রেললাইন উদ্বোধন
খুলনা-মোংলা রেললাইন উদ্বোধন ১ নভেম্বর
বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে চালু হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেলপথ। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ট্রেন চলাচলের জন্য রেললাইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
এর আগে সোমবার (৩০ অক্টোবর) খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেললাইনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করবে। এদিন দুপুরের পর ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত যাবে একটি ট্রেন।
খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসাইন মাসুম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইন এখন পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প: মেয়াদ বাড়ছে ৬ মাস
তিনি আরও জানান, আগামী ১ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিকভাবে এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল হক জানান, রবিবার মোটর ট্রলিতে করে মাইকিং করে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি রেল লাইনের ২ পাশের এলাকাবাসীকে অবহিত করা হয়। যাতে লোকজন সচেতন হতে পারে এবং দুর্ঘটনা না ঘটে।
প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ওই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইন ডিসেম্বরে উদ্বোধন
১ বছর আগে
রূপপুর, শশীদল ও জয়দেবপুর রুটে নবনির্মিত ৩ রেললাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর, শশীদল ও জয়দেবপুর রুটে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সহজ করতে নবনির্মিত তিনটি রেললাইনে একযোগে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৬৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার লাইনের উদ্বোধন করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মাণ করেছে।
নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের এপ্রিলে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল পরিবহনের জন্য এটি একটি ডেডিকেটেড রেললাইন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পের অংশ হিসেবে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে একটি নতুন রেল স্টেশন নির্মিত হয়। এছাড়া ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে রূপপুর প্লান্ট পর্যন্ত সাইডিং ও লুপ লাইনসহ ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।
টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনটি ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রুটে ট্রেনের ট্রিপের সংখ্যা বাড়াতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে। যা বাংলাদেশ রেলওয়ের সমগ্র পশ্চিম জোনকে সংযুক্ত করে।
ভারতের অর্থায়নে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় লাইনটি নির্মাণ করা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের সেকশনগুলো হলো কাশবা থেকে মান্দাবাগ এবং শশীদল থেকে রাজাপুর।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দক্ষতা উন্নয়ন, বিশেষ করে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর: এইচএসসির ফল প্রকাশকালে শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে