গুলি করে হত্যা
খুলনায় আদালত চত্বরে দুজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
খুলনা আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে দুজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— রূপসার বাগমারা এলাকার হাসিব হাওলাদার (৪১) এবং ফজলে রাব্বি রাজন (৪০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা মহানগর ও দায়রা জজ আদালতে একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে আসেন বাগমারা এলাকার রাজন ও হাসিব। হাজিরা শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন তাদের ওপর গুলি চালায় ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এরপর তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার শিহাব করীম বলেন, আদালতের সামনে দুইজনকে গুলি করা হয়েছে বলে খবর পেয়ে এসেছি। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে রক্ত, চাপাতি ও দুটি মোটরসাইকেল পড়ে ছিল। তাদের গুলি করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ঘটনার পরে পুরো আদালত চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আদালতের আইনজীবীরা।
৪ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুক হামলা, নিহত ৪
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি শিশুর জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুক হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং আরও অন্তত দশজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টকটনে লুসাইল অ্যাভিনিউয়ের ১৯০০ ব্লকে থরন্টন রোডের কাছে একটি ব্যাংকোয়েট হলে এ ঘটনা ঘটে।
সান জোয়াকিন কাউন্টির শেরিফের কার্যালয় জানায়, ‘এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, তবে এখন পর্যন্ত খুবই সামান্য তথ্য সংগ্রহ করা গেছে।
‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি উদ্দেশ্যমূলক হামলা। তদন্ত দল সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন। কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনার সূত্রপাত হলো, গোয়েন্দারা তার অনুসন্ধানে কাজ করছেন।’
নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনায় হতাহতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে তাদের মধ্যে কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক—বিভিন্ন বয়সী মানুষ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনের নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি।
স্টকটনের ভাইস মেয়র জেসন লি এ ঘটনাকে সান ফ্রানসিসকোর পূর্বে ৯০ মাইল দূরের এই সম্প্রদায়ের জন্য ‘একটি ট্র্যাজেডি’ বলে উল্লেখ করেন।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আজ রাতে আমার হৃদয় এমনভাবে ভারী হয়ে আছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। একটি শিশুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলার খবর স্টকটনের ভাইস মেয়র হিসেবে এবং এই সম্প্রদায়ে বেড়ে ওঠা একজন মানুষ হিসেবে আমাকে বিধ্বস্ত ও ক্ষুব্ধ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কৈশোরে সহিংসতার ছোঁয়া আমি নিজেও পেয়েছি। আর এখন আমাদের সন্তান, অভিভাবক ও প্রতিবেশীরা একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি আমাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। স্টকটন আমার ঘর। এরা তো আমাদেরই পরিবার। এটাই আমাদের সম্প্রদায়।’
লি আরও লিখেছেন, ‘আজ রাতে আমি হতাহত পরিবার, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিশু এবং আমাদের শহরের প্রতিটি মানুষের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা ও প্রার্থনা জানাচ্ছি। ঈশ্বর, দয়া করে আমাদের সম্প্রদায়কে শক্তি দিন। আমরা এর যোগ্য নই এবং এটিকে আমাদের নিয়তি হিসেবে কখনো মেনে নেব না।’
৫ দিন আগে
দোহারে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
ঢাকার দোহার উপজেলার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুনুর রশিদ ওরফে হারুন মাস্টারকে গুলি হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুধবার (২ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে দোহার বাহ্রা স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হারুন মাস্টার (৬৫) বাহ্রা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। দোহার নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ির পাশে নদীর ধারে হাঁটতে যান হারুন মাস্টার। এ সময় তিন যুবক এসে হঠাৎ তাকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শব্দ শুনে এগিয়ে গিয়ে একালাবাসী তাকে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাড্ডায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দোহারে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলেছিল। বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীর কার্যকলাপ নিয়ে হারুন মাস্টার প্রতিবাদ জানালে সেই শাসনই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া স্থানীয় বালু ব্যবসা নিয়েও টানাপোড়েন ছিল বলে একাধিক সূত্র জানায়।
নিহতের ভাতিজা মো. শাহিন বলেন, ফজরের নামাজ শেষে প্রতিদিন ভোরে আমার চাচা হাঁটতে বের হন। হাঁটার সময় আজ তিন যুবক চাচাকে লক্ষ করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে।
দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. নুসরাত তারিন বলেন, তার মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের অন্যান্য স্থানে ছয়টি গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, স্থানীয় কারো সঙ্গে পূর্বশত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
১৫৫ দিন আগে
খুলনায় ২ যুবককে গুলি করে হত্যা
খুলনা রুপসা উপজেলায় দুইজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— সাব্বির ও সাদ্দাম নামের দুই যুবক। এ ঘটনায় সাব্বির ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর গুলিবিদ্ধ সাদ্দাম হোসেনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
এ ছাড়া মিরাজ নামের অপর আহত যুবকের কোমরের পেছনে গুলি লেগেছে। তিনি খুলনা নগরীর একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে দশটার দিকে রুপসা রাজাপুর এলাকার সোহাগের বাড়িতে যান সাব্বির, মিরাজ ওরফে কাউয়া মিরাজ ও সাদ্দাম। পরবর্তীতে হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থলেই সাব্বিরের মৃত্যু হলে সাদ্দামকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিটি মাথার পেছনের অংশে লাগায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এরপর অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান সাদ্দাম।
এদিকে মিরাজের কোমরের পেছনে, নিচের অংশে গুলি লেগেছিল। পরে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি পালিয়ে যান বলে জানিয়েছে সূত্র।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা, অস্ত্র-মোটরসাইকেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি জব্দ
বিশেষ সূত্রের খবর, খুলনার চানমারি ও লবণচরা এলাকার সন্ত্রাসী আশিক গ্রুপের অন্যতম প্রধান সদস্য সাজ্জাদ হোসেনসহ ১০-১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। মাদক-সংক্রান্ত বিষয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাজ্জাদ গ্রুপের সহায়তা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
এ বিষয়ে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মিরাজ ও সাব্বির দুজনেই সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর প্রধান সহযোগী। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বাড়িতে মাদক ব্যবসা-সংক্রান্ত বিষয় অভ্যন্তরীণ ঝামেলা হওয়ায় সাব্বির, মিরাজ ও সাদ্দামকে গুলি করা হয়।’
তবে এই ঘটনায় আশিক ও সাজ্জাদ গ্রুপ জড়িত রয়েছে কি না, তদন্ত করলে তা বেরিয়ে আসবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১৬১ দিন আগে
পাবনায় চরমপন্থি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
পাবনা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদী বিজয়রামপুর গ্রামে বাবুল শেখ ওরফে লগা (৪০) নামের এক চরমপন্থি নেতাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোরের দিকে ইউনিয়নের কোলাদী বিজয়রামপুরের একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার (১২ মে) দিবাগত রাত ১২টায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত লগা কোলাদী বিজয়রামপুরের হোসেন শেখের ছেলে। তিনি সর্বহারা দলের নেতা ছিলেন।
বাবুল শেখ ওরফে লগা হত্যা, ডাকাতি মামলার আসামি ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি পাবনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যার মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ খানের বিশেষ ক্যাডার ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ, বাবা-মাসহ গ্রেপ্তার ৩
স্থানীয়রা জানান, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদী বিজয়রামপুর এলাকার সেউলি বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এই লগা সর্বনিম্ন অর্ধশত মানুষকে গলা কেটে হত্যা করেছে। তার কাজই ছিল মানুষ হত্যা। এজন্য সে এক সময় ক্রসফায়ারের আসামি ছিল। দুবলিয়া বাজারে বাবা-ছেলেকে সে নিজেই হত্যা করেছিল। মানুষকে হত্যা করাই তার নেশা ও পেশ ছিল।
বর্তমানে এলাকায় গরু চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন। পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।’
২০৫ দিন আগে
খুলনায় মোটরসাইকেল থামিয়ে যুবককে গুলি করে হত্যা
খুলনায় সুমন নামের এক যুবকেকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ফুলতলা উপজেলার পিপরাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন মোল্লার বাড়ি পিপরাইল গ্রামে। তিনি রকিব উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে সুমন মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পথিমধ্যে আরেকটি মোটরসাইকেলে থাকা তিন ব্যক্তি তার গতিরোধ করেন। একপর্যায়ে সুমনের মুখে (থুতনির ডানপাশে) গুলি করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ২ শতাধিক, বিক্রেতা গ্রেপ্তার
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান সুমন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের আটকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহতের লাশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহত সুমন মোল্লার বিরুদ্ধে থানায় মামলা আছে। সেই মামলায় তিনি কারাগারেও ছিলেন।’
২২৬ দিন আগে
যশোরে বাড়িতে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা
যশোরে মীর সামির সাকিব সাদী (৩২) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৭মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের মুড়িব সড়ক জয়ন্তী সোসাইটির পেছনে নিজ বাড়িতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে।
নিহত সাদী ওই এলাকার মীর শওকত আলীর ছেলে। এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
নিহতের চাচাতো ভাই রাকিব জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি ও সাদী বাড়ি ফেরেন। বাড়ির উঠানে মোটরসাইকেল তোলার সময় পেছন থেকে সাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর তাকে গুলি করে। এক রাউন্ড গুলির পর গুলি বের হচ্ছিলো না। এ সময় তিনি ওত পেতে থাকা হামলাকারী সুমন, মেহেদীসহ তাদের সহযোগীদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করলে তারা আরও ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। তাদের ছোড়া দুটি গুলি সাদীর গলা ও বুকে লাগে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, সাদী রেল বাজারের ইজারাদার। হামলাকারীরা বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি করত। তাদের প্রশ্রয় না দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।
তিনি আরও জানান, নিহত সাদী ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে যাদের নাম আসছে উভয়পক্ষই সন্ত্রাসী। সকলের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, সাদী যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার। সাদীকে যারা হত্যা করেছে তারাও ম্যানসেলের সহযোগী। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বহিষ্কৃত শহর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলসহ তার পক্ষের লোকজন গা-ঢাকা দেয়। সম্প্রতি সাদীসহ তাদের কেউ কেউ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সাদী খুন হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর যশোর শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে জেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সহসভাপতি কবির হোসেন পলাশকে খুন করে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর সময় শহরের পালবাড়ি ভাস্কর্য মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনার আহত হন সাদী।
দুর্ঘটনায় তার এক পা কেটে ফেলতে হয়। এক পা হারিয়েও ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী পরিচয়ে সাদী এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।
২৬২ দিন আগে
ঝিনাইদহে পুর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি কমান্ডারসহ ৩ জনকে ‘গুলি করে হত্যা’
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পুর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কথিত সামরিক কমান্ডারসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২২ ফেব্রয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর শ্মশান ঘাট এলাকার একটি ক্যানালের পাশ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন— হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের বাসিন্দা হানেফ আলী, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, একই স্থানে ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ৫ জনকে হত্যা করা হয়। সে সময় জাসদ গণবাহিনী ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: স্বামীকে হত্যার ১৪ বছর পর স্ত্রী-প্রেমিকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘নিহত তিনজনের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। পাশে দুটি মোটরসাইকেল ও তাদের ব্যবহৃত হেলমেট পড়ে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘নিহত হানিফ প্রায় দুই ডজন হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। হরিণাকুন্ডুর কুলবাড়িয়া গ্রামের আলফাজ উদ্দিন হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়। উচ্চ আদালতেও ফাঁসির রায় বহাল থাকলে হাসিনা সরকারের আমলে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে হানিফ এলাকায় ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি হরিণাকুন্ডু উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন এবং আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার করেন।’
২৮৫ দিন আগে
আফগানিস্তানে একই পরিবারের ১০ জনকে গুলি করে হত্যা
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত প্রদেশে দুর্বৃত্তের গুলিতে ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের সবাই একই পরিবারের।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে প্রদেশের আলী শির জেলার একটি বাড়িতে দুর্বুত্তরা ঢুকে তাদের গুলিয়ে চালিয়ে হত্যা করে।
নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ, আট নারী ও শিশু রয়েছে। তবে হামলাকারীদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
বুধবার খোস্ত প্রদেশের গভর্নর মোস্তাগফার গারবাজ বলেন, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
৩০৯ দিন আগে
কক্সবাজারে খুলনার সাবেক কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের ঝাউবাগানে খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানি টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ঝাউবাগানের ভেতরে কাঠের সেতুর পাশে হাঁটার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গোলাম রব্বানি টিপু খুলনার দৌলতপুরের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গোলাম রব্বানি সিগাল হোটেলের সামনে ঝাউবাগানের ভেতরে কাঠের তৈরি সেতুর পাশে হাঁটছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে এসে তার মাথায় গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইজিবাইক (টমটম) চালক আবদুস সালাম জানান, তিনি সিগাল হোটেলের দিকে ছিলেন। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে বালুতে পড়ে আছেন। দ্রুত তিনি তাকে নিজের টমটমে তুলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ খান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গোলাম রব্বানি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ। সৈকতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
৩২৯ দিন আগে