জাতীয় সংসদ নির্বাচন
পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। তখন তারা কিছু আসন পেয়েছিল। এবার তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন অংশ নেয়নি। পরে নানান বাহানা, নানান দাবি নিয়ে নির্বাচন বর্জনের কৌশল নিয়েছে তারা।’
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফার্মগেটের মনিপুরী পাড়ার বাচা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কখা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি যেমন করে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, মানুষ হত্যা করেছে; এবারও তারা একই কাজ করছে। তবে দেশের মানুষ এই নির্যাতন চায় না, বিশৃঙ্খলতা চায় না। তাই তারা আজ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসছেন।’
৯ মাস আগে
নির্বাচন ২০২৪: সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ (বুধবার) সকালে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
সংবিধানের 'ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার' অনুচ্ছেদের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন
অনুষ্ঠানে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
আজ সকালে ঢাকার বনানী এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি দলকে টহল দিতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনুরোধে এবং অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক মোতায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
৬২টি জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এককভাবে ৪৫টি উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আগামীকাল থেকে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন
এছাড়া বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী যথাক্রমে ৪৭টি সীমান্তবর্তী উপজেলা ও ৪টি উপকূলীয় উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে।
ভোলা ও বরগুনাসহ উপকূলীয় ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) পার্বত্য ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান করবে।
এছাড়া নির্বাচনী সহায়তা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। সেলটি ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সশস্ত্র বাহিনী।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে বিজিবির ডগ স্কোয়াড মোতায়েন
৯ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাবি ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে জনসমাগম ততই বেড়ে চলেছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা এবার আগেই নেওয়া হয়েছে। ফলে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেছেন, করছেন। শুধুমাত্র তারাই আছেন যারা চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন অথবা খণ্ডকালীন চাকরি করছেন।
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোকছেদুর রহমান পলাশ নির্জন ক্যাম্পাস দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এরকমটা শুধু ঈদের ছুটিতেই দেখা যায়। ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে এরকম খালি ক্যাম্পাস এর আগে দেখিনি।
তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের কথা স্মরণ করে বলেন, ক্যাম্পাস তখন অনেক বেশি প্রাণবন্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১১ জনের রিমান্ড
ক্যাম্পাস এভাবে খালি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে যেসব ব্যবসা গড়ে উঠেছে সেগুলোতে বেশ প্রভাব পড়ছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি হলের ক্যান্টিন ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের একটি দোকানের মালিক আরিফ উদ্দিন জানুয়ারির শুরুতেই দোকান বন্ধ করে চাঁদপুরে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন ম্যানেজার ডালিম সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থী সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমেছে। আমরা সাধারণত ৭০০ থেকে ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য খাবার প্রস্তুত করি। এখন, তা ৩০০-এর আশেপাশে নেমেছে।’
তিনিও ভোট দিতে চাঁদপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী রাজু শেখ ভালো মানের খাবারের জন্য নির্ভর করা নতুন ক্যান্টিনটি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং পুরনো ক্যান্টিনে নির্ভর করর চ্যালেঞ্জের কথা জানান। তিনি বলেন, অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি চায়ের স্টল পাওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের ৪ নেতা-কর্মী আহত
১০ মাস আগে
'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজনীতি বিলুপ্ত হবে'
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুবধার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'দেশে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি আর থাকবে না। উদার গণতন্ত্রকে ভুলে যাওয়া উচিত।’
'ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ- নির্বাচন, অর্থনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্ক’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'কেউ কেউ বলতে চান, জনগণ অংশগ্রহণ করলেই এটি অংশগ্রহণমূলক। তাহলে আমরা কেন স্বৈরশাসকদের প্রশ্ন করছি? অংশগ্রহণমূলক মানে সেই সব দলের অংশগ্রহণ, যারা নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পারে।’
তিনি বলেন, 'যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা সিস্টেমকে কলুষিত করেছে, যেখানে ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে, সেখানে ১৫ শতাংশ দেখানো হচ্ছে। ভোটের হার বিশ্বাসযোগ্য হোক বা না হোক, তা কোনও ব্যাপার নয়।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লবের করা রিটের শুনানি বুধবার
আগামী নির্বাচনে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়বে কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে 'বিরোধী দল খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া' আখ্যায়িত করে সাখাওয়াত বলেন, ২৬টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তাদের মধ্যে ১৩টির নাম কেউ বলতে পারছে না।
তিনি বলেন, শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির পর ক্ষমতাসীন দলের জন্য ২৪০টি আসন নিশ্চিত করা হয়েছে।
সাখাওয়াত মনে করেন, আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের 'নতুন সংজ্ঞা' তৈরি হচ্ছে।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের ফলাফল তার আবেদন হারিয়েছে।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিরোধী দল ক্ষমতাসীন দলের সহায়তা ছাড়া নির্বাচিত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’
তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে শক্তিশালী রাজনৈতিক বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে মৌলবাদী শক্তির উত্থান হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সব নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের কর্তৃত্ব হারিয়েছে, যার ফলে দুর্নীতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজনীতি সঠিক পথে চললে অর্থনীতি সঠিক পথে চলবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে: সিইসি
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার অর্থনীতির এমন কিছু সূচক দিচ্ছে, যা বাস্তব চিত্রের সঙ্গে মেলে না।
জিডিপি শতাংশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিডিপির পরিসংখ্যান কর্মসংস্থান, কর-জিডিপি এবং রাজস্ব সংগ্রহের পরিসংখ্যানের সঙ্গে মেলে না।
মনসুর বলেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক লুটপাটের কারণে সরকার ও বেসরকারি খাতকে সহায়তা করার সক্ষমতা হারাচ্ছে ব্যাংকগুলো।
নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, আগামী নির্বাচনে সরকারি দলের পরাজয়ের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, 'গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন। গত ৫২ বছরে এই পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। অসাধু ব্যবসায়ী, অসাধু রাজনীতিবিদ ও আমলারা একটি চক্র গঠন করেছে। এই চক্র ভেঙ্গে না দিয়ে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই।’
কবির মনে করেন, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সরকার একদলীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ড. আবদুল মজিদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, আইন-ও-সালিশ কেন্দ্রের ফারুক ফয়সাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
১০ মাস আগে
৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন: এখন পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫৫ জন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের প্রায় ৫০০টি আপিল নিষ্পত্তি করায় গত পাঁচ দিনে মোট ২৫৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন এবং প্রার্থিতা হারিয়েছেন আরও ৪ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি শুরু করে।
ইসি প্রায় ২৬০টি আপিল গ্রহণ করেছে, ২১৩টি আপিল খারিজ করে দিয়েছে এবং ২০টি আপিলের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে।
২৬০টি আবেদন গ্রহণের মধ্য দিয়ে ২৫৫ জন প্রার্থী ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র পেয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও প্রার্থিতা হারিয়েছেন চারজন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: আরও ৬১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করল ইসি
তবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন আবেদন দুটি গ্রহণ করেছে।
রবিবার ৫৬টি, সোমবার ৫১টি, মঙ্গলবার ৬১টি, বুধবার ৪৮টি এবং বৃহস্পতিবার ৪৪টি আপিল গ্রহণ করে কমিশন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ১০০টি আপিলের শুনানিতে ৫২টি আবেদন নাকচ করে চারটি আপিল স্থগিত রাখে ইসি।
শুক্রবার আপিল শুনানি শেষ করবে কমিশন। এর মধ্যে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমর, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ, ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পুনঃতফসিল চেয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের রিট আবেদন
প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তেও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ৫৬১ জন প্রার্থী।
তাদের অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং কমপক্ষে ৩০ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীরা ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যা প্রধান দল বিএনপিসহ কয়েকটি দল বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
১০ মাস আগে
খুলনায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ: পুলিশ
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-১ আসনের বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দাকোপ উপজেলার ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা-৪ আসনের রূপসা উপজেলার ৫৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি, তেরখাদা উপজেলার ৩৬টি এবং একই আসনের দিঘলিয়া উপজেলার ৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা-৫ আসনের ফুলতলা উপজেলার ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি এবং ডুমুরিয়া উপজেলার ৮৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে পাইকগাছা উপজেলার ৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি এবং কয়রা উপজেলার ৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি এবং খুলনা-৩ আসনের ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন ৩১০টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনরক্ষায় জরায়ু মুখের ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা শনাক্তের বিনামূল্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে: আইজিপি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম রয়েছে এবং আমরা জনবল দিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা নির্বাচন-পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এবং তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের নাশকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমাদের গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এবং আপনারা সবাই জানেন যে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত হামলা চালানো হচ্ছে। সব ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইসির কাছ থেকে অপরাধী বা অবৈধ অস্ত্রধারীদের কোনো তালিকা পাইনি, তবে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদাকে দোষী সাব্যস্ত করা নিম্ন আদালতের বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি
বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে আসামিদের অব্যাহতি, সাবেক পেশকারসহ গ্রেপ্তার ৫
১০ মাস আগে
সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬টি অগ্নিকাণ্ডে পোড়ানো হয়েছে ১০টি গাড়ি: ফায়ার সার্ভিস
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলাকালে সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬টি অগ্নিকাণ্ডে ১০টি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের উপ-পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, অবরোধের এই সময়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে একটি গাড়িসহ মোট ১০টি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০
এ সময় পাঁচটি বাস, চারটি ট্রাক ও একটি কাভার্ডভ্যান পুড়ে যায়।
ঢাকা মহানগরী, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, রাজশাহী ও সিলেটে একটি করে এবং নাটোরে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ও ৭৫ জন সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলোর অবরোধ ও হরতাল চলাকালে এ পর্যন্ত ২১৮টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ ঘণ্টায় ১১টি অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
১১ মাস আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক চেয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তদারকির জন্য আগ্রহী আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিদেশি গণমাধ্যমের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসি।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথমার্ধে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, স্বচ্ছতার স্বার্থে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। সমস্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণের জন্য উন্মুক্ত।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব সময় অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং বিশ্বব্যাপী বিদেশি মিডিয়া আমাদের স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আমাদের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং বিদেশি গণমাধ্যমকে ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বরের মধ্যে ‘আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য গাইডলাইন’ অনুসরণ করে আবেদন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং বিদেশি গণমাধ্যমকে আবেদনকরার সময় আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য নির্দেশিকা'র ২.৩, ২.৪, ২.৫, ২.৬ ও ৩.১ ধারা অনুসরণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গাইডলাইন ও সংশ্লিষ্ট ফরম www.ecs.gov.bd পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে: ইসি সচিব
১ বছর আগে
গোপনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না মুখে এমন কথা বললেও, গোপনে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে ডিজিটাল বানিয়েছে, আর বিএনপি সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশে-বিদেশে অপ্রচার চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আহ্বান সালমান এফ রহমানের
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা ১৭৪ ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ-দোহার) আসনের দোহার উপজেলার বিলাসপুরের গনি সিকদার বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রভিত্তিক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সালমান এফ রহমান বলেন, বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে লাভ নেই, বিদেশিরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যা বাস্তবায়নে সরকারও বদ্ধ পরিকর।
তিনি আরও বলেন, তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারে মাধ্যমেই হবে।
এছাড়া, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভয় পেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দোহারের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে জনমানুষের কথা শুনেন সালমান ফজলুর রহমান।
এসময় তিনি দোহারের ২টি ইউনিয়নে কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচনী উঠান বৈঠক ছাড়াও আল আমিনবাজারে ৭টি সেতু এবং বিলাসপুরে ২টি সেতু উদ্বোধন করেন।
এছাড়াও মুকসুদপুরের ঢালারপারে পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নের চিত্র সাধারণ ভোটারদের সামনে তুলে ধরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ঢাকা-১ আসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়: সালমান এফ রহমান
১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান
১ বছর আগে