৫৫ ঘন্টা পর
দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৫৫ ঘন্টা পর ২ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে দু’টি স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার ৫৫ ঘন্টা পর বিকালে গোপালপুর-মৈনট নৌপথে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর ঝাউকবান্দা এলাকায় পদ্মা নদী থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনীর ডুবরীরা।
যে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন-ফরিদপুর সদরের হাট গোবিন্দপুর এলাকার কাশেম মৃধার ছেলে দাউদ মৃধা (৪৬) ও চরভদ্রাসনের গাজিরটেক ইউনিয়নের তেলিডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা কুদ্দুস খন্দকারের ছেলে রানা খন্দকার (২৩)।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
চরভদ্রাসন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত দুই পরিবারের হাতে লাশ দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে।
৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি স্পিডবোট মৈনট থেকে যাত্রী নিয়ে গোপালপুর ঘাটের দিকে আসছিল।
পাশাপাশি গোপালপুর ঘাট থেকে একটি যাত্রীবিহীন স্পিডবোট মৈনট ঘাটের দিকে যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটের বেঁচে যাওয়া যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, স্পিডবোটে জীবন রক্ষকারী কোনো সরঞ্জাম ছিল না।
এছাড়া স্পিডবোটের চালক তাঁদের লাইফ জ্যাকেটও দেননি।
দুর্ঘটনার দিন সুকুমার হালদার (৬৫) নামে এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ফরিদপুর শহরের গুহ লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা শিশির হালদারের ছেলে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ফরিদপুর দকমল বাহিনীর ছয় সদস্যের একটি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে ঢাকায় অবস্থিত দমকল বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে আরও পাঁচ সদস্যের আরেকটি ডুবরি দল যোগ দেন।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় রবিবার রাতে সিএন্ডবি ঘাট নৌপুলিশের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও নৌকার সংঘর্ষ: নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও বালুভর্তি ট্রলারের সংর্ঘষে আহত ৭, নিখোঁজ ২
১ বছর আগে