দূর থেকে দেখলে দ্বীপটি ভালোই লাগে। যেন সুন্দরবনের মাঝে আরেক টুকরো সুন্দরবন। যত কাছাকাছি আসে ততই আকর্ষণ বাড়ে।
পর্যটক মোমিন মিয়া বলেন, দুবলার চর এলাকায় বিভিন্ন চরের সৌন্দর্যের পাশাপাশি এ দ্বীপটিও বেশ ভালো লাগে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘দ্বীপটি বেশ পুরানো। আগুনঝরা নদীর মোহনায় এ দ্বীপের কারণে নদীর দুটি ধারা সৃষ্টি হয়েছে। একটিতে নৌযান চলাচল করছে। অপরটি পলি জমে জমে ভরাট হয়ে উঠছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া খননের কোনও পরিকল্পনা নেই। ফলে ওই অংশটিও ভবিষ্যতে গাছপালায় ভরে জঙ্গলে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আরও ৪ ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হচ্ছে
পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলছে ১ সেপ্টেম্বর
১ বছর আগে