বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে আ.লীগ: বিএনপি
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, শনিবার দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে ৪৩ জেলায় তাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচির নামে সহিংসতা উসকে দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনে আতঙ্কিত হওয়ায় ক্ষমতাসীনরা পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: মোশাররফ
মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ যে কোনো দিন বিরোধীদের প্রতিবাদ না করে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে। আমরা যেদিন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করি সেদিন তাদের কর্মসূচি দিতে হবে কেন? এটা প্রমাণ করে যে, সরকার ব্যর্থতা ও অপকর্ম ঢাকতে নারাজ হওয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
তিনি বলেন, তাদের দল শান্তিপূর্ণভাবে জনসাধারণের ইস্যুতে আন্দোলন করছে। সরকার যেভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে তা জনগণ মেনে নেবে না।
শনিবার সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের মার্চ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের হামলা ও বাধার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিরোধীরা যে কোনো সড়ক কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ ‘শান্তি মিছিল ও শান্তি সমাবেশ’ করছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলেছেন, নির্বাচন পর্যন্ত বছরব্যাপী কর্মসূচি দেবেন।
আমি আওয়ামী লীগ নেতাকে অনুরোধ করতে চাই যে আপনারা অনুগ্রহ করে এখনই আপনার কর্মসূচির সময়সূচি ঘোষণা করুন যাতে আমরা পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদ স্থানে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে পারি।
কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি আমাদের কর্মসূচি ঘোষণার পর পাল্টা কর্মসূচি দেয়, তাহলে বুঝতে হবে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সরকার আমাদের ওপর হামলা করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
মোশাররফ বলেন, শনিবার সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, ফেনী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, মানিকগঞ্জ, নোয়াখালী, ঝালকাঠি, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নেত্রকোণা, বরগুনা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ ৪৩ জেলায় তাদের দলের নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও, নাটোর, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ভোলা, বরিশাল, খুলনা, লক্ষ্মীপুর, নরসিংদী, মাগুরা, যশোর, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা, পঞ্চগড়, কক্সবাজার, পাবনা, রংপুর, লালমনিরহাট, নওগাঁ ও চট্টগ্রাম।
তিনি দাবি করেন, ওই হামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং শনিবার বিরোধী দলের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মোশাররফ বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ বিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে বিপুল অংশগ্রহণে তাদের ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য তিনি জনগণকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১০
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৩৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
১ বছর আগে