নেতা
গাইবান্ধায় ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে আহত ১৩
গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতাকর্মীসহ ১৩ জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে।
গোবিন্দগঞ্জে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে চারমাথা মোড়ে অবস্থিত ফুল মিয়ার দোকানে সিগারেট চাওয়া নিয়ে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মারুফসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্র মামা দল নেতা মারুফ হাসান শিবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
আহতদের মধ্যে পৌর জাসাসের আহ্বায়ক রাশেদ নিজাম রুমেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জালাল মিয়া, পৌর যুব জামায়াতে বাইতুলমাল (অর্থ) সম্পাদক ফুল মিয়া, পৌর ছাত্রদলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশিক সরকারের নাম জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু, আটক ১
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় পৌর শহরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাসাসের নেতাকর্মীরা। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফুল মিয়ার দোকানে ব্ল্যাক ডায়মন্ড সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় মারুফের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায় মারুফ ফোনে বন্ধুদের ডেকে ধারালো ছুরি দিয়ে ফুল মিয়াকে মারতে যান।
এসময় পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও আক্রমণ চালানো হয়। মারুফের ছুরিকাঘাতে ১৩ জন আহত হন।
পরে মারুফ ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা মারুফকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, ছুরিকাঘাতে আহতদের হাত, বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষত হওয়ায় ৮ থেকে ১০টি করে সেলাই দেওয়া হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মারুফকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
২ দিন আগে
বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু এবং কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ২১ আগস্ট ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের পদ স্থগিত করা হয় দলীয় সিদ্ধান্তে।রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২১ আগস্ট ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিএনপির সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল। নির্দেশক্রমে সব পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।’
আগের ঘটনার মতো কোনো সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করে এতে আরও বলা হয়, ‘এখন থেকে দলের নীতি, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠাবান হবেন বলে দল আশা রাখে।’
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট ফরিদপুরের নগরকান্দায় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের আগমনকে কেন্দ্র করে তার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শামা ওবায়েদপন্থিদের সংঘর্ষ হয়। এতে কবির ভূঁইয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। পরে ২৪ আগস্ট নগরকান্দা থানায় নিহতের স্ত্রী মোনজিলা বেগম (৪৪) বাদী হয়ে শামা ওবায়েদকে এক নম্বর আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
৬ দিন আগে
ছাত্রলীগের নেতা সম্রাট ৪ দিনের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ফেনীতে গুলিবর্ষণকারী ছাত্রলীগের নেতা শফিকুল ইসলাম সম্রাটের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত মোস্তারির আদালত তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক হুইপ গিনির রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন সম্রাটের ৭ দিনের রিমান্ড চায়।
শফিকুল ইসলাম সম্রাট ফেনীর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, গুলিবর্ষণের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হামলার সময় তাকে মুখে কাপড় বেঁধে গুলি করতে দেখা যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, সম্রাট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংঘর্ষের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ৬টি হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ৪৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
১ মাস আগে
নেতাদের গাড়িবহর পরিহারের নির্দেশ বিএনপির
জনদুর্ভোগ এড়াতে সাংগঠনিক সফরের সময় দল ও সহযোগী সব সংগঠনের নেতাদের গাগিড়বহর পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘বিএনপি ও দলের সব সহযোগী ও সহায়ক সংগঠনের নেতাদের দলের অধস্তন কোনো শাখায় সাংগঠনিক কাজের উদ্দেশে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল, গাড়ি বা অন্য যানবাহনসহ সব ধরনের গাড়ির বহর পরিহার করতে হবে।’
বিএনপি বলছে, ‘এ সব মোটর বহর সাধারণ মানুষের চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে ভয়ানক বিঘ্ন ঘটায়।’
জেষ্ঠ নেতাদের জন্য মোটর শোভাযাত্রা ব্যবহারের নিন্দা জানানো হয়েছে। কারণ এটি তীব্র যানজট সৃষ্টি করে। এছাড়াও এটি সাংগঠনিক সভা বা দলীয় কর্মীদের সভা বা এমনকি জনসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
বিএনপি যেহেতু জনবান্ধব রাজনৈতিক দল, সেহেতু মোটরসাইকেল বা অন্য যানবাহন নিয়ে মোটরসাইকেল বহর এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কারণ এগুলো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ঐক্য অটুট রাখতে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শুরু
পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন থেকে বিরত থাকুন
বিএনপি তাদের নেতা-কর্মীদের নিজস্ব ছবি সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শনকে অপ্রীতিকর আখ্যা দিয়ে এটি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যা নতুন ধারার রাজনীতি হিসেবে জনগণের আকাঙ্ক্ষায় সাড়া দেওয়ার ইচ্ছার ইঙ্গিত দেয়।
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীকে রঙিন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙিয়েছে।
দলের কিছু অতি উৎসাহী নেতা তাদের ছবি দিয়ে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়াকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দলের শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বারবার আধিপত্যের রাজনীতি করছে ভারত: ফখরুল
২ মাস আগে
মেহেরপুরে ৩৭ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নামে মামলা
মেহেরপুরের গাংনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের রেজানুল হক ইমন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলায় গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী তন্ময়কে প্রধান আসামি করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেকসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
রেজানুল হক ইমন বলেন, ‘মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম গাংনী থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মামলাটি এফআইআরভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের বিপ্লব হোসেন (৩০), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিশিরপাড়া গ্রামের জীবন আকবর (৩০), গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ধর্মচাকী গ্রামের শাহিনুজ্জামান (২৫), চৌগাছা গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা পিন্টু (২৮), গাংনী মাদরাসাপাড়ার রেজাউল হক (২৫), গাংনী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু (৩৮), চৌগাছা গ্রামের যুবলীগ নেতা মিলন (৪০), জালশুকা গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল (২৫), চৌগাছা গ্রামের রকিব (৩৮), থানাপাড়া এলাকার হাবিবুর (২৮), শিশিরপাড়া গ্রামের রমজান আলী (৪৫), বান্টু (৫০), গাংনী বাজারপাড়া এলাকার মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক (৩৭), গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলী, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল, গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক (২২), শিমুলতলা গ্রামের রাশি (৪০), জোড়পুকুর গ্রামের ইমারুল (৪০), ফয়সাল (৪০), খোকন (৪৫), হাসান (৩৮), গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম (৫০), গাংনী বাজারপাড়া এলাকার মনি (৪০), হাড়িয়াদহ গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে ও রাইপুর ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বর) রাজু আহমেদ (৪০), গাংনী উত্তরপাড়া এলাকার সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ও এমপি মকবুল হোসেনের পিএস শাহিদুজ্জামান শিপু (৪০), নওপাড়া গ্রামের ইয়ারুল ইসলাম (৫০) ও মুকুল হোসেন (৪৫), গাংনী র্যাব ক্যাম্পপাড়া এলাকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জল (৪০), চৌগাছা গ্রামের উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম মিয়া (৫৫), মেহেরপুর ভূমি অফিসপাড়া এলাকার তুফান (৫২) সদর উপজেলার বুঁড়িপোতা গ্রামের মো. মামুন (৩৮) ও মো. সুমন (৩৫)।
আরও পড়ুন: এবার কুমিল্লার সাবেক এমপি বাহারের নামে সাংবাদিকের মামলা
নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২ মাস আগে
সোনামসজিদ সীমান্ত থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ ওমর ফারুক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির হাতে আটক এসবিএসি’র সাবেক চেয়ারম্যান
আটক মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং গোদাগাড়ি পৌরসভার জাহানাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওমর ফারুক দুপুর আড়াইটায় সোনামসজিদ ১৮৬ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির কাছে আটক হয়।
আটকের পর তাকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাবেক এমপি এম এ লতিফ আটক
দেশ ছেড়ে পালানোর সময় আটক চট্টগ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা
৩ মাস আগে
জনরোষ থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ, প্রাণ গেল আ.লীগ নেতার
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে হামলা-সহিংসতা শুরু হয়েছে। এর প্রথম ও প্রধান টার্গেট হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। প্রাণে বাঁচতে তারা যে যার মতো করে পালাচ্ছেন বা আত্মগোপনে যাচ্ছেন বলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আত্মরক্ষা করতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেছে চাঁদপুর জেলার আওয়ামী লীগের এক নেতার।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল মজুমদারের (৬৫) বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ভাঙচুর
এসময় জনরোষ থেকে প্রাণে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ঝাঁপ দেন তিনি। তবে সাঁতার না জানায় শেষ রক্ষা হয়নি তার। সেখানেই ডুবে মারা যান তিনি।
স্বজনরা জানায়, রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মোস্তফা কামাল। মঙ্গলবার সকালে তার লাশ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তবে পুলিশ লাশ উদ্বার করেনি, পরে স্বজনরাই তার লাশ পুকুর থেকে তুলে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘সোমবার রাতে উল্লসিত ও উত্তেজিত জনতা তার বাড়ি ও উপজেলার শোরশাক গ্রামের মজুমদার বাড়িতে হামলা করে। আত্মরক্ষার জন্য বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ঝাঁপ দেন মোস্তফা কামাল। তবে সাঁতার না জানায় সেখানেই ডুবে মারা যান তিনি।’
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘খবর জানলেও এই মুহূর্তে আমরা লাশ উদ্বার করছি না, উদ্বার করতে যাবও না। কারণ আমাদের নিজেদের জীবনই এখন অনিশ্চিত।’
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হুইপের বাসা থানাসহ মেয়রের অফিসে হামলায় নিহত ১, আহত ৪০
পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দিল জনতা
৩ মাস আগে
চট্টগ্রামে বিএনপির ৫ নেতার বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ
চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলার এক ঘণ্টা পর বিএনপির চার নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাত ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেহেদীবাগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, পাঁচলাইশে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পূর্ব গেটের কাছে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও বাদশা মিয়া রোডে সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসায় হামলা চালিয়ে আগুন দিয়েছে।
এছাড়াও চট্টেশরী রোডে বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও মীর হেলালের বাসায় হামলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো এই হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। যদিও আওয়ামী লীগ তা অস্বীকার করেছে।
নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বাদশা মিয়া রোডে ড. শাহাদাত হোসেনের বাসায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। পার্কিংয়ে থাকা অন্তত ৭ থেকে ৮টি গাড়িতে আগুন দেয়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাঁচলাইশে মেডিকেলের পূর্বগেটে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর বাসায় এবং রাত পৌনে নয়টায় মেহেদীবাগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসায় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ইদ্রিস আলী।
এসব হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) তারেক আজিজ বলেন, এসব বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নওফেল ও সিটি মেয়র রেজাউলের বাসভবনে হামলা এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
৩ মাস আগে
বিএনপির ২ নেতাসহ ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ গ্রেপ্তার
বিএনপির দুই নেতা, বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিবৃতিতে তিনি আরও জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ব্যারিস্টার আন্দালিবকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে সরকার: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী গ্রেপ্তারের অংশ হিসেবে রাজধানীর পৃথক পৃথক স্থান থেকে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম তেনজিং, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে সানিয়াতকে (রাজনীতিতে জড়িত নয়) গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্প্রতি বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: ২০০০ বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: ফখরুল
৩ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা জয় গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান ইজাজকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জয়কে ঢাকা ও নেত্রকোনা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি কলেজপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক দম্পতি ইয়াকুব আলী ও রোকেয়া বেগমের একমাত্র ছেলে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
হাসান আল ফারাবী জয় গ্রেপ্তারে পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার ভোরে নেত্রকোণার আটপাড়ার কুতুবপুর গ্রাম থেকে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের ভাটপাড়ার একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
জয়ের জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকা এবং হাসান আল ফারাবী জয় খুবই ঘনিষ্ঠ। নিহত আশরাফুর রহমান ইজাজও তাদের সঙ্গে চলাফেরা করত। কলেজপাড়া এলাকায় এককভাবে প্রভাব বিস্তার করত খোকা ও জয়। তবে নিহত ইজাজ কিছু কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করত। এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
ইজাজ ও তার সঙ্গে চলাফেরা করা কয়েকজনকে চরম শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ জুন শহরের আরেকজনের কাছ থেকে খোকা গুলি করা অস্ত্রটি সংগ্রহ করে জয়কে দেয় এবং এজাজকে মারার সুযোগ খুঁজতে থাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাচনের দিন ৫ জুন সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় নির্বাচন শেষে কলেজ পাড়া এলাকায় বিজয় উল্লাস করার জন্য ২০/২৫ জন লোক জড়ো হয় এবং সেখানে খোকা, জয় ও ইজাজও ছিল।
খোকার সঙ্গে কোনো একটা বিষয় নিয়ে ইজাজের তর্ক বির্তকের মাঝেই জয় তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে ইজাজকে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মো. ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশেষ শাখা জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ২৯৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ২
৫ মাস আগে