তিউনিশিয়া
ইতালিতে সমুদ্রপথে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি
ইতালিতে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে সমুদ্রপথে অভিবাসীদের আগমন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইতালির দক্ষিণ উপকূলে ৮৯ হাজার ১৫৮ অভিবাসী পৌঁছেছে বলে নিবন্ধন করা হয়েছে। ২০২২ সালের এই সময় এই সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার ৪৩৫ জন। এতে দেখা যায়, অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম সাত মাসে যেসব দেশ থেকে ইতালিতে শরণার্থীরা এসেছেন তার মধ্যে প্রবেশের প্রধান তিউনিসিয়া। আর ২০২২ সালে একই সময়ে প্রবেশের প্রধান দেশ ছিল লিবিয়া।
আরও পড়ুন: বুলগেরিয়ায় পরিত্যক্ত ট্রাকে ১৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আগমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সমুদ্রপথে আসা ৬৪ হাজার ৭৬৪ জন অভিবাসী এবং শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অভীবাসী ও শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৭২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১৯ হাজার ১৭১ জন। যা ছিল মোট সমুদ্র আগমনের ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
সমুদ্র থেকে উদ্ধারের পর তাদের মধ্যে ৫ দশমিক ৮ শতাংশকে এনজিওর মানবিক জাহাজ সহায়তার মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আশ্রয়ের জন্য আবেদনের সংখ্যাও ৭০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ হাজার ৪৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আশ্রয় চাওয়ার পর নেতিবাচক ফলাফলের কারণে প্রায় ২ হাজার ৫৬১ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ০৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: গ্রিসের উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩৫০ জন পাকিস্তানি অভিবাসী ছিল: কর্মকর্তারা
১ বছর আগে
দেড় লাখ টন সার আনতে তিউনিশিয়ার সঙ্গে চুক্তি সই
২০২৩ সালে দেড় লাখ মেট্রিক টন টিএসপি সার আনতে তিউনিশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিসে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এবং তিউনিশিয়ান কেমিকেল গ্রুপ (জিসিটি) এর মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: নকল সন্দেহে বগুড়ায় ৭ ট্রাক টিএসপি সার জব্দ
চুক্তিতে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ ও জিসিটির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মেদ রিধা ছালঘৌম সই করেন। এ সময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান বদিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিএডিসি ২০০৮ সাল থেকে জিটুজি ভিত্তিতে তিউনিশিয়া থেকে টিএসপি আমদানি করে আসছে। এছাড়া তিউনিশিয়ার টিএসপি সারের মান অনেক ভাল ও কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
একই দিন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার তিউনিশিয়ার কৃষি, পানিসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রী আব্দেল মনাম বেলাতি এবং শিল্প, খনিজ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী নেইলা নৌরিয়া গঙ্গি এর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকে তিউনিশিয়ান মন্ত্রীদ্বয় বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, বিপুল পরিমাণ নকল সারসহ কারখানার সন্ধান
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল: কৃষি মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে