ইওয়ামা কিমিনোরি
বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে ৪৪তম ওডিএ ইয়েন ঋণচুক্তি সই
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান মঙ্গলবার বাংলাদেশে জাপানের ৪৪তম অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) ইয়েন ঋণের নোট বিনিময়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
৪৪তম জাপানি ইয়েন লোন প্যাকেজের প্রথম কিস্তি হল ৩০ বিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ২০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তির ভিত্তিতে জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইশিগুচি তোমোহিদে এবং শরীফা খান প্রাসঙ্গিক ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি আজকে ৪৪তম জাপানিজ ইয়েন লোন প্যাকেজ সংক্রান্ত নোটের বিনিময়ে স্বাক্ষর করতে পেরে আনন্দিত।’
ঋণ প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ‘জনগণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার জন্য উন্নয়ন নীতি ঋণ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময়, প্রধানমন্ত্রী কিশিদা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি নতুন বাজেট সহায়তা ঋণ বিবেচনা করার আশ্বাস দেন এবং এর ভিত্তিতে জাপান সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দ্রুত ঋণ অনুমোদন করে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, ‘আমি আশা করি এটি বাংলাদেশ সরকারকে বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে অবদান রাখবে।’
আরও পড়ুন: কৌশলগত অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়তে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি
বাংলাদেশ ও জাপান 'বিস্তৃত ও লক্ষ্যভিত্তিক' অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করছে: রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, দেশটির প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করতে তিনি জাপানি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য উৎসাহিত করবেন।
বুধবার স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নে আরও সম্পৃক্ত হতে চায় জাপান।
রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বেশ কিছু জাপানি কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
নারায়ণগঞ্জ শহর এবং জাপানের নারুতো শহরের মধ্যে মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি শহরভিত্তিক অংশীদারিত্ব চুক্তি হতে পারে যা উভয় শহরকে উপকৃত করবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে: ডেরেক শোলে
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ শ্রমিক চায় জাপান।
তিনি উল্লেখ করেন, অবকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপান বিনিয়োগ বাড়াবে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
তাজুল ইসলাম তথ্য ও প্রযুক্তি এবং সাংস্কৃতিক খাতে সহযোগিতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তারা জাপানের সহায়তায় বাংলাদেশে চলমান বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলেন।
তারা উভয়েই উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা জোরদারের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর
১ বছর আগে
বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জন্য ৫.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান
বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসান চরে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়ন এবং আশ্রয়কেন্দ্রের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায় (আইওএম) ৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার।
সোমবার বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন আবদুসাত্তর এসোয়েভ এ সংক্রান্ত একটি এক্সচেঞ্জ অব নোটস (দ্বিপক্ষীয় বেসরকারি চুক্তি) সই করেছেন।
এসময় বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, জাপান রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনসহ টেকসই সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত জীবনযাত্রার জন্য আইওএম-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, এই সংকটে টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা আমাদের জন্য একটি মুক্ত এবং স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিকের ধারণার জন্য সহায়ক হবে।’
ইওয়ামা আশা প্রকাশ করেন যে জাপান সরকারের সহায়তা রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক উভয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে চিনি শিল্প, বায়োমাস বিদ্যুৎ ও প্রিপেইড গ্যাস মিটারে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান
তিনি বলেন, ‘গত মাসে আমার শেষ কক্সবাজার সফরের সময় আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্রসহ আইওএম-এর পরিশ্রমী প্রচেষ্টায় আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম।
এসোয়েভ বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের ষষ্ঠ বছরে চলছে; আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই দুর্বল জনগোষ্ঠীকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়, তারা এখনও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাপান সরকারের কাছে তাদের অব্যাহত সহায়তার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, যা আইওএম বাংলাদেশকে কক্সবাজার এবং ভাসান চরে দুর্বল রোহিঙ্গা ও হোস্ট সম্প্রদায়কে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দিতে সাহায্য করবে। এই সহায়তা আরও ভাল বসতি, সুরক্ষা এবং জীবিকার সুযোগ প্রদান নিশ্চিত করবে।’
ঢাকায় জাপান দূতাবাস সোমবার বলেছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়গুলো পর্যাপ্ত আশ্রয়ের অভাবের কারণে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন; যেখানে তাদের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মর্যাদা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এছাড়াও ভাসান চরে জীবিকার সুযোগ যেমন- অ্যাকুয়াকালচার, ছোট গবাদি পশু পালন, বৃত্তিমূলক এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ আরও বাড়াতে হবে।
এতে বলা হয়, ‘দ্য প্রজেক্ট ফর প্রমোটিং শেল্টার আপগ্রেড এন্ড কমিউনিটি বিল্ডিং ইন ভাসান চর এন্ড কক্সে’স বাজার ডিস্ট্রিক্ট’-শিরোনামের প্রকল্পটি কক্সবাজার ক্যাম্প এবং হোস্ট সম্প্রদায়ের ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থান, সুরক্ষা এবং মনোসামাজিক কার্যকলাপের সুযোগ বাড়াতে সক্ষম করবে। এবং ১১ হাজার ৫০০টিরও বেশি পরিবার আশ্রয়ের আপগ্রেড ও রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তা পাবে।
সাইট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাইট ডেভেলপমেন্ট (এসএমএসডি) প্রকল্পটির কাজের মাধ্যমে ক্যাম্পের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
প্রকল্পটি ভাসান চরে উন্নত জীবিকার সুযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের, বিশেষ করে নারী ও যুবকদের আত্মনির্ভরশীলতাকে শক্তিশালী করবে।
২০১৭ সালের আগস্টে জরুরি অবস্থার শুরু থেকেই, জাপান বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার ব্যাপারে সমর্থন জানিয়ে আসছে এবং এবারের এই অর্থায়নের মাধ্যমে আইওএম ও অন্যান্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশে এনজিওগুলোতে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কাজ চালিয়ে যাবে জাপান
১ বছর আগে