১ জনের যাবজ্জীবন
ইজিবাইক চালককে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ইজিবাইক চালক বাবুল হোসেন হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২ জন হলেন- ফরিদপুরের খাসকান্দির শহিদ শেখ ও গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুরের নজরুল শেখ। এছাড়া ফরিদপুর গোবিন্দপুর গ্রামের রাব্বি খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় শহিদ উপস্থিত থাকলেও অপর ২ জন পলাতক রয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুর উপজেলার আবু বক্করের ছেলে বাবুল হোসেন একজন ইজিবাইক চালক ছিলেন।
জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২১ মার্চ মোকছেদপুর থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে ফরিদপুরে আসেন বাবুল। পরে ২৩ মার্চ বেড়িবাঁধ এলাকায় বাবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় বাবুলের ভাই দেলোয়ার বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাক্ষী ও শুনানি শেষে আদালত রবিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, ইজিবাইক চালক বাবুল হোসেন হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে
বগুড়ায় শিশু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
পারিবারিক শত্রুতার জেরে বগুড়ায় পাঁচ বছরের শিশু রোমান হোসেন হত্যা মামলায় দুইজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদ। যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামির নাম আব্দুর রাজ্জাক।
আসামিরা বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর দক্ষিণ পাড়া ও ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়া রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকলেও যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি আব্দুর রাজ্জাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অতিরিক্ত পিপি জহুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিশু রোমানের পরিবারের সঙ্গে খালেক ও মাজেদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসবের প্রতিশোধ নিতে তারা শিশু রোমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এ কাজের জন্য আব্দুর রাজ্জাককে আট হাজার টাকা দেন।
আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন আসামি আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদকে মৃত্যুদণ্ড ও আব্দুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করেন এপিপি বিনয় কুমার দাস বিশু ও নাসিম আহমেদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে খালেক ও মাজেদ দুইজন মিলে রোমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ওই শিশুকে এক প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভিতর গুম করে রাখে।
পরে ২৮ আগস্ট রোমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহত রোমানের বাবা মাহবুবুর রহমান শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ একযুগ পর সোমবার এই রায় ঘোষণা করে আদালত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
এ সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোস্তফা ভূঁইয়াকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
তবে রায় ঘোষণার আগে একজন অভিযুক্ত মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে আগেই অব্যাহতি দেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কটিয়াদী উপজেলার মধ্য ভাট্রা গ্রামের মৃত সিন্দু ভূঁইয়ার ছেলে মো. ফোরকান ভূঁইয়া (৪৮), জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো. শাহেদ ভূঁইয়া (৩৪) ও মৃত ধলু ভূঁইয়ার ছেলে মো. এ্যাংগু ভূঁইয়া (৫৮)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একই এলাকার জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো. মোস্তফা ভূঁইয়া (৪৬)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ভাট্টা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মধ্যভাট্টা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন ভূঁইয়াকে রাস্তায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন আসামিরা। তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আনার ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৩০ আগস্ট কটিয়াদী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিজুল হক মিন্টু।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে