প্রযুক্তিখাত
প্রযুক্তিখাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ-ভারত
উদীয়মান প্রযুক্তিকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।
রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেঙ্গল চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সুবীর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানানো হয়।
বৈঠকে তারা থ্রিডি, এআই এবং অন্যান্য ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনসহ উদীয়মান প্রযুক্তিতে সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট চালু হতে পারে
বেঙ্গল চেম্বারের নেতারা বলেন, আইসিটি হচ্ছে নলেজ বেইজড ইন্ডাস্ট্রি। তাই যৌথভাবে কাজ করলে সুদূরপ্রসারী সুফল পাওয়া যাবে। নেতারা স্টার্টআপ, এগ্রিটেক, সাইবার সিকিউরিটি, হেলথ ডেলিভারি সিস্টেম, আইটি ইনোভেশন সেন্টারসহ ডিজিটাইজেশনে যৌথ-সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে স্টার্টআপ ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলতে স্টার্টআপ অথবা ইয়াং অন্টারপ্রেনিয়র সামিট এবং স্টার্টআপ হ্যাকাথন আয়োজন করার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ, বিটুবি ম্যাচমেকিং এবং নলেজ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি ইমার্জিং টেকনোলজি বিশেষ করে মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি এ চারটি এরিয়াতে যৌথভাবে কাজ করতে বেঙ্গল চেম্বারের প্রতিনিধি দলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে দু’দেশের শিক্ষাঙ্গণ ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে ভারতের বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট ও সৌহার্দপূর্ণ হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের বালিয়ামারীতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট চালু ডিসেম্বরে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত: দোরাইস্বামী
১ বছর আগে