যন্ত্রপাতি
শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের যন্ত্রপাতিতে ভ্যাট অব্যাহতি দিল সরকার
সরকার বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবেশগতভাবে টেকসই অনুশীলনের উন্নয়নে শিপ-রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম করসহ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতি দিয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আদেশে বলা হয়, সরকার ২০২৫ সালের ২৬ জুনের মধ্যে সব শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে বদ্ধপরিকর।
এই রূপান্তর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জনে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত সময়ের পরে বাংলাদেশে রিসাইক্লিং করার জন্য জাহাজ আমদানি নিষিদ্ধ হবে।
ফলে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নম্বর আইন) এর ১২৬ ধারার উপধারা (৩) অনুযায়ী মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অব্যাহতির শর্তাবলি
আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতি কেবল জাহাজ ভাঙা এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইয়ার্ডগুলোর বিকাশের জন্য ব্যবহার করতে হবে।
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় আমদানিকারকদের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে যন্ত্রপাতিটি কেবল এই উদ্দেশে ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট ছাড় ঘিরে অনিশ্চয়তা
এনবিআর সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে, রেয়াতি মূল্যে আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি আমদানির পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। এ সময়ের আগে কোনো যন্ত্রপাতি বিক্রি বা স্থানান্তর করা হলে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) ছাড় প্রত্যাহার করা হবে এবং অগ্রিম করসহ প্রযোজ্য সব কর পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা উভয়ই জাহাজ ভাঙা ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে এককভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নির্ধারিত পাঁচ বছরের মধ্যে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হয়নি- তা নিশ্চিত করতে কমপ্লায়েন্স তদারকি করবেন।
এছাড়া আমদানিকারকদের ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর না করার অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। ছাড়পত্রের সময় এই অঙ্গীকারনামা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমাল সরকার
১ সপ্তাহ আগে
মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে জাহাজ
মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় পানামার পতাকাবাহী এমভি ফিনিক্স কোরাল নামে জাহাজটি বন্দরের ৮নং জেটিতে নোঙ্গর করে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
জাহাজটিতে ১৯৪ দশমিক ৫১০ মেট্রিক টন ওজনের যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে বলে জানা গেছে। রাত থেকেই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এম শাহিন মজিদ জানান, এমভি ফিনিক্স কোরাল নামের জাহাজটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাপানের কোবে বন্দর থেকে মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
জাহাজটিতে ১৯৪ দশমিক ৫১০ মেট্রিক টন ওজনের যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে। গত বছরের ২৮ মার্চ মেট্রোরেলের প্রথম চালান মোংলা বন্দরে আসে।
মেট্রোরেলের সব মালামাল মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি কর হয়। এরপর জেটিতে খালাস করে মালামাল পরিবহন করা হয়।
এমভি ফিনিক্স কোরাল জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানি সূত্র জানায়, রাতেই জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজ শুরু হবে। এরপর এসব যন্ত্রপাতি ঢাকায় পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ
পিরোজপুরে ১৪০০ টন ডাল নিয়ে টিসিবির জাহাজ অর্ধনিমজ্জিত
১ বছর আগে
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে আমরা নানা রকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, এসব যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত। তা না হলে চিকিৎসা সেবায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) এটিএসিএইচ’র আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ: সাপ্লাই চেইন’- বিষয়ক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিগত দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন ও জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি কেনা, সাপ্লাই এবং ব্যবহারের কথা বলে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে বিজ্ঞানসম্মত এবং যেসব যন্ত্রপাতি জলবায়ুর ক্ষতি করে না সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও ও এটিএসিএইচকে জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি সাপ্লাই এবং হাসপাতাল বিনির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
পরে বিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘স্যালিনিটি কিউসড বাই ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইটস ইম্পেক্ট অন এনসিডিএস অ্যান্ড এসআরএইচআর ’-শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা এবং এর প্রভাবে এসব এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন।
এছাড়া, এর প্রভাবে গর্ভবতী মায়েদের নানা রকম সমস্যা হয়, যার কারণে কোস্টাল এলাকায় মাতৃমৃত্যু বেড়ে যায় বলে জানান।
এ অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবর্তন, বিশেষ করে লবণাক্ত বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর ফলে নানা ধরনের রোগ বৃদ্ধি হওয়ার কথাও বর্ণনা করেন তিনি।
বিশেষ করে অসংক্রামক রোগ এবং মহিলা ও নারীদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে তার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ এবং পরবর্তী পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ স্মরণ করিয়ে দিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপকূলীয় এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে এবং এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশের সুইডেন অ্যাম্বাসির ফার্স্ট সেক্রেটারি ডেনিয়েল নোভাক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন মিস খুশবু পাওডেল, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, আইপাস, নেপাল, এবং ডা. হুসাইন রশিদ, আঞ্চলিক উপদেষ্টা, ওয়াশ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সচিব স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
প্রতি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোর প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে আরও সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের আশ্বাস প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
স্বপ্নের ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মাণ শেষ পর্যায়ে
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম নির্মিত হল স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল (সুড়ঙ্গ সড়ক)। নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্তমান সরকারের অন্যতম এ মেগা প্রকল্প শেষ হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের প্রায় ৭৩ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। করোনাকালেও টানেল নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলেছে। একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি কর্মযজ্ঞ।
টানেলের প্রথম টিউবের ভেতরে গাড়ি চলাচলের জন্য পিচঢালা রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় টিউব তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে পতেঙ্গা প্রান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ এই চ্যানেলের খননকাজ শেষ হয়। পূর্ব ঘোষণা অনু্যায়ী, চ্যানেলটির মুখ খুলে দেয়া হচ্ছে আজ শুক্রবার।আগামী বছরের শেষ নাগাদ বহুল প্রত্যাশার এই টানেলের ভিতর দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সেতুতে টানেল নির্মাণে সমীক্ষা চলছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এই টানেল দিয়ে প্রথম বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে। কয়েক বছরের মধ্যে গাড়ি চলাচলের পরিমাণ ১ কোটি ৪০ লাখে পৌঁছবে। এসব গাড়ির প্রায় ৫১ শতাংশ কন্টেইনারবাহী ট্রেইলর, বিভিন্ন ধরণের পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। বাকি ৪৯ শতাংশের মধ্যে ১৩ লাখ বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস। ১২ লাখ কার, জিপ ও বিভিন্ন ধরনের ছোট গাড়ি।তিন দশমিক ৪০ কিলোমিটার মূল টানেলের সঙ্গে উভয় প্রান্তে পাচঁ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হচ্ছে। নদীর তলদেশে এর গভীরতা হবে ১৮ থেকে ৩১ মিটার। চারলেনের টানেলে দুটি টিউব থাকছে। টানেলের ভেতরে দুটি টিউবে ওয়ানওয়ে গাড়ি চলবে। একটি দিয়ে শহর থেকে আনোয়ারামুখী গাড়ি যাবে, অপরটি দিয়ে আনোয়ারা থেকে শহরমুখী গাড়ি আসবে। একটি টিউব ১০ দশমিক ৮ মিটার বা ৩৫ ফুট চওড়া এবং উচ্চতায় হবে ৪ দশমিক ৮ মিটার বা প্রায় ১৬ ফুট।জানা যায়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আনোয়ারা প্রান্ত থেকে টানেলের দ্বিতীয় টিউব নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথম টিউব থেকে ১২ মিটার দূরে নির্মাণ করা হয়েছে দ্বিতীয় ও শেষ টিউবটি। মাটির ১৮ মিটার থেকে ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে যাবে টানেল বোরিং মেশিন। এছাড়া টানেলের শক্ত দেয়াল হিসেবে ২০ হাজারের বেশি সেগমেন্ট স্থাপন করা হবে দুটি টিউবে।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেই কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ‘যুগান্তকারী’ সাফল্যচীনের জিয়াংসু প্রদেশের জিংজিয়ান শহরে টানেলের সেগমেন্টগুলো তৈরি হচ্ছে। চীন থেকে সেগমেন্টসহ আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র আনার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি সেগমেন্ট স্থাপন করে প্রথম টিউব তৈরি করা হয়েছে।কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে সড়ক তৈরির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে টানেলের পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্ত পর্যন্ত একটি টিউবের নির্মাণ আগেই শেষ হয়েছে। আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আরেকটি টিউবের কাজও গতকাল শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের একটি ইতিবাচক দিক হলো, এর মেয়াদ ও ব্যয় বাড়াতে হয়নি। নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ হচ্ছে। তবে আগেও শেষ হয়ে যেতে পারে।প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, কাজের গতি বাড়াতে জনবল ও যন্ত্রপাতি বাড়ানো হয়েছে। দ্রুতগতিতে চলছে কাজ। প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হচ্ছে। আগামী বছরের শেষ দিকে যাতে টানেল দিয়ে গাড়ি চলাচল করে, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রায় ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে দুই সুড়ঙ্গের খননকাজই ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। সুরঙ্গ খনন শেষ হওয়ায় আনুসাঙ্গিক বাকি কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে বলে আশাবাদী তারা।এর আগে গত ৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, নির্মাণকাজ শেষে আজ শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় চ্যানেলের মুখ খুলে দেওয়া হবে। আগেই টানেলের প্রথম চ্যানেলের মুখ খুলে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার মধ্যরাতের মধ্যে দুই চ্যানেলেরই নির্মাণকাজই শেষ হবে। এ সময় তিনি আরও জানান, আগামী বছরের ২২ ডিসেম্বর টানেল চালুর কথা ছিল। এখন মনে হচ্ছে এরও আগে এটা চালু করতে পারব।
আরও পড়ুন: টানেলের মাধ্যমে উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করল বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রীএদিকে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পে দ্রুতগতিতে চলছে আনোয়ারা অংশের সংযোগ সড়কের কাজ। সড়ক ও টানেলকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার মানুষ। কর্ণফুলীর শিকলবাহা ওয়াই জংশন (ক্রসিং) থেকে আনোয়ারা কালাবিবির দীঘি পর্যন্ত সড়কটি ৬ লাইনে প্রশস্ত হচ্ছে। বর্তমানে দুই লাইনের ১৮ ফুটের সড়কটি হবে ১৬০ ফুট। সাড়ে ১১ কিলোমিটার এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ২৯৫ কোটি টাকা।মূলত কর্ণফুলীর তলদেশে বাস্তবায়নাধীন টানেলের সংযোগ সড়ক হিসাবে ব্যবহার ও গাড়ির অতিরিক্ত চাপ সামলানোর জন্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে প্রশস্ত এই সড়ক বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর চিত্র।আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু টালেন বড় প্রকল্প। এটির কাজ শেষ হলে আনোয়ারার মানুষ উপকৃত হবে। তেমনি উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষদেরও।তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বড় পর্যটনকেন্দ্র পারকি সমুদ্র সৈকত। সৈকতের পর্যটকদের জন্য যদি টালেন সড়ক ব্যবহারের জন্য একটি সংযোগ সড়ক করে দেয়া যায়, তবে ঢাকাগামী পর্যটকদের সৈকতে আসা সহজ হবে।
আরও পড়ুন: আগামী জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হবে: সেতুমন্ত্রী
৩ বছর আগে
টাকা বরাদ্দ থাকলেও ওষুধ কেনা হয়নি, সংকটে যশোর ২৫০ শয্যার হাসপাতাল
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সার্জিক্যাল মালামাল ক্রয়ের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। ফলে হাসপাতালে ওষুধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
৪ বছর আগে