হাজারো মানুষ
কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
সোমবার বিকেলে কারফিউ উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন।
তাদের অনেকে আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দুপুর সোয়া ২টার দিকে বনানী পার হয়েছেন শাহবাগে জমায়েত হতে।
মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, উত্তরা, ধানমন্ডি, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ অভিমুখে রওনা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠেছে ঢাকার রাস্তা।
অনেক সড়কে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে পুলিশকে।
তবে হাজিোড়া, মিরবাগ ও ওয়াপদা সড়ক থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
৩ মাস আগে
কুড়িগ্রামে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়
কুড়িগ্রামে ধরলা ব্রিজ পাড়ে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা সেতু পাড়ে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে নৌকা বাইচ খেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে নানান বয়সী ও বিভিন্ন পেশার মানুষজন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
খেলার আয়োজক কমিটি জানান, এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ২২টি নৌকা অংশ নেয়। তিনদিনব্যাপী এ খেলায় প্রথম পুরস্কার একটি মহিষ, দ্বিতীয় পুরস্কার গরু এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে রয়েছে একটি ফ্রিজ।
নৌকাবাইচ দেখতে আসা মো. ফেরদৌস মিয়া বলেন, দীর্ঘ সাত বছর পর নৌকা খেলা দেখতে পেলাম। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে এ খেলা দেখার মজাই আলাদা। আমি চাই প্রতি বছর এই নৌকা খেলা চালু হোক। গ্রাম বাংলার অতীত ঐতিহ্য আবার ফিরে আসুক।
আরও পড়ুন: তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
ছাত্রলীগের মহাসমাবেশ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজারো মানুষের সমাগম
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) তাদের মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন।
এদিন দুপুরে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি প্রতিনিধি জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনটির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর ঢল নামে সমাবেশস্থলে।
অনেকেই সারাদেশ থেকে ট্রেন ও বাসে করে রাজধানীতে এসেছেন। জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
দলের সদস্যরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা সরকার-বার বার দরকার প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সড়ক ও রাস্তায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ছাত্রলীগ নেতারা উদ্যান মাঠে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করেন এবং আড়াই শতাধিক লাউডস্পিকার স্থাপন করেন।
জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আকস্মিক বৃষ্টি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগ দেওয়া থেকে থামাতে পারেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনা দেবেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালিউর রহমান এনান ইউএনবিকে জানান, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটিই হবে সবচেয়ে বড় সমাবেশ এবং সমাবেশ সফল করতে তারা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশপাশে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শাহবাগ, পল্টন, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, পরীবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগত নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মরণে মহাসমাবেশ করছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর সমাবেশে ৫ লাখ সমাগমের ঘোষণা ছাত্রলীগের
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
১ বছর আগে
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় বেঁচে যাওয়া হাজারো মানুষ
এক সপ্তাহ আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া কয়েক হাজার মানুষ নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
যদিও অনেককে বিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তবে অনেকেই এখনও নিজেদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িতেই অবস্থান করছেন এবং নিখোঁজ প্রিয়জনের সন্ধান অব্যাহত রেখেছেন।
উদ্ধারকারীরা প্রথম ভূমিকম্পের ১৭৪ ঘন্টা পরে একজন নারীকে জীবিত খুঁজে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়াল
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ ও ৭ দশমিক ৫ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ ভূমিকম্পে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার অশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার ইস্তাম্বুলের আন্তাকিয়া শহরের একটি ধসে পড়া ভবন থেকে উদ্ধারকারীরা নাইদে উমায় নামে এক নারীকে উদ্ধার করেন।
এর আগে, গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের ইসলাহিয়ে শহরে একটি পাঁচতলা ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে ৪০ বছর বয়সী এক নারীকে এবং আদিয়ামান প্রদেশের বেসনিতে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার এক সপ্তাহ পরেও, অনেক মানুষ এখনও আশ্রয়হীন অবস্থায় রাস্তায় দিন কাটাচ্ছে। কিছু জীবিত ব্যক্তি এখনও তাদের প্রিয়জনের লাশ উদ্ধারের জন্য ধসে পড়া ভবনের সামনে অপেক্ষা করছেন।
মালটায়া প্রদেশের পোলাট গ্রামে ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) দূর পর্যন্ত প্রায় কোনও বাড়িই অবশিষ্ট নেই।
বাসিন্দারা ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ি থেকে রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জেহরা কুরুকাফা বলেছেন, পর্যাপ্ত তাঁবু আসেনি, তাই যা পাওয়া গেছে তাই-ই চারটি পরিবার ভাগ করে নিতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চারটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে মাটিতে ঘুমাই, কারণ পর্যাপ্ত তাঁবু নেই।’
আদিয়ামান শহরে ২৫ বছর বয়সী মুসা বোজকার্ট তাকে এবং অন্যদের পশ্চিম তুরস্কের আফিয়ন শহরে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন।
বোজকার্ট বলেন, ‘আমরা চলে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা সেখানে যাওয়ার পর আমাদের কী হবে তা আমরা জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোন লক্ষ্য নেই। আমার বাবা-চাচা কেউ বেঁচে নেই। আমার আর কি বাকি আছে।’
আদিয়ামানের কৃষক ফুয়াত একিনসি (৫৫) ধ্বংস হওয়া সত্ত্বেও তার বাড়ি ছেড়ে যেতে অনিচ্ছুক।
তিনি বলেন, তার অন্য কোথাও বসবাস করার উপায় নেই এবং তার খেতগুলো দেখাশোনা করা দরকার।
আরও পড়ুন: তুরস্কে আরও একজনকে জীবিত উদ্ধার করল বাংলাদেশ দল, ৯ জনের লাশ পুনরুদ্ধার
তিনি বলেন, ‘যাদের সামর্থ্য আছে তারা চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা দরিদ্র। সরকার সেখানে গিয়ে এক-দুই মাস বাস করতে বলছে। আমি কিভাবে আমার বাড়ি ছেড়ে যাব? আমার খেত এখানে, এটা আমার বাড়ি, আমি কিভাবে এটা রেখে যাব?’
তুরস্ক জুড়ে স্বেচ্ছাসেবকরা কয়েক লাখ জীবিত মানুষকে সাহায্য করার জন্য একত্র হয়েছে। যার মধ্যে একদল স্বেচ্ছাসেবক শেফ এবং রেস্তোরাঁর মালিকরা ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন- মটরশুটি, চাল ও মসুর ডালের স্যুপ শহরের কেন্দ্রস্থলে আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য পরিবেশন করছেন।
যদিও স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।
তবে মেক্সিকো ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এডুয়ার্ডো রেইনোসো অ্যাঙ্গুলো বলেছেন, জীবিত মানুষ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ‘এখন খুব কম।’
রেইনোসো বলেছেন, ধ্বংসাবশেষে আটকে থাকা লোকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা পাঁচ দিন পরে কমে যায় এবং ৯ দিন পরে তা শূন্যের কাছাকাছি নেমে আসে, যদিও ব্যতিক্রম কিছু ঘটতেও পারে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জরুরি পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অধ্যাপক ডেভিড আলেকজান্ডারও রেইনোসোর সঙ্গে একমত হয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে জীবিত উদ্ধারের আশা ‘প্রায় শেষ’।
আলেকজান্ডার বলেন, অনেক বিল্ডিং এতটাই বাজেভাবে তৈরি করা হয়েছিল যে সেগুলো খুব ছোট ছোট টুকরোয় ভেঙে পড়েছিল, খুব কম জায়গাই মানুষের বেঁচে থাকার মতো যথেষ্ট জায়গা ছিল।
তিনি বলেন, ‘সাধারণভাবে বলতে গেলে আমরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খোলা জায়গা খুঁজে পাই, যেখানে আমরা সুড়ঙ্গ করতে পারি। তবে তুরস্ক ও সিরিয়ার এই ছবিগুলোর মধ্যে কয়েকটির দিকে তাকালে আমরা এমন কোনো জায়গা দেখতে পাইনি।’
শীতকালীন তাপমাত্রা দুর্ঘটনাকবলিত মানুষদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আরও কমিয়ে দিয়েছে। এই অঞ্চলের তাপমাত্রা রাতারাতি মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এ নেমে গেছে।
ভার্জিনিয়া টেকের ইমার্জেন্সি মেডিসিনের অধ্যাপক ড. স্টেফানি লারেউ বলেছেন, ‘হাইপোথার্মিয়া থেকে শরীরকে বাঁচিয়ে রাখার সাধারণ উপায় হল কাঁপুনি এবং কাঁপুনির জন্য প্রচুর ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। ‘সুতরাং জীবিত কেউ যদি এতদিন খাবার না খেয়ে থাকে এবং এতটা শীতল তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকে, তবে তারা হয়তো হাইপোথার্মিয়াতে আরও দ্রুত মারা যাচ্ছে।’
তুরস্কের বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের জন্য অনেকেই ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাঠামোকে দায়ী করেছেন এবং কর্তৃপক্ষ ধসে পড়া ভবনের সঙ্গে জড়িত কন্ট্রাক্টরদের শনাক্ত করা শুরু করেছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ভূমিকম্প অসহনশীল ভবন নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১৩১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তুরস্কে ভবন নির্মাণের জন্য নির্মাণ কোড থাকলেও কোডগুলো খুব কমই মানা হয়।
সিরিয়ায় জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাহায্য প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে।
রবিবার তুর্কি-সিরিয়ান সীমান্ত পরিদর্শন করে গ্রিফিথস বলেন, সিরিয়ানরা ‘আন্তর্জাতিক সাহায্যের সন্ধান করছে, যা আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার জনগণকে সাহায্য করতে ব্যর্থ হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এবং আমাদের দায়িত্ব হল এই ব্যর্থতা যত দ্রুত সম্ভব সংশোধন করা।’
হোয়াইট হেলমেট উদ্ধারকারী গ্রুপের মতে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ১৬৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়াল, তুরস্কে ঠিকাদার আটক
সিরিয়ায় সামগ্রিক মৃত্যুর সংখ্যা শনিবার তিন হাজার ৫৫৩ জনে পৌঁছেছে। যদিও দেশের সরকার-নিয়ন্ত্রিত অংশগুলোতে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ৩৮৭ জনের বেশি আপডেট করা হয়নি। রবিবার পর্যন্ত তুরস্কের মৃতের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৬৪৩।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস সতর্ক করে বলেছেন, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিপর্যয় আরও বাড়বে। যুদ্ধ, করোনা, কলেরা, অর্থনৈতিক পতন এবং এখন ভূমিকম্পের জটিল সঙ্কট এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
১ বছর আগে