বিরল প্রজাতি
ভোলায় বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ডিম পাড়তে এসে কাদার চরে আটকে থাকা অবস্থায় প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি অলিভ রেডলে প্রজাতির সামুদ্রিক মা কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জসংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরবর্তী কাদা চর থেকে কচ্ছপটি উদ্ধারের পর প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়। এ নিয়ে গত ২১ দিনের ব্যবধানে একই প্রজাতির মোট তিনটি সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার করে মেঘনা নদীতে অবমুক্ত করে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: কলাপাড়ায় ৪৮টি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার, খালে অবমুক্ত
মনপুরা বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকার পূর্ব দিকে মেঘনা নদীর তীরবর্তী স্থানে চরে আটকে পড়া অবস্থায় স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা কচ্ছপটিকে উদ্ধার করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় হাজির হাট ইউনিয়নের চর জামশেদ এলাকার জংলার খালের পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদীতে সুস্থ অবস্থায় কচ্ছপটিকে অবমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: মনপুরায় ৪০ কেজি ওজনের কচ্ছপ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, মনপুরায় ২১ দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে পর পর তিনটি অলিভ রেডলে প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
৯ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে বিলুপ্তপ্রায় একটি বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১৮ জুন) উপজেলার হোসেনগাঁও নিয়াপাড়া গ্রামের স্থানীয় আব্দুল বারেকের বাড়ি থেকে প্রাণীটি উদ্ধার করে রানীশংকৈল বনবিভাগের কর্মকর্তা।
পরদিন বীরগঞ্জ বন সার্কেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
সূত্র জানায়, আব্দুল বারেক তার বাড়ির একটি ঘরে গত শনিবার রাতে হঠাৎ করে বিরল প্রজাতির একটি প্রাণিকে দেখতে পায়। প্রথমে এটিকে মেছো বাঘ ভেবে আতঙ্কে পড়ে যায় বারেকের পরিবার। পরদিন বাড়ির সকলে মিলে এটিকে কৌশলে ধরে লোহার শিকল দিয়ে পা বেঁধে রাখে।
রবিবার রাণীশংকৈল বনবিভাগের কর্মকর্তা শাহাজাহান আলীকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে এটিকে বিলুপ্তপ্রায় গন্ধগোকুল প্রাণি হিসাবে শনাক্ত করেন।
এদিন বিকালে তারা প্রাণিটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন এবং এটিকে বীরগঞ্জ বন সার্কেলের কাছে হস্তান্তর করেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা শাহাজাহান আলী বলেন, গন্ধগোকুল একটি অরক্ষিত প্রাণি। এরা নিশাচর।
তিনি বলেন, মূলত এরা ফল খেকো হলেও কীটপতঙ্গ ও শামুক খেয়ে জীবনযাপন করে। এছাড়াও এরা ইঁদুর খেয়ে ফসলের উপকার করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিটিকে সুরক্ষিত অবস্থায় বীরগঞ্জ বন সার্কেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সিংড়া বনায়নে এটিকে অবমুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খাবারের খোঁজে ৩ তলা ভবনে গন্ধগোকুল!
ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার
১ বছর আগে
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ডলফিন (গাঙ্গেয় শুশুক)। রবিবার সকালে যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার উমারপুর এলাকায় জেলেদের জালে ডলফিনটি ধরা পড়ে।
ডলফিনটির ওজন প্রায় ২১ কেজি। এ ডলফিন দেখতে এলাকার নারী পুরুষেরা ভিড় জমায়।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকায় জেলেদের জালে ওই ডলফিন ধরা পরার পর স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী তিন হাজার টাকায় ডলফিনটি কিনে নেয় এবং একই এলাকার নৌকা ঘাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এ প্রাণীটি এখন প্রায় বিপন্ন। এরা দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের এবং এদের প্রধান খাদ্য ছোট মাছ। বিপন্ন প্রায় প্রাণীর শিকার বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষের অজ্ঞতায় নির্বিচারে প্রতিদিন অসংখ্য বিরল ও উপকারী প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
ডলফিন অত্যন্ত উপকারী ও নিরীহ একটা প্রাণী। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর গুরুত্ব অনেক।
এছাড়া ডলফিনকে বলা হয় উপকূলীয় প্রতিবেশের প্রহরী।
তবে স্থানীয় মৎস্যবিদ বলছেন, নদীর মিলনস্থল, নদীর মোড় এবং নদীর গভীর অংশে এ প্রাণী বেশি দেখা যায়।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে জেলেদের জালে বিরল প্রজাতির এ ডলফিন ধরা পড়েছে বলে জানতে পেরেছি।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে সচেতন হতে হবে। যমুনায় নির্বিচারে প্রাণীহত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দেয়া হবে এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে বলে।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
১ বছর আগে