খালের জায়গা
সুনামগঞ্জের পাঁচ খালের দখলদার উচ্ছেদের নির্দেশ
সুনামগঞ্জ শহর এলাকার মধ্যে প্রবাহিত তেঘরিয়া, বড়পাড়া, কামার, বলাইখালী এবং নলুয়খালী খালের সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাঁচটি খালের দুই-পাড়ের দখলদারদের পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত ও তাদের খালের জায়গা থেকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
ছয় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ধর্ম অবমাননা মামলা: সিলেটে হিন্দু মহাজোটের নেতা রাকেশ রায়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড
আদালতে বেলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী হাসানুল বান্না।
রুলে অননুমোদিত দখল থেকে পাঁচটি খাল রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন আইন বহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে খালের বিদ্যমান সকল দখলদার ও ক্ষতিকর স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালসমূহ রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদেশ নিশ্চিত করে বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুনামগঞ্জ শহরের পানি নিষ্কাশনে অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে খালগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিল।
সম্প্রতি খালগুলো দখল করে গড়ে উঠেছে স্থাপনা, রাস্তা ও সরকারি অফিস। ফলে খালগুলো সরু নালাতে পরিণত হয়েছে।
অব্যাহত দখলের কারণে কোথাও কোথাও খালগুলো প্রায় নিশ্চিহ্ন হবার শঙ্কায় রয়েছে। শহরের পানি নিষ্কাশন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে শহরের জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।
এমন অবস্থায় সুনামগঞ্জ শহরবাসীর অনুরোধে তেঘরিয়া, বড়পাড়া, কামার, বলাইখালী এবং নলুয়াখালী খাল দখলমুক্ত করে যথাযথ সংরক্ষণে বেলা এ রিট মামলা দায়ের করে।
মামলার বিবাদীরা হলেন-ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানি সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ মোট ১৩ জন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মামলায় সেই বিচারকের হাইকোর্টে জামিন
দ্বৈত নাগরিকদের দেশপ্রেম দুভাগে বিভক্ত: হাইকোর্ট
১ বছর আগে